আজ শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- কোনো ফেবারিট নেই! by উৎপল শুভ্র
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের মহানায়ক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ঘোর সমালোচক। ‘এটা হলো তিন মিনিটে ম্যাগি নুডলেসর মতো। ব্যাং, ব্যাং...সব শেষ! আমি এটাকে ক্রিকেট মনে করি না’—টি-টোয়েন্টি নিয়ে অর্জুনা রানাতুঙ্গার বিখ্যাত উক্তির সঙ্গে শ্রীলঙ্কানরা একমত হয়ে গেল নাকি?
প্রশ্নটা জাগছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর এক দিন আগেও এমনিতে ক্রিকেটপাগল শ্রীলঙ্কানদের এমন নিরুত্তাপ দেখে। কলম্বোতে বিশ্বকাপসুলভ কোনো আবহই তো নেই! শহরের এখানে-ওখানে গোলচত্বরে ক্রিকেটারদের কিছু কাটআউট চোখে পড়ছে। কিন্তু শহরবাসী সেদিকে খুব আগ্রহভরে ফিরে তাকাচ্ছে বলে কোনো প্রমাণ নেই।
কাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল ভারত-পাকিস্তান। এই প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়েই ওই দুই দেশে তুমুল উত্তেজনা। স্টার-ইএসপিএনও বাজার বুঝে সেই প্রস্তুতি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করে ফেলল। অথচ কলম্বো সেই মুখ ফিরিয়েই। টিকিট ছাড়া খেলা দেখার সুযোগ থাকার পরও গ্যালারিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা। টেলিভিশনে দৃশ্যটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খুব বাজে বিজ্ঞাপন হয়ে যাবে ভেবেই কি না স্কুলছাত্রদের আমন্ত্রণ করে এনে গ্যালারির একটা অংশে শূন্য চেয়ারগুলো আড়াল করা হলো।
টি-টোয়েন্টির এই রমরমা বাজারে অর্জুনা রানাতুঙ্গা একদমই নিঃসঙ্গ। যুগের চাহিদা বুঝেই হোক বা অর্থের ঝনঝনানির মধুর সুরে—বড় ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই টি-টোয়েন্টি রথের যাত্রী। আইসিসির কাছেও এটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস। এ কারণেই তো ৫০ ওভারের আসল বিশ্বকাপ যেখানে চার বছরে একবার হয়, সেখানে পাঁচ বছরের মধ্যে এটা টি-টোয়েন্টির চতুর্থ বিশ্বকাপ!
দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগের তিনটি বিশ্বকাপ ভালোই জমেছিল। কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের এই আনন্দযজ্ঞে সবাইকে জানানো আমন্ত্রণ শ্রীলঙ্কানদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাবে, সেটি নিয়ে আইসিসি কর্তাদেরও মহা চিন্তিত দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আইপিএলের আদলে আয়োজিত এসএলপিএল মানে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগও যে নিদারুণ দর্শক-খরায় ভুগেছে।
কলম্বোতে বিশ্বকাপ-বিশ্বকাপ ভাবটাই না থাকার একটা কারণ হতে পারে, প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কা এখানে নেই। প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের এলাকা বলেই কি না, আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে হাম্বানটোটায়। শ্রীলঙ্কার প্রথম পর্বের বৈতরণী পেরোনোর পরীক্ষাও ওখানে। যেটি শুরু হচ্ছে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। গ্রুপে তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ দিয়েই উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠান কিছু নেই। প্রথম পর্বের খেলা হচ্ছে তিনটি শহরে। হাম্বানটোটায় শুধু প্রথম পর্বই। সুপার এইট থেকে এই বিশ্বকাপ সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে কলম্বো ও ক্যান্ডিতে।
কলম্বোতে প্রথম ম্যাচ আগামীকাল, যাতে ভারতের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ‘এ’ গ্রুপের তৃতীয় দল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের ‘বি’ গ্রুপের খেলাও কলম্বোতে। আইপিএলের আয়োজন করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পুরস্কার হিসেবেই কি না, একমাত্র ভারতই সুযোগ পাচ্ছে এক শহরে সব ম্যাচ খেলার।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশের ঠিকানা ক্যান্ডি। কাল কলম্বোতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মাঠ থেকেই যেখানে রওনা হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে এই বিশ্বকাপের ক্যান্ডি পর্ব।
গ্রুপে মাত্র দুটি করে ম্যাচ—প্রথম পর্ব নিয়ে সব দলই তাই অস্বস্তিতে। আগের তিনটি বিশ্বকাপে ভিন্ন তিন চ্যাম্পিয়নই টি-টোয়েন্টির অনিশ্চিত রূপটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর এবারের বিশ্বকাপকে তো বলা হচ্ছে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে উন্মুক্ত টুর্নামেন্ট।’ এবার নাকি যেকোনো কিছুই সম্ভব! বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়াও?
এমনই উন্মুক্ত টুর্নামেন্ট, এ কথাতেও কেউ হাসছে না।
কাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল ভারত-পাকিস্তান। এই প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়েই ওই দুই দেশে তুমুল উত্তেজনা। স্টার-ইএসপিএনও বাজার বুঝে সেই প্রস্তুতি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করে ফেলল। অথচ কলম্বো সেই মুখ ফিরিয়েই। টিকিট ছাড়া খেলা দেখার সুযোগ থাকার পরও গ্যালারিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা। টেলিভিশনে দৃশ্যটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খুব বাজে বিজ্ঞাপন হয়ে যাবে ভেবেই কি না স্কুলছাত্রদের আমন্ত্রণ করে এনে গ্যালারির একটা অংশে শূন্য চেয়ারগুলো আড়াল করা হলো।
টি-টোয়েন্টির এই রমরমা বাজারে অর্জুনা রানাতুঙ্গা একদমই নিঃসঙ্গ। যুগের চাহিদা বুঝেই হোক বা অর্থের ঝনঝনানির মধুর সুরে—বড় ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই টি-টোয়েন্টি রথের যাত্রী। আইসিসির কাছেও এটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস। এ কারণেই তো ৫০ ওভারের আসল বিশ্বকাপ যেখানে চার বছরে একবার হয়, সেখানে পাঁচ বছরের মধ্যে এটা টি-টোয়েন্টির চতুর্থ বিশ্বকাপ!
দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগের তিনটি বিশ্বকাপ ভালোই জমেছিল। কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের এই আনন্দযজ্ঞে সবাইকে জানানো আমন্ত্রণ শ্রীলঙ্কানদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাবে, সেটি নিয়ে আইসিসি কর্তাদেরও মহা চিন্তিত দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আইপিএলের আদলে আয়োজিত এসএলপিএল মানে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগও যে নিদারুণ দর্শক-খরায় ভুগেছে।
কলম্বোতে বিশ্বকাপ-বিশ্বকাপ ভাবটাই না থাকার একটা কারণ হতে পারে, প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কা এখানে নেই। প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের এলাকা বলেই কি না, আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে হাম্বানটোটায়। শ্রীলঙ্কার প্রথম পর্বের বৈতরণী পেরোনোর পরীক্ষাও ওখানে। যেটি শুরু হচ্ছে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। গ্রুপে তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ দিয়েই উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠান কিছু নেই। প্রথম পর্বের খেলা হচ্ছে তিনটি শহরে। হাম্বানটোটায় শুধু প্রথম পর্বই। সুপার এইট থেকে এই বিশ্বকাপ সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে কলম্বো ও ক্যান্ডিতে।
কলম্বোতে প্রথম ম্যাচ আগামীকাল, যাতে ভারতের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। ‘এ’ গ্রুপের তৃতীয় দল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের ‘বি’ গ্রুপের খেলাও কলম্বোতে। আইপিএলের আয়োজন করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পুরস্কার হিসেবেই কি না, একমাত্র ভারতই সুযোগ পাচ্ছে এক শহরে সব ম্যাচ খেলার।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশের ঠিকানা ক্যান্ডি। কাল কলম্বোতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মাঠ থেকেই যেখানে রওনা হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে এই বিশ্বকাপের ক্যান্ডি পর্ব।
গ্রুপে মাত্র দুটি করে ম্যাচ—প্রথম পর্ব নিয়ে সব দলই তাই অস্বস্তিতে। আগের তিনটি বিশ্বকাপে ভিন্ন তিন চ্যাম্পিয়নই টি-টোয়েন্টির অনিশ্চিত রূপটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর এবারের বিশ্বকাপকে তো বলা হচ্ছে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে উন্মুক্ত টুর্নামেন্ট।’ এবার নাকি যেকোনো কিছুই সম্ভব! বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়াও?
এমনই উন্মুক্ত টুর্নামেন্ট, এ কথাতেও কেউ হাসছে না।
No comments