জনগণের সহযোগিতায় সংকট কাটানো যাবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
(বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সমর্থন কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ১৯তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সমর্থন চান। ছবি ফোকাস বাংলা) জনগণের
সহযোগিতায় দেশ সংকট কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত
করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের
মডেল হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায়
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ১৯তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের। শেখ হাসিনা
বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সমর্থন
কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার একমাত্র পথ হচ্ছে
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমরা বাংলাদেশকে এমন একটি মর্যাদার আসনে
নিয়ে যেতে চাই, যেখানে আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে না অথবা অর্থনৈতিক
সহায়তার জন্য আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং দেশবাসীকে নিজস্ব শক্তি সম্পর্কে আস্থাশীল হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিজস্ব নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি গড়তে নিজস্ব সম্পদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি অর্জনের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রসহ প্রতিটি অধিকার ত্যাগের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক ও আদর্শগত লড়াইয়ের পাশাপাশি আত্মত্যাগের মানসিকতার কারণে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। তবে ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি মহল তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এই সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়। যে মুহূর্তে দেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই তাঁকে হত্যা করা হলো। ২০০১ সালে দেশে যখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বর্ণযুগ ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের উন্নয়ন মারাত্মক বাধাগ্রস্ত হলো। ঠিক একই অবস্থায় এখন আবার দেশকে পিছে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন। সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ইআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সমিতির সহসভাপতি এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সমিতির অনারারি আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চারজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদকে অর্থনীতি সমিতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। পদক পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিশিষ্ট ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধ্যাপক অশোক মিত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের পরিকল্পনা সেলের সদস্য অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন (মরণোত্তর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান সরকার (মরণোত্তর)।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং দেশবাসীকে নিজস্ব শক্তি সম্পর্কে আস্থাশীল হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিজস্ব নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি গড়তে নিজস্ব সম্পদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি অর্জনের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রসহ প্রতিটি অধিকার ত্যাগের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক ও আদর্শগত লড়াইয়ের পাশাপাশি আত্মত্যাগের মানসিকতার কারণে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। তবে ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি মহল তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এই সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়। যে মুহূর্তে দেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই তাঁকে হত্যা করা হলো। ২০০১ সালে দেশে যখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বর্ণযুগ ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের উন্নয়ন মারাত্মক বাধাগ্রস্ত হলো। ঠিক একই অবস্থায় এখন আবার দেশকে পিছে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন। সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ইআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সমিতির সহসভাপতি এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সমিতির অনারারি আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চারজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদকে অর্থনীতি সমিতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। পদক পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিশিষ্ট ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধ্যাপক অশোক মিত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের পরিকল্পনা সেলের সদস্য অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন (মরণোত্তর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান সরকার (মরণোত্তর)।
No comments