হরতালে রাজধানী ছিল আওয়ামী লীগের দখলে
বিএনপি জোটের ডাকা হরতালে সোমবার রাজধানীর
রাজপথ ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল-সমাবেশ করে হরতালবিরোধী অবস্থান নেয়
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক
লীগ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ছাত্রলীগ মহানগর দক্ষিণ, সম্মিলিত আওয়ামী
সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী
মিছিল-সমাবেশ-মানববন্ধন করে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সংসদীয় আসনে
সরকারদলীয় এমপিদের নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশ করার খবর পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু
এভিনিউয়ে হরতালবিরোধী সমাবেশে বিএনপির হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে
জানিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল
হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মাঠে নেই। গণমাধ্যম বিএনপিকে
বাঁচিয়ে রেখেছে। হরতালে মানুষ সাড়া দেয়নি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও
বলেন, ছাত্রলীগের ভয়ে আজকাল অর্ধেক শেষ। আর (আওয়ামী লীগ) যদি নামি আমরা
আপনার কি অবস্থা হইব, বুঝতে পারছেন?
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে মায়া আরও বলেন, খালেদা জিয়া আর ফখরুল। এদের তিনটা প্রোগ্রামে আপনারা ক্যামেরা নিয়ে যাইয়েন না। তারপর যদি বিএনপির কোনো খোঁজখবর থাকে আপনারা আইসেন, যান আমি পদত্যাগ কইরা দিমু। বিএনপির উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অরাজকতা করা হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, মহানগরের মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, স্বেচ্ছাবেক লীগের অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছার, যুবলীগের হারুন-অর রশিদ, কৃষক লীগের অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা প্রমুখ।
বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে না -নানক : হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করায় যারা হৃদয়ে আঘাত পেয়েছেন তারাই তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। এ সময় তিনি বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তারা কিভাবে বাধা দেয় তা আমরা দেখতে চাই।
হরতাল সম্পর্কে তিনি বলেন, সোমবারের হরতাল জনগণের স্বার্থে ছিল না। খালেদা জিয়া তার মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে, যুদ্ধাপরাধীদের খুশি করতে এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য হরতাল দিয়েছে। এই দলটি কখনোই জনগণের সঙ্গে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আবদুস সাত্তার, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
খালেদা দুষ্কৃতকারীদের নেত্রী -ড. হাছান মাহমুদ : হরতালবিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ডাকাত-ছিনতাইকারীদের চেয়ে ভয়ংকর। এরা (বিএনপি-জামায়াত) আর রাজনৈতিক কর্মী নয়, দুষ্কৃতকারী। আর খালেদা জিয়া দুষ্কৃতকারীদের নেত্রী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের হরতালবিরোধী সমাবেশে তিনি আরও বলেন, এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের যেখানেই পাবেন, গণধোলাই দেবেন। পেট্রল বোমা নিক্ষেপ কোনো রাজনৈতিক কর্মীর কাজ নয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগরের হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করে মায়া আরও বলেন, খালেদা জিয়া আর ফখরুল। এদের তিনটা প্রোগ্রামে আপনারা ক্যামেরা নিয়ে যাইয়েন না। তারপর যদি বিএনপির কোনো খোঁজখবর থাকে আপনারা আইসেন, যান আমি পদত্যাগ কইরা দিমু। বিএনপির উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অরাজকতা করা হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, মহানগরের মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, স্বেচ্ছাবেক লীগের অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছার, যুবলীগের হারুন-অর রশিদ, কৃষক লীগের অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা প্রমুখ।
বিএনপির কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে না -নানক : হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করায় যারা হৃদয়ে আঘাত পেয়েছেন তারাই তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। এ সময় তিনি বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, তারা কিভাবে বাধা দেয় তা আমরা দেখতে চাই।
হরতাল সম্পর্কে তিনি বলেন, সোমবারের হরতাল জনগণের স্বার্থে ছিল না। খালেদা জিয়া তার মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে, যুদ্ধাপরাধীদের খুশি করতে এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য হরতাল দিয়েছে। এই দলটি কখনোই জনগণের সঙ্গে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আবদুস সাত্তার, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
খালেদা দুষ্কৃতকারীদের নেত্রী -ড. হাছান মাহমুদ : হরতালবিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ডাকাত-ছিনতাইকারীদের চেয়ে ভয়ংকর। এরা (বিএনপি-জামায়াত) আর রাজনৈতিক কর্মী নয়, দুষ্কৃতকারী। আর খালেদা জিয়া দুষ্কৃতকারীদের নেত্রী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের হরতালবিরোধী সমাবেশে তিনি আরও বলেন, এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের যেখানেই পাবেন, গণধোলাই দেবেন। পেট্রল বোমা নিক্ষেপ কোনো রাজনৈতিক কর্মীর কাজ নয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগরের হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ।
No comments