জাপানবিরোধী বিক্ষোভ ও হামলা-চীনে প্যানাসনিক-ক্যাননের কারাখানা বন্ধ
প্যানাসনিক ও ক্যাননসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি জাপানি ইলেকট্রনিকস কম্পানি তাদের চীনা কারখানাগুলোতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। চীনের বিভিন্ন শহরে জাপানবিরোধী বিক্ষোভ এবং জাপানি কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জাপান সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা অবনতিশীল চীন-জাপান সম্পর্ক উন্নয়নে কূটনৈতিক চেষ্টার আহবান জানিয়েছেন। উভয় পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘাত তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন তিনি।
পূর্ব চীন সাগরে কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চীন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। জনবসতিহীন কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ এই দ্বীপগুলো চীনে দিয়াওয়ু এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। দ্বীপগুলো জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চীন এগুলোর মালিকানা দাবি করে। জাপান সরকার সেনকাকুর ব্যক্তি মালিকানাধীন কয়েকটি দ্বীপ কিনে নিয়েছে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়। এর পরপরই চীনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বেশ কয়েকটি শহরে জাপানবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। জাপানি নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা ও হোন্ডার কয়েকটি ব্যবসাকেন্দ্রেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল সোমবার প্যানাসনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, চীনের উত্তর-পূর্বে কিংদাও শহরে একটি কারখানা আজ ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখবে তারা। আগুন লাগার কারণে কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। প্যানাসনিকের আরো দুটি কারখানা বন্ধের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে কম্পানির তরফ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। ক্যামেরা ও প্রিন্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানন চীনে তাদের প্রধান চারটি কারখানার তিনটিই বন্ধ করে দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই অবশ্য বলেছেন, তাঁদের সরকার জাপানি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জাপানি নাগরিকদের রক্ষার চেষ্টা করছে এবং চীনা বিক্ষোভকারীদের আইন মেনে চলার আহবান জানিয়েছে।
চীন বর্তমানে জাপানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। গত বছর তারা ৩৪ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থের লেনদেন করেছে। তবে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদমাধ্যম হুমকি দিয়েছে, দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাপানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে পারে চীন। আগামী ২০ বছরেও যার ক্ষতি জাপান পুষিয়ে উঠতে পারবে না। ২০১০ সালে জাপান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির অবস্থানটি চীনের কাছে হারিয়েছে। ২০১১ সালেও ভূমিকম্পের পর দেশটির আর্থিক পরিস্থিতি আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এদিকে চীন গতকাল জানায়, বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের কাছে নজরদারি জাহাজের দুটি বহর পাঠিয়েছে তারা। দ্বীপগুলোর ওপর চীনের আইনি অধিকার প্রদর্শন এবং জলসীমায় চীনের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে জাহাজগুলো পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গড়তে একমত জাপান-যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা গতকাল জানান, জাপানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে জাপানি ও মার্কিন কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। তবে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্থান এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনকে লক্ষ্য করে নয়, বরং উত্তর কোরিয়ার হুমকি প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন জাহাজগুলোতে এ ধরনের রাডার ব্যবস্থা আছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
পূর্ব চীন সাগরে কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চীন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। জনবসতিহীন কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ এই দ্বীপগুলো চীনে দিয়াওয়ু এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। দ্বীপগুলো জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চীন এগুলোর মালিকানা দাবি করে। জাপান সরকার সেনকাকুর ব্যক্তি মালিকানাধীন কয়েকটি দ্বীপ কিনে নিয়েছে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়। এর পরপরই চীনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বেশ কয়েকটি শহরে জাপানবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। জাপানি নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা ও হোন্ডার কয়েকটি ব্যবসাকেন্দ্রেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল সোমবার প্যানাসনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, চীনের উত্তর-পূর্বে কিংদাও শহরে একটি কারখানা আজ ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখবে তারা। আগুন লাগার কারণে কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। প্যানাসনিকের আরো দুটি কারখানা বন্ধের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে কম্পানির তরফ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। ক্যামেরা ও প্রিন্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানন চীনে তাদের প্রধান চারটি কারখানার তিনটিই বন্ধ করে দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই অবশ্য বলেছেন, তাঁদের সরকার জাপানি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জাপানি নাগরিকদের রক্ষার চেষ্টা করছে এবং চীনা বিক্ষোভকারীদের আইন মেনে চলার আহবান জানিয়েছে।
চীন বর্তমানে জাপানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। গত বছর তারা ৩৪ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থের লেনদেন করেছে। তবে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদমাধ্যম হুমকি দিয়েছে, দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাপানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে পারে চীন। আগামী ২০ বছরেও যার ক্ষতি জাপান পুষিয়ে উঠতে পারবে না। ২০১০ সালে জাপান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির অবস্থানটি চীনের কাছে হারিয়েছে। ২০১১ সালেও ভূমিকম্পের পর দেশটির আর্থিক পরিস্থিতি আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এদিকে চীন গতকাল জানায়, বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের কাছে নজরদারি জাহাজের দুটি বহর পাঠিয়েছে তারা। দ্বীপগুলোর ওপর চীনের আইনি অধিকার প্রদর্শন এবং জলসীমায় চীনের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে জাহাজগুলো পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গড়তে একমত জাপান-যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা গতকাল জানান, জাপানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে জাপানি ও মার্কিন কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। তবে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্থান এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনকে লক্ষ্য করে নয়, বরং উত্তর কোরিয়ার হুমকি প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন জাহাজগুলোতে এ ধরনের রাডার ব্যবস্থা আছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments