ইলিয়াস আমিনুল গুম খুনের পক্ষে সরকারের সাফাইঃ রাষ্ট্রদূতদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন প্রতিবেদন by বশীর আহমেদ
ইলিয়াস আলীকে বলা হচ্ছে একজন ভয়ঙ্কর অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী এবং খুনি। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জামায়াতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে থাকা প্রতিবেশী দেশের বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতার কারণে তিনি গুম হয়ে থাকতে পারেন।
বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো গোপন প্রতিবেদনে এভাবেই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অন্য এক প্রতিবেদনে বহুল আলোচিত শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত কেউ তাকে হত্যা করেছে। আমিনুলের ভাই যার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ২০ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা, আমিনুল হত্যামামলার তদন্ত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক, বিচারবহির্ভূত হত্যা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু, সাংবাদিক নির্যাতন, রোহিঙ্গা ও আদিবাসী ইস্যু, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলসহ ১৪টি ইস্যুর ওপর আলাদা আলাদা প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের কাছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক আন্দালিব ইলিয়াস এই প্রতিবেদনগুলো পাঠিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন চলমান ইস্যু সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। আমি মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে এই নোট পাঠালাম। আপনি যেদেশে কর্মরত
আছেন সেদেশের সরকার, সেদেশে অবস্থিত অন্যান্য মিশন এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এখান থেকে পাঠানো তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, যেসব ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, সেই ইস্যুগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা ঠেকাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গুমের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে তিনি গুম হতে পারেন। জামায়াতের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর সম্পর্ক খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া গুমের সম্ভাব্য অন্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলীর এলাকায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদ্রোহী গ্রুপের বিভিন্ন ক্যাম্প রয়েছে। এই বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতার কারণে তিনি গুম হয়ে থাকতে পারেন।
প্রতিবেদনে ইলিয়াস আলী সম্পর্কে নানা ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলী একজন ভয়ঙ্কর অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী ও খুনি। হত্যা, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সিলেটে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় ইলিয়াস আলী জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধের জন্য ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ইলিয়াস আলী প্রথমে সামরিক শাসক এরশাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজে যোগ দেন। পরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দিয়ে ইলিয়াস গ্রুপ নামে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তার পেছনে ইলিয়াস আলীর যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের পাগলা শহীদ, ১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা শহীদুর ইসলাম বাবু, ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদল নেতা মামুন এবং মাহমুদ, ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগ নেতা মির্জা গালীবকে ইলিয়াস আলী হত্যা করেন বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ (আওয়ামী লীগদলীয়), সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (বিএনপিদলীয়), সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া (আওয়ামী লীগদলীয়) এবং সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে (আওয়ামী লীগদলীয়) ইলিয়াস আলী বিভিন্ন সময়ে অপমান-অপদস্থ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহুল আলোচিত আমিনুল হত্যা সম্পর্কে পাঠানো প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে এক ধরনের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমিনুলের পরিচিত বা অজ্ঞাত কেউ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, ব্রাহ্মণশাসন কলেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। এই ফোন পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার একজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি মৃত ব্যক্তির হাঁটুতে আঘাতের কালো চিহ্ন দেখতে পান। গালে কোনো রক্তের দাগ বা অন্য কোনো আলামত ছিল না। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হন হত্যার ঘটনাটি ওখানে ঘটেনি। মৃতদেহটি মর্গে নিয়ে রাখা হয়। পরে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহটি টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে তোলা ছবি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে আমিনুলের ভাই রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত হন এটা তার ভাইয়ের ছবি। পরে তিনি ঘাটাইল থানায় গিয়ে মৃতদেহ দাবি করেন এবং জানান, তার ভাই বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) একজন সংগঠক।
প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল মুস্তাফিজ নামে আমিনুলের এক পরিচিত ব্যক্তি বোরকাপরা নাম-না-জানা এক মহিলাকে নিয়ে আমিনুলের কাছে আসে। তারা বিয়ে করবে বলে আমিনুলকে তার গাজীপুরের অফিস থেকে নিয়ে সন্ধ্যার পর বেরিয়ে যায়। এরপর আমিনুলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুস্তাফিজ এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমিনুল হত্যার মামলার তদন্ত সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে আমিনুল হত্যার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো খুবই সোচ্চার। গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিনুল হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমিনুলকে গুম করে হত্যা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক আন্দালিব ইলিয়াস এই প্রতিবেদনগুলো পাঠিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন চলমান ইস্যু সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। আমি মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে এই নোট পাঠালাম। আপনি যেদেশে কর্মরত
আছেন সেদেশের সরকার, সেদেশে অবস্থিত অন্যান্য মিশন এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এখান থেকে পাঠানো তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, যেসব ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, সেই ইস্যুগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা ঠেকাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গুমের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে তিনি গুম হতে পারেন। জামায়াতের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর সম্পর্ক খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া গুমের সম্ভাব্য অন্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলীর এলাকায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদ্রোহী গ্রুপের বিভিন্ন ক্যাম্প রয়েছে। এই বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতার কারণে তিনি গুম হয়ে থাকতে পারেন।
প্রতিবেদনে ইলিয়াস আলী সম্পর্কে নানা ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলী একজন ভয়ঙ্কর অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী ও খুনি। হত্যা, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সিলেটে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় ইলিয়াস আলী জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধের জন্য ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ইলিয়াস আলী প্রথমে সামরিক শাসক এরশাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজে যোগ দেন। পরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দিয়ে ইলিয়াস গ্রুপ নামে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তার পেছনে ইলিয়াস আলীর যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের পাগলা শহীদ, ১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা শহীদুর ইসলাম বাবু, ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদল নেতা মামুন এবং মাহমুদ, ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগ নেতা মির্জা গালীবকে ইলিয়াস আলী হত্যা করেন বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ (আওয়ামী লীগদলীয়), সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (বিএনপিদলীয়), সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া (আওয়ামী লীগদলীয়) এবং সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে (আওয়ামী লীগদলীয়) ইলিয়াস আলী বিভিন্ন সময়ে অপমান-অপদস্থ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহুল আলোচিত আমিনুল হত্যা সম্পর্কে পাঠানো প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে এক ধরনের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমিনুলের পরিচিত বা অজ্ঞাত কেউ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, ব্রাহ্মণশাসন কলেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। এই ফোন পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার একজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি মৃত ব্যক্তির হাঁটুতে আঘাতের কালো চিহ্ন দেখতে পান। গালে কোনো রক্তের দাগ বা অন্য কোনো আলামত ছিল না। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হন হত্যার ঘটনাটি ওখানে ঘটেনি। মৃতদেহটি মর্গে নিয়ে রাখা হয়। পরে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহটি টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে তোলা ছবি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে আমিনুলের ভাই রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত হন এটা তার ভাইয়ের ছবি। পরে তিনি ঘাটাইল থানায় গিয়ে মৃতদেহ দাবি করেন এবং জানান, তার ভাই বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) একজন সংগঠক।
প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল মুস্তাফিজ নামে আমিনুলের এক পরিচিত ব্যক্তি বোরকাপরা নাম-না-জানা এক মহিলাকে নিয়ে আমিনুলের কাছে আসে। তারা বিয়ে করবে বলে আমিনুলকে তার গাজীপুরের অফিস থেকে নিয়ে সন্ধ্যার পর বেরিয়ে যায়। এরপর আমিনুলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুস্তাফিজ এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমিনুল হত্যার মামলার তদন্ত সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে আমিনুল হত্যার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো খুবই সোচ্চার। গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিনুল হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমিনুলকে গুম করে হত্যা করেছে।
No comments