উপাচার্যদের নির্দেশ দিলেই ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে না by আবদুল মান্নান

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দেশের বত্রিশটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভায় উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের সকল সভাই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এই সভাটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ; কারণ সভার মূল বিষয় ছিল সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে


সাম্প্রতিককালে সৃষ্ট অস্থির অবস্থা বিষয়ে আলোচনা। একটু খোলামেলাভাবে বলতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুর্বৃত্তের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতা। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। পরে কমিউনিস্ট পার্টি হয়ে আওয়ামী লীগে। তিনি বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির উত্থান-পতন দেখেছেন, দেখেছেন কিভাবে আদর্শ ছাত্র নেতাদের কাছ হতে ছাত্ররাজনীতি কিছু দুর্বৃত্তের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে, আর কিভাবে ছাত্র রাজনীতিতে পচন ধরেছে। এই মন্তব্য কম-বেশি সকল ছাত্রসংগঠনের বেলায় সত্য। দেশে এখন বত্রিশটি ক্যাম্পাসভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, আর আছে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। শেষোক্ত দুটিতে ছাত্র রাজনীতি থাকার তেমন সুযোগ নেই যা অন্যগুলোতে আছে । এই বত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি মূলত তিনটি ছাত্র সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল আর ইসলামী ছাত্রশিবির। এছাড়াও আছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্টসহ কিছু বাম ঘরানার ছাত্র সংগঠন যাদের তেমন কোন ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মকা- চোখে পড়ে না। এই বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সব চাইতে ঐতিহ্যম-িত ছিল ছাত্র ইউনিয়ন যেটি ষাট-সত্তরের দশকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছাত্র সংগঠন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি এখন ক্রিকেট দলের দ্বাদশ খেলোয়াড়ের মতো । বাকি থাকল ছাত্রলীগ, ছাত্রদল আর ছাত্রশিবির। লীগ তার গৌরবময় অবস্থান হতে বিচ্যুত হয়েছে অনেক আগে। যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ গঠন করেছিলেন সেই আদর্শ সম্পর্কে বহুদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের কোন ধারণাই নেই। এটি এখন অনেকটা টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ আর ধান্ধাবাজদের দখলে। ছাত্রদল অনেকটা ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংগঠন, ঠিক তাদের মাতৃ সংগঠন বিএনপির মতো। এই সংগঠনের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বহুদিন ধরে এর নেতৃত্ব আর ছাত্রদের হাতে নেই। চল্লিশোর্ধ, বিবাহিত আর একাধিক সন্তানের জনক না হলে এই সংগঠনের নেতৃত্বে আসা যায় না। ক্ষমতার পালাবদল হলে এরা ছাত্রলীগের স্থলাভিষিক্ত হয়। ছাত্রশিবির স্বাধীনতা পূর্বকালের ইসলামী ছাত্রসংঘের পরিবর্তিত সংস্করণ। ইসলামী ছাত্রসংঘ একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামীর মাঠের সৈনিক হিসেবে কাজ করেছে এবং সে সময় তারা জামায়াতের ঘাতকের দায়িত্ব পালন করেছে আর অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আর কামারুজ্জামান তখন তাদের নেতা ।
ছাত্র রাজনীতির ছত্রভঙ্গ অবস্থায় ছাত্রলীগের একটি আদর্শময় ছাত্রসংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিলÑযা হয়নি। না হওয়ার পিছনে সকলের একটি সম্মিলিত ব্যর্থতা ছিল এবং এই ব্যর্থতার দায়ভার দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার ছাত্রলীগকে শোধরানের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হননি। বর্তমানে ছাত্রলীগ অনেকটা বেপরোয়া এবং বিরোধী দল বিএনপি সরকারের বা আওয়ামী লীগের যতটুকু ক্ষতি করতে পারেনি, কিছু সংখ্যক ছাত্রলীগ নামধারীর কর্মকা-ের কারণে সরকার ও দলের ক্ষতি হয়েছে তার চাইতে অনেক বেশি। এর আগে এই সব বিষয় উল্লেখ করে আমার একটা লেখাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল ছাত্রলীগ। অবশ্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাদের ভুল বুঝতে পেরে ফোন করে পরে আমার কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। যেদিন শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যদের সঙ্গে সভা করলেন সেদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা আমাকে অবহিত করেছেন যে, সম্প্রতি ঢাকা বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ যে অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দিয়েছে তেমন ঘটনা তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটতে দেবে না; যদিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের তেমন কোন অস্তিত্ব নেই। এই ক্যাম্পাসে বেশ দাপটের সঙ্গে আছে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ধারণা করা হচ্ছে সময় ও সুযোগ পেলেই তাদের বর্তমান নীরব অবস্থান সরব হবে এবং ক্যাম্পাসের আপাত শান্ত অবস্থানকে আবার অশান্ত করবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কারণে ক্যাম্পাস কিছুটা শান্ত রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অনেকটা প্রচ্ছন্নভাবে স্বীকার করেছেন, ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনসমূহ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাতে যে কোন সময় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হতে পারে এবং তার জন্য তিনি উপাচার্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বাস্তবে সরকার বা দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যদি ছাত্রলীগ নামধারী সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা না করে তা হলে উপাচার্যরা নিজে কিছু করতে পারবেন না বলে মনে করি। এটি দুঃখজনক হলেও সত্য, বেশ কিছুদিন ধরে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসগুলোকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টার সঙ্গে যোগ হয়েছেন জামায়াত-বিএনপিপন্থী এবং আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু শিক্ষক। তাদের এই অবস্থানের কারণ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। জামায়াত-বিএনপি চায় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার কর্মসূচীতে ইন্ধন জুগিয়ে বিরোধী দলের হাতকে শক্তিশালী করতে। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষক আগামী নির্বাচনে যদি সরকার বদল হয় তাহলে তাদের যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তার জন্য তদবির শুরু করেছেন। আর যারা নিজেদের আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক দাবি করেন তারা চিন্তা করছেন কোনভাবে বর্তমান উপাচার্যের অবস্থান নাজুক করে ফেলতে পারলে তাদের ভাগ্যে শেষ সময়ে হলেও কিছু একটা জুটতে পারে। এর কিছু আলামত রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝে-মধ্যে দেখা যায়। এটি স্বীকার করতেই হবে, সরকার বর্তমানে নানা কারণে এক নাজুক সময় পার করছে এবং এই সুযোগে বিরোধী দল তো বটেই, অনেকেই বিভিন্নভাবে পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তাতে মদদ যোগাচ্ছে অপরিণামদর্শী কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। সাম্প্রতিককালের ছাত্রলীগ বিষয়ক সমস্যাগুলোর সূত্রপাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের নব-গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে। সপ্তাহখানেক আগে যথারীতি চল্লিশোর্ধ, অছাত্র ও বিবাহিতদের নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত করবে। সেই মতে তারা তার কাছ হতে সময়ও চেয়ে নিয়েছিল। সময়মতো তারা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু ক্যাডার তাদের ওপর হামলা করে। এই ক্যাডারদের আবার বেশ কিছু এসেছিল অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে। ঘটনাটি ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে এবং টিভি ক্যামেরা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে, যার সচিত্র প্রতিবেদন সেদিন রাতে এবং পরদিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনার রেশ না কাটতেই একদিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের একটি মিছিলের ওপর ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডাররা হামলা করে এবং অনেককে আহত করে। এই সব ঘটনার আগে কিছু বহিরাগত ক্যাডার বুয়েটে উপাচার্য-বিরোধী শিক্ষকদের ওপরও হামলার চেষ্টা করে। তারা সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ এক অঘোষিত নিয়ম চালু করেছে, সেখানকার সকল নিয়োগ তাদের তালিকা অনুযায়ী হতে হবে। এতে অনেকটা বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫৪ জনের বিপরীতে ১৫২ কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েও রেহাই পায়নি; কারণ ছাত্রলীগের তালিকা হতে দু’জন বাদ পড়েছে। ছাত্রলীগের এমন আবদার শুধু আত্মঘাতীই নয়, প্রতিষ্ঠানের জন্যও চরম প্রশাসনিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে না পেরে (দু’জনকে চাকরি না দেয়া) গত ১৩ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, বিশ্ববিদ্যালয় বাসে অগ্নিসংযোগ করে, বিভিন্ন দফতরে ভাঙচুর করে এবং সব অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। ছাত্রলীগ নামধারী এই ক্যাডাররা যখন এসব নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত ছিল, তখন ক্যাম্পাসে মোতায়েন পুলিশ যথারীতি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে উপাচার্য মহাদয়দের সতর্ক দৃষ্টি কি ভূমিকা রাখবে অথবা তাদের পক্ষে নির্বিঘেœ কি করে প্রশাসন চালানো সম্ভব ?
যে যত কথাই বলুক, কিছু সংখ্যক ছাত্রলীগ নামধারীর দুর্বৃত্তপনার কারণে বর্তমানে কোন উপাচার্যের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালানো সম্ভব নয়। আগেও বলেছি, আবারও বলিÑবর্তমান ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের জন্য এক বিরাট বোঝা এবং এই বোঝা অচিরেই আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে দিতে পারে। আর এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি প্রকৃতপক্ষে যখন আওয়ামী লীগ হবে তখন যে সকল দুর্বৃত্ত ছাত্রলীগের নামে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের কাউকে বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক-এগারো পরবর্তীকালেও ছাত্রলীগকে তেমন কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনের দিন রাতেই সকল ক্যাম্পাস হতে ছাত্রলীগ ভোজবাজির মতো উধাও হয়ে গিয়েছিল। যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল তারা দেশ ত্যাগ করেছিল। তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল ছাত্রদল। আবার অনেক দাপুটে ছাত্রলীগ ক্যাডার ছাত্রদলের ধান্ধাবাজদের সঙ্গে আঁতাত করে রাতারাতি ছাত্রদলের ক্যাডার সেজেছিল। এটি নির্দ্বিধায় বলা যায়, আগামীতেও তেমনটি ঘটলে কেউ আশ্চর্য হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই অবস্থা হতে মুক্ত করার একমাত্র উপায় ক্যাম্পাসে যারাই আইন ভঙ্গ করুক তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সেখানে কোন ধরনের ছাড় দেয়া চলবে না। একসময় ক্যাম্পাসে যারা অশান্তি সৃষ্টি করত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান ছিল। বর্তমানে তা তেমন একটা নেই। যার যা ইচ্ছা তা করে পার পেয়ে যেতে পারে। ব্যবস্থা নিতে গেলে ক্যাম্পাস অচল। এতে দুর্বৃত্তরা আরও সাহসী হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের কর্মকা- কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দিতে বলতাম। কিন্তু তাতে উল্টা লাভবান হবে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের দুর্বৃত্তরা। তবে ছাত্রলীগকে যদি আগামী নির্বাচনে কোনভাবে কাজে লাগানোর কথা আওয়ামী লীগ চিন্তা করে থাকে তাহলে তাদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে ক্যাম্পাসগুলোকে শান্ত রাখতে চায়, পঠন-পাঠনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর থাকে, তাহলে নির্মোহভাবে সকল প্রকারের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে উপাচার্যদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধু নির্দেশ দিলেই যে কাজ হবে না, তার সর্বশেষ উদাহরণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাপঞ্জি।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.