রাতারগুলে টাওয়ার নির্মাণ ফের শুরু
(সিলেটের জলার বন রাতারগুলে আবারও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণকাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। গতকাল সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো) পরিবেশবাদী
সংগঠনগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে সিলেটের জলার বন রাতারগুলে পর্যবেক্ষণ
টাওয়ার নির্মাণকাজ ফের শুরু করেছে বন বিভাগ। ২১ ডিসেম্বর সিলেট বন বিভাগ
রাতারগুলের উন্নয়নে একটি মতবিনিময় সভার পর এই টাওয়ার নির্মাণ শুরু করে। রাতারগুলে
‘খাড়া বিপদ’ নামে পরিচিত টাওয়ার নির্মাণকাজ শুরু করায় আবারও আন্দোলনের
প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাতারগুল জলার বন সংরক্ষণ কমিটি গতকাল সোমবার
বিকেলে জরুরি সভা করেছে। নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে ১ জানুয়ারি তারা
মতবিনিময় করবে। সম্প্রতি সরেজমিনে রাতারগুল গেলে স্থানীয় লোকজন জানান,
পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের অসমাপ্ত কাজ শনিবার শুরু হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রাতারগুল বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জলার বন (সোয়াম্প ফরেস্ট)। নদী ও হাওরবেষ্টিত ৫০৪ দশমিক ৫০ একর আয়তনের পুরো এলাকা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় বন বিভাগের প্রস্তাবিত জাতীয় উদ্যান পরিকল্পনায় রাতারগুলে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বিশ্রামাগার ও রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণকাজ গত জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। সংরক্ষিত বন এলাকায় এসব স্থাপনা নির্মাণে বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে সিলেটে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো আপত্তি তোলে। পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘রাতারগুল জলার বন সংরক্ষণ কমিটি’। গত ১০ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘রাতারগুল কতল হবে?’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রকল্পকাজ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন দানা বাঁধে।
‘বনকে বনের মতো থাকতে দাও’ আহ্বান জানিয়ে ২২ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন করেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। অনশনের মুখে বন বিভাগ রাতারগুলে পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ যাবতীয় নির্মাণকাজ বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এ ঘোষণার পর প্রায় আট মাসের মাথায় ২১ ডিসেম্বর বন বিভাগ রাতারগুলের ‘ভবিষ্যৎ উন্নয়ন’ নিয়ে নগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা করে। ওই সভা কার্যত কর্মশালায় রূপ নেওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সেটি বর্জন করে।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম জানান, বাপাসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বন বিভাগের সভা বর্জনের আগে রাতারগুল রক্ষায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। বন বিভাগও বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু ওই সভা শেষ করে রাতারাতি টাওয়ার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের সিলেট উত্তর রেঞ্জ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘টাওয়ার অসমাপ্ত থাকায় নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে আর কিছু জানি না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘টাওয়ার নির্মাণকাজ মনে হয় শুরু হয়েছে।’
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রাতারগুল বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জলার বন (সোয়াম্প ফরেস্ট)। নদী ও হাওরবেষ্টিত ৫০৪ দশমিক ৫০ একর আয়তনের পুরো এলাকা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় বন বিভাগের প্রস্তাবিত জাতীয় উদ্যান পরিকল্পনায় রাতারগুলে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বিশ্রামাগার ও রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণকাজ গত জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। সংরক্ষিত বন এলাকায় এসব স্থাপনা নির্মাণে বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে সিলেটে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো আপত্তি তোলে। পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘রাতারগুল জলার বন সংরক্ষণ কমিটি’। গত ১০ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘রাতারগুল কতল হবে?’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রকল্পকাজ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন দানা বাঁধে।
‘বনকে বনের মতো থাকতে দাও’ আহ্বান জানিয়ে ২২ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন করেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। অনশনের মুখে বন বিভাগ রাতারগুলে পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ যাবতীয় নির্মাণকাজ বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এ ঘোষণার পর প্রায় আট মাসের মাথায় ২১ ডিসেম্বর বন বিভাগ রাতারগুলের ‘ভবিষ্যৎ উন্নয়ন’ নিয়ে নগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা করে। ওই সভা কার্যত কর্মশালায় রূপ নেওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সেটি বর্জন করে।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম জানান, বাপাসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বন বিভাগের সভা বর্জনের আগে রাতারগুল রক্ষায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। বন বিভাগও বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু ওই সভা শেষ করে রাতারাতি টাওয়ার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের সিলেট উত্তর রেঞ্জ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘টাওয়ার অসমাপ্ত থাকায় নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে আর কিছু জানি না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘টাওয়ার নির্মাণকাজ মনে হয় শুরু হয়েছে।’
No comments