ছুটি নেওয়া না নেওয়া নিয়ে মসিউরের নাটক
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ছুটি নেওয়া না নেওয়া নিয়ে নাটকীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক মাসের ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। সরকারের উচ্চপর্যায়ের ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ খবর দেয়।
মসিউর রহমানের পারিবারিক একটি সূত্র তাঁর ছুটির আবেদন পাঠানোর বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করে। এ বিষয়ে জানার জন্য তাঁর সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। কিন্তু গভীর রাতে সংবাদমাধ্যমকে মসিউর রহমান জানান, তিনি ছুটিতে যাচ্ছেন না।
মসিউর রহমানের ছুটির খবর প্রকাশিত হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন একটি অনলাইন বার্তা সংস্থাকে বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের এখন একটাই শর্ত। মসিউর রহমান সাহেবকে ছুটিতে পাঠালে অথবা সরিয়ে দিলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। ওয়াশিংটনে প্রধান কার্যালয় থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে।'
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, মসিউর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পদ থেকে বাদ দিলে অথবা ছুটিতে পাঠালে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে ফিরে আসবে_এমন প্রতিশ্রুতি-সংক্রান্ত চিঠি গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়।
মসিউর রহমানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, ছুটির সময়ে তিনি গবেষণা ও লেখালেখির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেবেন। মসিউর রহমানের ছুটির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে ফিরে এলে পরবর্তী সময়ে তাঁর ছুটির মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে ওই সূত্র। তবে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলে ছুটি আর না বাড়িয়ে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে ফিরবেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় মসিউর রহমান ও তাঁর সহকারী একান্ত সচিব তপন কুমার ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁরা তা রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করার অনুরোধ জানিয়ে এসএমএস দেওয়ার পরও তাঁরা কেউই ফোন ধরেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সারা দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিজের অফিসেও যোগ দেননি মসিউর রহমান। এমনকি সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও যাননি তিনি। তবে দুপুরে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের রুমে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিকেলে সম্ভবত এক মাসের ছুটি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠিয়েছেন এই উপদেষ্টা।
শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তখন প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের কাছে জানতে চান মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠালে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে কি না। প্রধানমন্ত্রীর এ প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দেন আশরাফ। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত নেতারা সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য সমর্থন করে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠানোর পক্ষে মত দেন।
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসার সম্ভাবনা জাগলেও ঈদুল ফিতরের পর থেকেই মসিউর রহমানের পদত্যাগ বা ছুটির শর্তটিও আলোচনায় চলে আসে। এ নিয়ে সরকারের ভেতরে নানা আলোচনা হতে থাকে। মসিউর রহমান নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের অনেকেই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ উল্টোও বলেছেন। এ অবস্থায় তিনি বারবার সাংবাদিকদের বলেছেন, অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ চেয়ে সংস্থাটির কাছে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
মসিউর রহমানের ছুটির খবর প্রকাশিত হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন একটি অনলাইন বার্তা সংস্থাকে বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের এখন একটাই শর্ত। মসিউর রহমান সাহেবকে ছুটিতে পাঠালে অথবা সরিয়ে দিলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। ওয়াশিংটনে প্রধান কার্যালয় থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে।'
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, মসিউর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পদ থেকে বাদ দিলে অথবা ছুটিতে পাঠালে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে ফিরে আসবে_এমন প্রতিশ্রুতি-সংক্রান্ত চিঠি গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হয়।
মসিউর রহমানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, ছুটির সময়ে তিনি গবেষণা ও লেখালেখির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেবেন। মসিউর রহমানের ছুটির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে ফিরে এলে পরবর্তী সময়ে তাঁর ছুটির মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে ওই সূত্র। তবে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলে ছুটি আর না বাড়িয়ে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে ফিরবেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় মসিউর রহমান ও তাঁর সহকারী একান্ত সচিব তপন কুমার ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁরা তা রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করার অনুরোধ জানিয়ে এসএমএস দেওয়ার পরও তাঁরা কেউই ফোন ধরেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সারা দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিজের অফিসেও যোগ দেননি মসিউর রহমান। এমনকি সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও যাননি তিনি। তবে দুপুরে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের রুমে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিকেলে সম্ভবত এক মাসের ছুটি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠিয়েছেন এই উপদেষ্টা।
শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তখন প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের কাছে জানতে চান মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠালে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে কি না। প্রধানমন্ত্রীর এ প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দেন আশরাফ। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত নেতারা সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য সমর্থন করে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠানোর পক্ষে মত দেন।
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসার সম্ভাবনা জাগলেও ঈদুল ফিতরের পর থেকেই মসিউর রহমানের পদত্যাগ বা ছুটির শর্তটিও আলোচনায় চলে আসে। এ নিয়ে সরকারের ভেতরে নানা আলোচনা হতে থাকে। মসিউর রহমান নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের অনেকেই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ উল্টোও বলেছেন। এ অবস্থায় তিনি বারবার সাংবাদিকদের বলেছেন, অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ চেয়ে সংস্থাটির কাছে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
No comments