এবার মন্ত্রীর দপ্তরে স্বরূপে সাংসদ গিয়াস

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের আলোচিত সাংসদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর একান্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে গালাগাল ও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে। তবে সাংসদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছরের মে মাসে নিজ এলাকা গফরগাঁওয়ে গিয়ে জনরোষে পড়েন সাংসদ গিয়াস উদ্দিন। ওই সময় তিনি প্রকাশ্যে অস্ত্র বের করে ফাঁকা গুলি চালিয়ে বেশ সমালোচিত হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে সাংসদ গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রীর দপ্তরে যান একটি কাজের তদবির করতে। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর সাংসদ তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) ফটোকপি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ফ্যাক্স করার জন্য বলেন। সাংসদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এ কাজের জন্য যান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) আবু ইউসুফের কাছে। তিনি পাশেই মন্ত্রীর একান্ত সচিব রূপন কান্তি শীলের দপ্তরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে গেলে একান্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মাইনুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ফটোকপি করা যাবে, তবে অধিদপ্তরের নম্বরে এখান থেকে ফ্যাক্স যাচ্ছে না। এই পর্যায়ে সাংসদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রাগ করেন এবং গিয়ে সাংসদকে ঘটনা বলেন। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদও। তিনি মন্ত্রীর কক্ষে বসেই হইচই শুরু করেন। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময়ও সাংসদ মন্ত্রীর দপ্তরের ওই দুই কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে গালাগাল ও হুমকি দেন বলে কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন।
জানতে চাইলে সরকারি ওই দুই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে সাংসদের গালাগাল করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত বলতে অপারগতা জানান।
তবে মন্ত্রী আফছারুল আমিন বলেন, ‘একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংসদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি একটি কাজে মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তখন মন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) সঙ্গে কথা বলেন এবং এ-সংক্রান্ত একটি কাগজ ফ্যাক্স করে ডিজি অফিসে পাঠানোর জন্য তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, কাগজটি ফ্যাক্স না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এ জন্য আমি কেবল মন্ত্রীর কাছে ওই দুজনের বিষয়ে অভিযোগ করে আসি। হুমকি দেব কেন?’

No comments

Powered by Blogger.