সিরিয়ার প্রাচীন নিদর্শনগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা
সভ্যতার সূতিকাগার বলা হয় সিরিয়াকে৷ সেখানে গ্রিকদেরও আগে অক্ষরের চল শুরু হয়েছিলো৷ সিরিয়ায় রয়েছে অনেক প্রাচীন নিদর্শন৷ কিন্তু আসাদ বিরোধী আন্দোলনের কারণে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা৷
জার্মানির পাঁচটি প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় কাজ করছে৷ তবে গত বছর সেখানে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেসব প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা জার্মানিতে ফিরে এসেছেন৷ এখন তাঁরা তাদের গবেষণা কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত৷ কেননা অনেকদিন ধরে কাজ করে তারা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করছিলেন৷ এখন ট্যাংকের চাকার নীচে সেগুলো পিষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন তারা৷
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের তেল আল-ফখরিয়ায় কাজ করতেন ডোমিনিক বোনাৎস৷ তিনি বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্টার্ন আর্কিওলজি'র পরিচালক৷ তার নেতৃত্বে ৬০ জনের একটি দল আল ফখরিয়ায় ঐতিহাসিক নিদর্শন খোঁজার কাজ করছিল৷ কিন্তু সেখানে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তারা গবেষণা বন্ধ রেখে জার্মানিতে ফিরে আসেন৷
বছরের এই সময়টা খননের জন্য বেশ উপযোগী৷ কিন্তু বোনাৎস ও তার দল সিরিয়ায় যেতে পারছেন না৷ শুধুমাত্র স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সেখানে নিরাপত্তার কাজে বহাল রেখে চলে আসতে হয়েছে তাদের৷ ডিডাব্লিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বোনাৎস বলেন, ব্রোঞ্জ যুগের শেষদিকে আল-ফখরিয়া অঞ্চলটি সম্ভবত মিত্তানি শাসনের রাজধানী ছিল৷ কেননা সেখানে প্রশাসনিক বেশ কিছু ভবনের অংশ পাওয়া গেছে৷ একটি রাজপ্রাসাদও খুঁজে পাওয়ার আশা করা হচ্ছিল৷ কিন্তু তার আগেই চলে আসতে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের৷
বোনাৎস বলেন, তিনি জানেন না আবার কবে কাজ শুরু করতে পারবেন৷ তিনি বলেন, আন্দোলনের কবলে পড়ে তেল আফিস, পালমিরা সহ অনেক এলাকার ঐতিহাসিক নিদর্শন ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে৷ এভাবে যদি আল-ফখরিয়াও ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে তাদের এতোদিনের পরিশ্রম ও খরচ সব শেষ হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বোনাৎস৷
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের তেল আল-ফখরিয়ায় কাজ করতেন ডোমিনিক বোনাৎস৷ তিনি বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্টার্ন আর্কিওলজি'র পরিচালক৷ তার নেতৃত্বে ৬০ জনের একটি দল আল ফখরিয়ায় ঐতিহাসিক নিদর্শন খোঁজার কাজ করছিল৷ কিন্তু সেখানে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তারা গবেষণা বন্ধ রেখে জার্মানিতে ফিরে আসেন৷
বছরের এই সময়টা খননের জন্য বেশ উপযোগী৷ কিন্তু বোনাৎস ও তার দল সিরিয়ায় যেতে পারছেন না৷ শুধুমাত্র স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সেখানে নিরাপত্তার কাজে বহাল রেখে চলে আসতে হয়েছে তাদের৷ ডিডাব্লিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বোনাৎস বলেন, ব্রোঞ্জ যুগের শেষদিকে আল-ফখরিয়া অঞ্চলটি সম্ভবত মিত্তানি শাসনের রাজধানী ছিল৷ কেননা সেখানে প্রশাসনিক বেশ কিছু ভবনের অংশ পাওয়া গেছে৷ একটি রাজপ্রাসাদও খুঁজে পাওয়ার আশা করা হচ্ছিল৷ কিন্তু তার আগেই চলে আসতে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের৷
বোনাৎস বলেন, তিনি জানেন না আবার কবে কাজ শুরু করতে পারবেন৷ তিনি বলেন, আন্দোলনের কবলে পড়ে তেল আফিস, পালমিরা সহ অনেক এলাকার ঐতিহাসিক নিদর্শন ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে৷ এভাবে যদি আল-ফখরিয়াও ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে তাদের এতোদিনের পরিশ্রম ও খরচ সব শেষ হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বোনাৎস৷
একই আশংকা ফ্রাংকফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান-ভালকে মায়ার’র৷ তিনি গত ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের তেল সুইরা এলাকায়৷ কিন্তু এখন মায়ার’ও জার্মানিতে বসে রয়েছেন৷ খুব শিগগিরই তিনি সিরিয়ায় কোনো শান্তির আশা করছেন না৷ সূত্র: ডিডব্লিউ।
No comments