টঙ্গীতে আট মাসে ১৫০০ লোককে কুকুরের কামড়

গাজীপুরের টঙ্গীতে কুকুরের কামড়ে আহত লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত আট মাসে দেড় সহস্রাধিক লোক কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। তবু এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
টঙ্গী ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে


আহত এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে ২৩ জন, জানুয়ারিতে ২১১, ফেব্রুয়ারিতে ১৬১, মার্চে ১৬৫, এপ্রিলে ১৩৯, মেতে ২১৬, জুনে ১৯৯, জুলাইয়ে ১১৩, আগস্টে ২০১ ও চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত ১২০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুধু ৫ সেপ্টেম্বরই আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ জন। ১০ সেপ্টেম্বরও চিকিৎসা নিয়েছে ২৩ জন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, টঙ্গীতে প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে লোকজন আহত হচ্ছে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টঙ্গী পৌরসভার ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য ও পয়োপ্রণালি খাতে মশা ও কুকুর নিধন বাবদ ৮০ হাজার ৪৬ টাকা ব্যয় হয়েছে। একই খাতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ টাকা। তা ছাড়া, জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে আরও দুই লাখ টাকা। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক বছরে তারা কুকুর নিধন কার্যক্রম দেখেনি। এই খাতে বরাদ্দ করা অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।
টঙ্গী পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, সরকারিভাবে কুকুর নিধন নিষিদ্ধ হলেও পাগলা কুকুর মারার বিধান আছে।
টাকা লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে টঙ্গী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান বলেন, বাজেটে পাগলা কুকুর নিধনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় কুকুরের কামড় নিয়ে খবর প্রকাশের পর বেশ কিছু পাগলা কুকুর নিধন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.