ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাকাত ও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ব্যবসায়ীরা by ইলিয়াছ রিপন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহণ ব্যবসায়ীরা ডাকাত ও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। পণ্য আনা-নেয়ার পথে প্রায়ই ডাকাতদের হাতে লুট হচ্ছে মালবোঝাই ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যান। গত দুই মাসে অন্তত শত-কোটি টাকার পণ্য ডাকাতি হয়েছে।
ডাকাত দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে কিছু পরিবহণ ব্যবসায়ী। অন্যদিকে পথে পথে চলছে হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক সার্জেন্টদের বেপেরোয়া চাঁদাবাজি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁদা না দিলে পণ্যবোঝাই ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে পার পেতে হয়।
পরিবহণ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি এখন নিত্যকার ঘটনা। মহাসড়কে গার্মেন্ট পণ্যের চালান লুটের ঘটনাই বেশি। লুটের তালিকায় রয়েছে রড-তুলাও। পণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই-ডাকাতির পাশাপাশি চালক ও সহযোগী খুন বা গুমের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৯০ শতাংশ ডাকাতি হয় কুমিল্লার মেঘনা এলাকায়। এছাড়া সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, বড়দারোগাহাট, ফেনী, চৌদ্দগ্রাম, চোয়ারা, মুগড়াপাড়া ও কাঁচপুর এলাকায়ও অহরহ ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রাম থেকে কাঁচপুর এলাকা সবচেয়ে ভয়াবহ।
এসব এলাকায় পণ্যবাহী কোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানকে ডাকাত দলের সদস্যরা সুকৌশলে আটকে গাড়িসহ পণ্য লুট করে নিয়ে যায়। অনেক সময় পুরো পণ্য না নিয়ে অর্ধেক মালামাল বা কার্টন খুলে ভেতর থেকে পণ্য নিয়ে আবার আগের মতো সাজিয়ে রাখে। তাছাড়া এসব ঘটনার সঙ্গে সাধারণত কিছু চালকরাও জড়িত থাকে।
গত ১০ আগস্ট মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাটে একটি সুয়েটারভর্তি কাভার্ডভ্যান ডাকাতিকালে পুলিশের হাতে আটক হয় চার ডাকাত। পরে আরো দুই ডাকাতকে আটক করে মীরসরাই থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মীরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মিলকী জানান, আটক ডাকাতরা বিশাল একটি গ্রুপের সদস্য। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে থাকে। আমি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হয়ত তাদের কাছ থেকে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত এক ডজন সক্রিয় ডাকাত গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম পোট এলাকার শাহীদুল ইসলাম ওরফে সাইদ্যা ও পিচ্চি মাসুদ, মতিন ডাকাত, ডিবি মাসুদ, সীতাকু- এলাকার অভি-মিজান, কমলদহ এলাকার ড্রাইভার ইউনূস, ফেনী এলাকার বকুল ভাইছাব, সরাইপাড়ার ফরিদ খান ভাইগ্যা, মাদাম বিবির হাট এলাকার সেলিম মেম্বার, শুকলার হাট এলাকার জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, সলকার মোড় এলাকার বাদশা, চৌদ্দগ্রামের মোতাইয়্যা চোরা, মফিজ ডাকাত, বেলাল ড্রইভার, সুমন ডাকা, কাঁচপুর এলাকার বাদশা ও বাদল, নারায়নগঞ্জ এলাকায় বাবর ও জীবন ডাকাত, ফতুল্লার আমীন হোসেন ও তেজগাঁওয়ের রহিম উল্লেখযোগ্য।
চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক জানান, মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সরকারের উচিত মহাসড়কের পণ্যবাহী যানবাহনের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই পণ্যবাহী ও যানবাহন ডাকাতির কবলে পড়ে। এই ডাকাত সদস্যদের শনাক্ত করা গেলে মালামাল উদ্ধারের নামে ডাকাত ও পণ্য মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক শ্রেণীর পরিবহণ নেতা।
এরপর ডাকাতি হওয়া পণ্যের মূল্যকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ পরিবহন মালিক, এক ভাগ পণ্য মালিকের ক্ষতিপূরণ ও এক ভাগ ডাকাতদের দিয়ে সমঝোতা করে। এই তিন অংশীদার মাধ্যমে তারাও ডাকাতদের আড়ালে ডাকাতি করা পণ্যের ভাগ নেয়। পরিবহণ ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একে তো ডাকাতি আছেই, এর ওপর প্রতিনিয়ত চলছে পুলিশের চাঁদাবাজি। হইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার পুলিশ ও সার্জেন্ট এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
অবৈধ মালামাল, ওভারলোডিং, কাগজপত্রে অসম্পূর্ণতাসহ বিভিন্ন অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে চালকরা বাধ্য হয়ে চাহিদামতো অর্থ পুলিশের হাতে গুঁজে দিয়ে পার পান। ট্রাফিক সার্জেন্ট বা টহল পুলিশ কোনো পণ্যবাহী যানবাহনকে আটকালে কমপক্ষে এক হাজার থেকে শুরু করে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকাও দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁদা না দিলে পণ্যবোঝাই ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে পার পেতে হয়।
পরিবহণ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি এখন নিত্যকার ঘটনা। মহাসড়কে গার্মেন্ট পণ্যের চালান লুটের ঘটনাই বেশি। লুটের তালিকায় রয়েছে রড-তুলাও। পণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই-ডাকাতির পাশাপাশি চালক ও সহযোগী খুন বা গুমের ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৯০ শতাংশ ডাকাতি হয় কুমিল্লার মেঘনা এলাকায়। এছাড়া সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, বড়দারোগাহাট, ফেনী, চৌদ্দগ্রাম, চোয়ারা, মুগড়াপাড়া ও কাঁচপুর এলাকায়ও অহরহ ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রাম থেকে কাঁচপুর এলাকা সবচেয়ে ভয়াবহ।
এসব এলাকায় পণ্যবাহী কোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানকে ডাকাত দলের সদস্যরা সুকৌশলে আটকে গাড়িসহ পণ্য লুট করে নিয়ে যায়। অনেক সময় পুরো পণ্য না নিয়ে অর্ধেক মালামাল বা কার্টন খুলে ভেতর থেকে পণ্য নিয়ে আবার আগের মতো সাজিয়ে রাখে। তাছাড়া এসব ঘটনার সঙ্গে সাধারণত কিছু চালকরাও জড়িত থাকে।
গত ১০ আগস্ট মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাটে একটি সুয়েটারভর্তি কাভার্ডভ্যান ডাকাতিকালে পুলিশের হাতে আটক হয় চার ডাকাত। পরে আরো দুই ডাকাতকে আটক করে মীরসরাই থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মীরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মিলকী জানান, আটক ডাকাতরা বিশাল একটি গ্রুপের সদস্য। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে থাকে। আমি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হয়ত তাদের কাছ থেকে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত এক ডজন সক্রিয় ডাকাত গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম পোট এলাকার শাহীদুল ইসলাম ওরফে সাইদ্যা ও পিচ্চি মাসুদ, মতিন ডাকাত, ডিবি মাসুদ, সীতাকু- এলাকার অভি-মিজান, কমলদহ এলাকার ড্রাইভার ইউনূস, ফেনী এলাকার বকুল ভাইছাব, সরাইপাড়ার ফরিদ খান ভাইগ্যা, মাদাম বিবির হাট এলাকার সেলিম মেম্বার, শুকলার হাট এলাকার জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, সলকার মোড় এলাকার বাদশা, চৌদ্দগ্রামের মোতাইয়্যা চোরা, মফিজ ডাকাত, বেলাল ড্রইভার, সুমন ডাকা, কাঁচপুর এলাকার বাদশা ও বাদল, নারায়নগঞ্জ এলাকায় বাবর ও জীবন ডাকাত, ফতুল্লার আমীন হোসেন ও তেজগাঁওয়ের রহিম উল্লেখযোগ্য।
চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক জানান, মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সরকারের উচিত মহাসড়কের পণ্যবাহী যানবাহনের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই পণ্যবাহী ও যানবাহন ডাকাতির কবলে পড়ে। এই ডাকাত সদস্যদের শনাক্ত করা গেলে মালামাল উদ্ধারের নামে ডাকাত ও পণ্য মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক শ্রেণীর পরিবহণ নেতা।
এরপর ডাকাতি হওয়া পণ্যের মূল্যকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ পরিবহন মালিক, এক ভাগ পণ্য মালিকের ক্ষতিপূরণ ও এক ভাগ ডাকাতদের দিয়ে সমঝোতা করে। এই তিন অংশীদার মাধ্যমে তারাও ডাকাতদের আড়ালে ডাকাতি করা পণ্যের ভাগ নেয়। পরিবহণ ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একে তো ডাকাতি আছেই, এর ওপর প্রতিনিয়ত চলছে পুলিশের চাঁদাবাজি। হইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার পুলিশ ও সার্জেন্ট এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
অবৈধ মালামাল, ওভারলোডিং, কাগজপত্রে অসম্পূর্ণতাসহ বিভিন্ন অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে চালকরা বাধ্য হয়ে চাহিদামতো অর্থ পুলিশের হাতে গুঁজে দিয়ে পার পান। ট্রাফিক সার্জেন্ট বা টহল পুলিশ কোনো পণ্যবাহী যানবাহনকে আটকালে কমপক্ষে এক হাজার থেকে শুরু করে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকাও দিতে হয়।
No comments