ব্যয় বাড়ছেই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন?
বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। অন্যদিকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় সেবাগুলো ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। সংসারের হিসাব ঠিক রাখাই দায় হয়ে উঠছে দিন দিন। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। কী করবেন ! এমন কিছু পথ অন্বেষণের প্রয়োজনেই এবারের আয়োজন।
লিখেছেন রেহানা পারভীন রুমা
যা করা যেতে পারে
মাসের শুরুতে হিসাবের খাতা হাতে দুর্ভাবনায় পড়ে গেল নীলা। বাড়ি ভাড়া এ মাসে এক লাফে দুই হাজার বেড়েছে। ছেলের স্কুলের খরচ বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা। বাড়িতে নিত্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক কিছু সরঞ্জাম তো লাগেই। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কেনা এয়ারকন্ডিশনটা এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে নীলার জীবনে। বিদ্যুতের দাম এভাবে বেড়ে যাবে বুঝতে পারেনি ও। অন্যদিকে বাড়িতে এখনও গ্যাস সংযোগ লাগেনি বলে প্রতি মাসে সিলিন্ডারের গ্যাসে যা খরচ হচ্ছে তাতে রান্নার শখও চুলায় উঠছে। তিনজনের সংসারে কতটাইবা পানি খরচ হয় কিন্তু চবি্বশ ফ্ল্যাটে সমবণ্টনের পর পানির যে বিল এসেছে তাতে বিস্মিত হলেও কিছু করার নেই। তার ওপর প্রতি মাসে দাওয়াত বাদ দিতে হয়। ২৮০ টাকার গরুর মাংস রোজা উপলক্ষে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। খাসি তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মুরগি ১৬০ টাকা কেজি, ডিমের ডজন ১২০ টাকা। উপহার কিনতে গেলে বা কাউকে দাওয়াত দিতে গেলে সংসারের কোন খাতের টাকা কাটছাঁট করতে হবে তা নিয়েও এখন ভাবতে হয় নীলাকে। জীবনযাত্রার ব্যয়ভার এতটাই বেড়েছে যে, সংসার চালাতে গিয়ে অথৈ সাগরে পড়া নীলা বুঝতে পারছেন না আসলে কী করলে সবদিক সামলে উঠতে পারবেন তিনি।
নীলার মতো অবস্থা এখন অনেকেরই। একদিকে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম; অন্যদিকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় সেবাগুলো এত ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে যে, সংসারের হিসাব ঠিক রাখাই দায় হয়ে উঠছে দিন দিন। ব্যয় বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রয়োজন। প্রয়োজন মিটবে যে আয় দিয়ে তা কিন্তু বাড়ছে না। সীমিত আয় বা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। মানিয়ে চলার প্রাণান্তকর চেষ্টায় মাঝে মধ্যে মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হচ্ছে। যার অনেকটাই সইতে হচ্ছে সংসারের গৃহিণী বা কর্ত্রীকে।
আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যয় নির্ধারিত হবে; কিন্তু জীবনযাত্রার প্রয়োজনে আজকের দিনে এমন অনেক অনুষঙ্গ জরুরি হয়ে পড়েছে যা চাইলেও আপনি বাদ দিতে পারবেন না। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ, আইপিএস, চার্জার ফ্যান-লাইট, অনেক ক্ষেত্রে এসি কিংবা গাড়ি, দেশি-বিদেশি ফুড চেইন শপে সন্তানদের খেতে যাওয়ার বায়না, সুপার শপে বাজারের হাতছানি অনেক সময় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না মধ্যবিত্তের পক্ষেও। ফলে ব্যয় বাড়ছেই। এক সময় ব্যয় কমানোর জন্য হিসাবের খাতায় বিস্তর কাটাকুটি করা গেলেও এখন তা অনেকটাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। যে কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে ও প্রয়োজনে বাড়তি আয়ের অনুসন্ধান করছেন অনেক নারীই। বাঁধা মাইনের চাকরি যাদের তারা এ অমোঘ সত্যটা জানেন যে, মাসের শুরুতে হাতে আসা টাকার গন্ধ শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগে না। বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি বিল, স্কুলের বেতন, প্রাইভেট টিউটরের বেতন, কাজের লোকের বেতন, কেবল কানেকশন, খবরের কাগজের বিল, মাসের বাজার খরচ আলাদা করতেই পকেট খালি। এরপর পুরোটা মাস কীভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবনাটা নিশ্চয়ই অন্য কারও নয়।
যেহেতু সংসারটা আপনার এবং ভাবনাটাও আপনার সেহেতু এমন কিছু কি করতে পারেন, যা আপনার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনবে? যদি আপনার ধৈর্য, সাহস আর সৃজনশীলতা থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই করা সম্ভব।
যা করা যেতে পারে
মাসের শুরুতে হিসাবের খাতা হাতে দুর্ভাবনায় পড়ে গেল নীলা। বাড়ি ভাড়া এ মাসে এক লাফে দুই হাজার বেড়েছে। ছেলের স্কুলের খরচ বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা। বাড়িতে নিত্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক কিছু সরঞ্জাম তো লাগেই। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কেনা এয়ারকন্ডিশনটা এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে নীলার জীবনে। বিদ্যুতের দাম এভাবে বেড়ে যাবে বুঝতে পারেনি ও। অন্যদিকে বাড়িতে এখনও গ্যাস সংযোগ লাগেনি বলে প্রতি মাসে সিলিন্ডারের গ্যাসে যা খরচ হচ্ছে তাতে রান্নার শখও চুলায় উঠছে। তিনজনের সংসারে কতটাইবা পানি খরচ হয় কিন্তু চবি্বশ ফ্ল্যাটে সমবণ্টনের পর পানির যে বিল এসেছে তাতে বিস্মিত হলেও কিছু করার নেই। তার ওপর প্রতি মাসে দাওয়াত বাদ দিতে হয়। ২৮০ টাকার গরুর মাংস রোজা উপলক্ষে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। খাসি তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মুরগি ১৬০ টাকা কেজি, ডিমের ডজন ১২০ টাকা। উপহার কিনতে গেলে বা কাউকে দাওয়াত দিতে গেলে সংসারের কোন খাতের টাকা কাটছাঁট করতে হবে তা নিয়েও এখন ভাবতে হয় নীলাকে। জীবনযাত্রার ব্যয়ভার এতটাই বেড়েছে যে, সংসার চালাতে গিয়ে অথৈ সাগরে পড়া নীলা বুঝতে পারছেন না আসলে কী করলে সবদিক সামলে উঠতে পারবেন তিনি।
নীলার মতো অবস্থা এখন অনেকেরই। একদিকে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম; অন্যদিকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় সেবাগুলো এত ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে যে, সংসারের হিসাব ঠিক রাখাই দায় হয়ে উঠছে দিন দিন। ব্যয় বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রয়োজন। প্রয়োজন মিটবে যে আয় দিয়ে তা কিন্তু বাড়ছে না। সীমিত আয় বা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। মানিয়ে চলার প্রাণান্তকর চেষ্টায় মাঝে মধ্যে মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হচ্ছে। যার অনেকটাই সইতে হচ্ছে সংসারের গৃহিণী বা কর্ত্রীকে।
আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যয় নির্ধারিত হবে; কিন্তু জীবনযাত্রার প্রয়োজনে আজকের দিনে এমন অনেক অনুষঙ্গ জরুরি হয়ে পড়েছে যা চাইলেও আপনি বাদ দিতে পারবেন না। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ, আইপিএস, চার্জার ফ্যান-লাইট, অনেক ক্ষেত্রে এসি কিংবা গাড়ি, দেশি-বিদেশি ফুড চেইন শপে সন্তানদের খেতে যাওয়ার বায়না, সুপার শপে বাজারের হাতছানি অনেক সময় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না মধ্যবিত্তের পক্ষেও। ফলে ব্যয় বাড়ছেই। এক সময় ব্যয় কমানোর জন্য হিসাবের খাতায় বিস্তর কাটাকুটি করা গেলেও এখন তা অনেকটাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। যে কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে ও প্রয়োজনে বাড়তি আয়ের অনুসন্ধান করছেন অনেক নারীই। বাঁধা মাইনের চাকরি যাদের তারা এ অমোঘ সত্যটা জানেন যে, মাসের শুরুতে হাতে আসা টাকার গন্ধ শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগে না। বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি বিল, স্কুলের বেতন, প্রাইভেট টিউটরের বেতন, কাজের লোকের বেতন, কেবল কানেকশন, খবরের কাগজের বিল, মাসের বাজার খরচ আলাদা করতেই পকেট খালি। এরপর পুরোটা মাস কীভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবনাটা নিশ্চয়ই অন্য কারও নয়।
যেহেতু সংসারটা আপনার এবং ভাবনাটাও আপনার সেহেতু এমন কিছু কি করতে পারেন, যা আপনার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনবে? যদি আপনার ধৈর্য, সাহস আর সৃজনশীলতা থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই করা সম্ভব।
No comments