সাংবাদিক জামাল উদ্দীন খুন- অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বদলির পর প্রত্যাহার

সাংবাদিক জামাল উদ্দীন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) মাসুদুর রহমানকে অবশেষে গতকাল শনিবার প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে শার্শা থানা থেকে মনিরামপুর থানায় বদলি করা হয়েছিল।


এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম গতকাল থেকে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খুনের ঘটনার সঙ্গে এএসআই মাসুদুর রহমান জড়িত কি না, সেটি তদন্তের দায়িত্ব তদন্তকারী কর্মকর্তার। অন্য কোনো সংস্থাকে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রথম আলোতে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, শুধু সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করছেন তিনি। খুনিদের সঙ্গে এএসআই মাসুদুরের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান শেষ হলে বলা যাবে।
যশোর জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে বৃহস্পতিবার রাতে নিয়মিত বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এএসআই মাসুদুরকে শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মনিরামপুর থানায় ও কনস্টেবল শহিদুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) বদলি করা হয়।
যশোরের পুলিশ সুপার কামরুল আহসান বলেন, এএসআই মাসুদুরকে মনিরামপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে গতকাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর কনস্টেবল শহিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘যশোরে সাংবাদিক খুনের ঘটনায় পুলিশ জড়িত’ ও ‘পুলিশ-খুনি ফোনালাপ’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। জামাল উদ্দীন যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার শার্শা উপজেলার কাশিপুর প্রতিনিধি ছিলেন। গত ১৫ জুন রাতে তিনি নৃশংসভাবে খুন হন।

No comments

Powered by Blogger.