ব্যাংকিং- হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তারপর? by মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন

সোনালী ব্যাংকের ব্যর্থতাই হোক অথবা যোগসাজশ—হলমার্ক নামীয় অখ্যাত একটি গ্রুপের ২৬৬৮ কোটি টাকাসহ রূপসী বাংলা শাখা থেকে ভুয়া ও প্রশ্নবিদ্ধ জালিয়াতির মাধ্যমে মোট ৩৬০৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়ে গেছে। ঘটনাটি সবচেয়ে বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারি না হলেও ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবা খাতের দক্ষতা বা মান যা বলা হয় তার চেয়ে অনেক ভালো’ মূল্যায়নকারী হিসেবে বর্তমান নিবন্ধকার অনেকটাই খামোশ হয়ে গেছেন।


২০০২ সালে পাঁচটি ব্যাংক থেকে ওম প্রকাশ নামের এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর কারচুপি করে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ২০০৬ সালে জনশ্রুতিতে হাওয়া ভবন সম্পৃক্তজনদের কোনো রকম চেক না লিখেই ৫৯৬ কোটি টাকা তছরুপ করা এবং ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের নুরুন্নবীর জাল করা স্থানীয় এলসি দিয়ে ৬২২ কোটি টাকা গায়েব করে দেওয়ার ঘটনাগুলোও চাঞ্চল্যকর। তবে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক হলো, ডেসটিনি গ্রুপের অপকর্মের ঘটনাবলি প্রকাশ পাওয়ার তিন মাস পরে একটি সোনালী ব্যাংকে রক্ষিত ওই কোম্পানির অবৈধ আমানতে সংগৃহীত মূল অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫০০ কোটি টাকা হর্তাকর্তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা, যা নজিরবিহীন। পরিতাপের বিষয়, এসব ব্যাংকিং ব্যবস্থার জীবনীশক্তি ক্ষয়কারী জালিয়াতি, তছরুপ ও আত্মসাতের তেমন বিচার হচ্ছে না, হবে বলেও মনে হয় না। যদি রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সুশীল সমাজ এবং একটি ঐক্যবদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ মিডিয়া সজ্ঞানে এসব জঘন্য অপরাধের বিচারে কৃতসংকল্প বা সোচ্চার না হয়, তাহলে জনগণকে কিন্তু অরাজকতার অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হতে পারে।
ব্যাংকিং খাতের আরও কয়েকটি ঘটনাবলি স্মরণ করা যেতে পারে। শতকরা ১০০ ভাগ প্রভিশনের বিপরীতে ঋণ, ঋণাংশ অথবা সুদ মওকুফ করার বিধান আইনসিদ্ধ হতে পারে, এমনকি কেউ কেউ এর ফলে খেলাপি ঋণে কৃত্রিম হ্রাসে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারেন। কিন্তু আসলে এ ধরনের মওকুফে বড় ধরনের নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থেকে যায়। এর ফলে শক্তিধর কিছু ঋণগ্রহীতা অবশ্যই ঋণ পরিশোধ না করে পার পেয়ে যেতে উৎসাহী হবে বটে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মূল চালিকাশক্তি ও অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংককে নানাভাবে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে স্বায়ত্তশাসন তো দূরের কথা, তেমন কোনো কার্যকর স্বাধীনতাও দেওয়া হয়নি। কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল গঠনে গভর্নরের কোনো ভূমিকাই রাখা হয়নি, যদিও সৌভাগ্যবশত বিগত তিন বছরে প্রথমবারের মতো এটি সক্রিয় হয়েছে, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা থাকলেও পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে সরকার সরাসরিভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকরী নজরদারি অবশ্যই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক দায়িত্ব ও ক্ষমতা হরণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগটি আবার চালু করা হয়েছে।
২০০৯ সালে একটি সর্বনাশা পরিবর্তন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় সরকারি মালিকানাধীন সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারদের পদোন্নতির জন্য গভর্নরের নেতৃত্বে যে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ বাছাই কমিটি ছিল, তা বিলুপ্ত করে জেনারেল ম্যানেজার পদের পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সরকার মনোনীত পরিচালনা পর্ষদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। এর ফলে মেধা প্রতিযোগিতার সুফল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জেনারেল ম্যানেজার পর্যায়ে বদলির মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার সমন্বিত ও সমৃদ্ধকরণের পথটিও বন্ধ করে দেওয়া হলো। অন্য একটি অস্বচ্ছ চিন্তায় একজনের স্থলে দুই, তিন, চার এমনকি পাঁচজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ সৃষ্টি করে দক্ষতাহানি, বিভ্রান্তি ও দুর্নীতির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
২০০৭-০৮ সময়ে একটি জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে করপোরেটাইজড করে লিমিটেড কোম্পানিতে নামেমাত্র রূপান্তর করা হলেও ব্যাংকের শতভাগ মালিকানা এবং তৎমাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে পরিচালনা পর্ষদসহ সব ক্ষেত্রে অংশীদারির পথটি রুদ্ধ করেই রাখা হয়। যদি সে সময় ওই চারটি রাষ্ট্র খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শেয়ার তথা মালিকানার সবটা না হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারের হাত থেকে জনসাধারণের কাছে হস্তান্তরের বিধানটি করা হতো, তাহলে আজকে সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সভায় (অর্থাৎ সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ইচ্ছা) গণধিকৃতজনসহ সব পরিচালকের মেয়াদ নবায়ন না-ও হতে পারত।
সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির মূল দায় নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এবং ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তির জন্ম দেওয়া হচ্ছে। কাগজে-কলমে একটি ব্যাংকের নীতিনির্ধারণীর দায়িত্ব এর পরিচালনা পর্ষদের হাতে ন্যস্ত থাকে। আর আইনি বিধিবিধান মেনে পরিচালনা পর্ষদের নীতিমালার বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উভয়েরই সদস্য, এমনকি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় নেতৃত্ব দানকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সুতরাং সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখায় দুই বছর ধরে সংঘটিত হলমার্ক ও অন্যদের ৩৬০৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতি ধরতে না পারা এবং চলতে দিয়ে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার মূল এবং বৃহত্তম দায় সোনালী ব্যাংক শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। ওই শাখার ম্যানেজারকে নিয়ম অনুসারে তিন বছরের মাথায় বদলি না করে যে দুই বছর অতিরিক্ত ওই পদে রেখে দেওয়া হয়, সে সময়কালেই কেলেঙ্কারিটি ঘটে যায়। এ বদলি না করার দায়ও সোনালী ব্যাংকের উচ্চতর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের।
ভুয়া রপ্তানি বিল, জাল করা হিসাব এবং সম্ভবত অপ্রতুল ও প্রশ্নবিদ্ধ জামানতের বিপরীতে হলমার্ক গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার শুরুর দেড় বছর পরে সোনালী ব্যাংকের একজন চৌকস জেনারেল ম্যানেজার দুর্নীতি ও কারচুপির সন্ধান পান। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি পরিদর্শন ও অনুসন্ধানের সুপারিশ করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৌখিকভাবে ওই সুপারিশ অনুমোদন করেন। তবে একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাকি চার মাস ধরে অনুসন্ধান ও পর্যালোচনার কাজটি জোর করে ঠেকিয়ে রাখেন। এমনকি অনুসন্ধান ও পর্যালোচনার কাজটি প্রথমে গুলশান ও হেড অফিস শাখায় শেষ করার পরই কেবল রূপসী বাংলা শাখায় শুরু করা যাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এসব ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে যোগসাজশসহ সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকেই এ কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী করতে হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ অভিযোগ, তাদের নিবিড় দক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কারা কারা এবং কে কতখানি দায়ী, তা নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে প্রকৃতভাবে দায়ী ব্যক্তিদের আড়াল করা ঠিক হয়নি। অবশ্যই মিডিয়ার বিচারে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার প্রবণতাও হিতে বিপরীত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ কেন করেছে, তা বোধগম্য নয়। কেনই বা প্রকৃতভাবে দায়ী সোনালী ব্যাংকের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় কেন উচ্চবাচ্য করা হলো না, তাও অবাক কাণ্ড। অবশ্য ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের ৪৬ নম্বর ধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশের এখতিয়ার রয়েছে।
আলোচিত ব্যাংক জালিয়াতি, কারচুপি, তছরুপ ও আত্মসাতের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন মহলের কোনো কোনো রাঘববোয়ালের সম্পৃক্ততা, এমনকি অংশীদারির অভিযোগও উঠেছে। যে যা-ই বলুন না কেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারি সরকারের জন্য বিব্রতকর এবং বিপজ্জনক একটি মহাকেলেঙ্কারি। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ অনুসন্ধানে প্রকৃত দোষী ও মদদদাতা যোগসাজশকারীদের চিহ্নিত এবং বিচার করা সময়ের দাবি। বৈদ্যুতিক মিডিয়ার বিস্ফোরণের যুগে আসন্ন নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য হলেও সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার ছাড়াও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করা ভালো হবে।
বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘৃণ্য কেলেঙ্কারি আবারও সংঘটিত না হয় সে জন্য একটি সুস্থ, সবল, স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগতভাবে পরিচালিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা জরুরি। সেই লক্ষ্যে নিম্নোক্ত সুপারিশগুলো বিবেচনায় আনতে পারে সদাশয় সরকারসহ সব সংশ্লিষ্ট মহল—
১. অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা কাজ বেশি কথা কম এবং কথা যদি বলতেই হবে, তা হলে একসুরে বলার নীতি অনুসরণ করতে পারেন।
২. বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নজরদারি ন্যস্ত করা যেতে পারে। ১৯৯৬ সালের মতো ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা যেতে পারে।
৩. বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক তদারকি ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই হবে। একটি আলাদা বেতন স্কেল চালু করার দীর্ঘকাল আগে প্রতিষ্ঠিত যুক্তি পুনরায় বিবেচনা করা যেতে পারে।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্ভবত রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ অকেশনে যেতে হবে। মূলধন বাজারে অযত্ন, অবহেলা, অদক্ষতায় শিল্পঋণ, এসএমই ও অন্যান্য সম্পদ সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেটে (যেখানে কোনো মূলধনই সৃষ্টি হয় না) প্রবাহিত হতে দিয়ে অহেতুক শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি এবং সচরাচর লোকসানি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিপুল মুনাফার সুযোগ হয়ে যাওয়া ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে দিকে লক্ষ রাখা জরুরি। কেনই বা পড়ন্ত বাজারে ব্রেক ধরে অবস্থার আরও দ্রুত অবনতি করা হলো।
৫. মিডিয়ার বস্তুনিষ্ঠ, ভয়ভীতি ও প্রলোভনহীন অনুসন্ধানেই সত্য বের হয়ে দোষীদের চিহ্নিত ও বিচার করা যেতে পারে। তবে মিডিয়ার বিচার পরিত্যাজ্য।
৬. চুনোপুঁটিদের সাময়িক বরখাস্ত আর না করে প্রকৃত দোষী বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিতদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পচা ঋণের অর্থ আদায় অথবা নিদেনপক্ষে এর বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জামানতের জন্য চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিতে হবে। ছলচাতুরির মাধ্যমে জালিয়াতকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করা যায়।
৭. সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত অর্ধেক সদস্যের নিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংক অরাজনৈতিক পেশাজীবীদের মধ্য থেকে দিতে পারে—এমন বিধান থাকা সমীচীন হবে।
৮. একীভূত জেনারেল ম্যানেজার নির্বাচন প্রক্রিয়া আবারও চালু করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে জিএমদের ইন্টারব্যাংক বদলি।
৯. একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অর্থ, বিমা ও ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
১০. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের চাকরির মেয়াদ নবায়ন অযোগ্য ছয় বছর করা যায়।
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

No comments

Powered by Blogger.