টিকফা চুক্তির আলোচনা আটকে আছে যেভাবে
সরকার আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি বা টিকফা চুক্তিতে তারা সই করতে পারবে। পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, টিকফার বিষয়ে এখনও যেসব মতবিরোধ আছে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এই চুক্তির খসড়ায় কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশের আপত্তির কারণে বছর চারেক আগে শুরু হওয়া এই আলোচনায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। গত বুধবার ওয়াশিংটন সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণির সাথে মার্কিন কর্মকর্তারা টিকফা আলোচনা পুনরায় শুরুর করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশের পর কায়েস এই মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ক সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি বা টিকফা স্বাক্ষর করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বেশ আগ্রহ রয়েছে। গত প্রায় চার বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে এনিয়ে আলোচনা চললেও মতপার্থক্যের কারণে এ নিয়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়নি। কয়েক মাস আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন টিকফা না হলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া সম্ভব হবে না।
এক পর্যায়ে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও থমকে যায়। কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে জানানো হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী।
তবে শনিবার বাংলাদশের পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মতপার্থক্য নিয়ে টিকফা স্বাক্ষর করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির মাধ্যমে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে চায়।
কবির বলেন, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে চায় । তিনি বলেন, বিনিয়োগরে ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের নিরাপত্তা চায়।ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে নীতি পরিবর্তন হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে টিকফা চুক্তি থাকলে এসব জটিলতা থাকবে না।
তবে দুর্নীতির সংজ্ঞা কি হবে এবং শ্রম অধিকারের কিছু বিষয়ে একমত হতে না পারায় টিকফা আলোচনা থেমে যায়। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব কায়েস জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিরিশটি দেশের সঙ্গে ধরণের চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সাথে টিফা নামে এই চুক্তি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে অনেকেই এই ধরনের চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি উচ্চ মানদন্ড দেখতে চায় যেটি টিকফা চুক্তিতে রয়েছে। তবে এর কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেটি বাংলাদেশের জন্য মেনে চলা বেশ কঠিন।
কবির বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে শিল্পমহলের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের বিষয়টি তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতের শিল্প মালিকরা কিভাবে দেখবেন সে বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কবির বলেন, টিকফা স্বাক্ষর করলে এর আওতায় যেসব বিষয় থাকবে সেগুলো মেনে চলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে জোরালো তাগিদ থাকতে পারে। সেজন্যই বাংলাদেশ বিষয়টি বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বিবিসি।
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ক সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি বা টিকফা স্বাক্ষর করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বেশ আগ্রহ রয়েছে। গত প্রায় চার বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে এনিয়ে আলোচনা চললেও মতপার্থক্যের কারণে এ নিয়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়নি। কয়েক মাস আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন টিকফা না হলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া সম্ভব হবে না।
এক পর্যায়ে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও থমকে যায়। কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে জানানো হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী।
তবে শনিবার বাংলাদশের পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মতপার্থক্য নিয়ে টিকফা স্বাক্ষর করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির মাধ্যমে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে চায়।
কবির বলেন, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে চায় । তিনি বলেন, বিনিয়োগরে ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের নিরাপত্তা চায়।ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে নীতি পরিবর্তন হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে টিকফা চুক্তি থাকলে এসব জটিলতা থাকবে না।
তবে দুর্নীতির সংজ্ঞা কি হবে এবং শ্রম অধিকারের কিছু বিষয়ে একমত হতে না পারায় টিকফা আলোচনা থেমে যায়। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব কায়েস জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিরিশটি দেশের সঙ্গে ধরণের চুক্তি রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সাথে টিফা নামে এই চুক্তি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে অনেকেই এই ধরনের চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি উচ্চ মানদন্ড দেখতে চায় যেটি টিকফা চুক্তিতে রয়েছে। তবে এর কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেটি বাংলাদেশের জন্য মেনে চলা বেশ কঠিন।
কবির বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে শিল্পমহলের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের বিষয়টি তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতের শিল্প মালিকরা কিভাবে দেখবেন সে বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কবির বলেন, টিকফা স্বাক্ষর করলে এর আওতায় যেসব বিষয় থাকবে সেগুলো মেনে চলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে জোরালো তাগিদ থাকতে পারে। সেজন্যই বাংলাদেশ বিষয়টি বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বিবিসি।
No comments