চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতাকে জখমের ঘটনায় মামলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। এ মামলায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।


পুলিশ জানায়, রাজুর বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল খালেক এবং জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ সরোয়ার ও যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাজাহান আলীসহ ছাত্রদলের ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। পরে পুলিশ খালেককে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা রাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্মতি না থাকায় পরে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
এ ছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে গতকাল বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা তাঁদের বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজুকে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। পরে ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর তাঁরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালান। এর জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে ওয়াহেদুজ্জামানকে কুপিয়ে জখম করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ দুঃখিত। ছাত্রদলের হামলায় জখম রাজুর ঘনিষ্ঠজনেরা বিএনপি নেতার ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ উর জামান বলেন, শুধু হয়রানির জন্য মামলায় ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নাম দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল কবীর চৌধুরী জানান, খালেককে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.