বির দাবি- গৃহপরিচারকের হাতে খুন হন ব্যবসায়ী ফজলুল হক
গৃহপরিচারক মো. সবুজের (২০) হাতে খুন হয়েছেন গুলশানের ব্যবসায়ী ফজলুল হক। গতকাল শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির দাবি, আর্থিক লাভের আশায় সবুজ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সবুজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ওই বাসার পয়োনালায় প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখা চুরি করা ৫০ হাজার টাকা, একটি মুঠোফোন, একটি ঘড়ি, একটি আংটি এবং নিহতের খাটের বক্সে লুকিয়ে রাখা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত রক্তমাখা ছোরা উদ্ধার করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সবুজকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, রিমান্ডে থাকায় সবুজের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব নয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির উপকমিশনার (ডিসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফজলুলের লাশ উদ্ধারের পর সবুজসহ কয়েকজনকে আটক শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করে থানার পুলিশ। ডিবিও এ মামলার ছায়া-তদন্ত শুরু করে। সবুজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ সময় তিনিসহ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে অসংলগ্নতা থাকায় আবারও তাঁকে গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়। অবশেষে সবুজ স্বীকার করেন, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতেই তিনি একা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবির কর্মকর্তা বলেন, বাড়িটি এতটাই সুরক্ষিত যে নিরাপত্তাকর্মীর অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ ভেতরে ঢুকতে পারে না। বাসার ভেতরের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রথম দিন থেকেই পুলিশ সন্দেহ করে আসছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘ঘটনার রাতে সবুজ ছুরি নিয়ে ঘরে ঢুকলে ফজলুল জেগে ওঠেন। তখন সবুজ তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। তা ছাড়া সবুজকে আগে একবার বকাঝকা করেছিলেন ফজলুল। তাঁর ওপর কোনো রাগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।’
ব্রিফিং শেষে ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, সবুজ আগেও ওই বাসার গৃহপরিচারক ছিলেন। ওই সময় সবুজ এক গৃহকর্মীকে বিয়ে করায় ফজলুল তাঁকে বের করে দেন। গত ১৫ জুন তিনি আবারও একই চাকরিতে যোগ দেন। ওই সময় থেকে চুরির পরিকল্পনা করছিলেন সবুজ।
গত ২৮ জুলাই গুলশান ২ নম্বরের আবাসিক এলাকায় নিজ শয়নকক্ষে খুন হন রং ব্যবসায়ী ফজলুল হক। পরদিন পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামসুন্নাহার বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।
No comments