কারাগারে অনিয়ম-রাষ্ট্রীয় স্বার্থও বিঘ্নিত করতে পারে
কারাগারের দেয়ালের ইটগুলো নাকি হাঁ করে থাকে টাকার লোভে। এমন কথা চালু আছে সেখানকার অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র বোঝানোর জন্য। আর সেই অনিয়ম যদি উদাহরণযোগ্য হয়, তাহলে কারাভ্যন্তরে নিয়মশৃঙ্খলার অবনতি হতে হতে একপর্যায়ে বিপর্যয়ও ঘটতে পারে।
এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সম্প্রতি কারাগারগুলোতে বিশেষ কিছু বন্দির সঙ্গে আইজি প্রিজনস ও জেলারের ব্যক্তিগত আচরণ।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু অভিযুক্তকে নিয়মবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠে। আইজি প্রিজনস ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারের বন্দিদের সঙ্গে কোলাকুলি ও করমর্দনের চিত্রসহ যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তাতে মনে হয় বন্দিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠার পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে।
বন্দিদের আইনানুগ প্রাপ্য সুবিধাদি প্রদান করা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বিশেষ বন্দিদের সঙ্গে এমন ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের কারণ যে স্বাভাবিক নয় তা সহজেই অনুমেয়। প্রশ্ন আসতে পারে, আইজি প্রিজনস ও জেলার কি কারাগারের সব বন্দির সঙ্গে এমন আচরণ করেন? যেহেতু করেন না, সে কারণেই কোলাকুলি আর করমর্দন করাটা অস্বাভাবিক বলে গণ্য।
শুধু আচরণগত সুবিধা প্রদানই নয়, কারাগারের ভেতর থেকে বিদেশে টেলিফোন করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানেরও শামিল। কারণ ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারে বিদেশি হস্তক্ষেপের কথাও শোনা যাচ্ছে। সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে, রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে নিয়মবহির্ভূত এই সুবিধা প্রদানের পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে। স্বাভাবিক কারণেই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহ বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কারা প্রশাসনে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে যে খবর পাওয়া গেছে, তাও সেখানকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে। সেই অসন্তোষ যাতে সহজেই মিটে যায়, সে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে দ্রুত। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বিধায় বিষয়টি সম্পর্কে সরকার অবহিত আছে বলে আমরা মনে করি। কারাগারে অনিয়ম থাকার কারণে সেখানে যাতে কোনো বড় রকমের অঘটন না ঘটতে পারে সে জন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কারাগারের ভেতরে রাজনৈতিক নেতাদের স্বাভাবিক কিছু সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্ত কাউকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পক্ষে যুক্তি থাকতে পারে না।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু অভিযুক্তকে নিয়মবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠে। আইজি প্রিজনস ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারের বন্দিদের সঙ্গে কোলাকুলি ও করমর্দনের চিত্রসহ যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তাতে মনে হয় বন্দিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠার পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে।
বন্দিদের আইনানুগ প্রাপ্য সুবিধাদি প্রদান করা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বিশেষ বন্দিদের সঙ্গে এমন ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের কারণ যে স্বাভাবিক নয় তা সহজেই অনুমেয়। প্রশ্ন আসতে পারে, আইজি প্রিজনস ও জেলার কি কারাগারের সব বন্দির সঙ্গে এমন আচরণ করেন? যেহেতু করেন না, সে কারণেই কোলাকুলি আর করমর্দন করাটা অস্বাভাবিক বলে গণ্য।
শুধু আচরণগত সুবিধা প্রদানই নয়, কারাগারের ভেতর থেকে বিদেশে টেলিফোন করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানেরও শামিল। কারণ ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারে বিদেশি হস্তক্ষেপের কথাও শোনা যাচ্ছে। সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে, রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে নিয়মবহির্ভূত এই সুবিধা প্রদানের পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে। স্বাভাবিক কারণেই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহ বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কারা প্রশাসনে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে যে খবর পাওয়া গেছে, তাও সেখানকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে। সেই অসন্তোষ যাতে সহজেই মিটে যায়, সে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে দ্রুত। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বিধায় বিষয়টি সম্পর্কে সরকার অবহিত আছে বলে আমরা মনে করি। কারাগারে অনিয়ম থাকার কারণে সেখানে যাতে কোনো বড় রকমের অঘটন না ঘটতে পারে সে জন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কারাগারের ভেতরে রাজনৈতিক নেতাদের স্বাভাবিক কিছু সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্ত কাউকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পক্ষে যুক্তি থাকতে পারে না।
No comments