এক যুগ পর ঠিকই পেরেছেন রোজিনা
(ছেলেকে
নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছেন রোজিনা খাতুন। রাজশাহীর বাগমারার গণিপুর
ইউনিয়নের চান্দেরআড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো) অষ্টম
শ্রেণিতে পড়ার সময় মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় রোজিনা
খাতুনকে। স্থানীয় লোকজনের গোঁড়ামি ও সামাজিক প্রথার কারণে ইচ্ছা থাকলেও
স্বামীর সংসারে তখন লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তবে বিয়ের প্রায় ১২
বছর পর ঠিকই সেই প্রথা ভেঙেছেন রোজিনা। এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট
(জেএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। স্বামী-সংসার সামলে নিজের এই
কৃতিত্ব আরও বড় হয়েছে ছেলের সাফল্যে। এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী
পরীক্ষায় রোজিনার ছেলে মোতালেব হোসেন পেয়েছে জিপিএ-৪.৮৫। স্থানীয় লোকজন ও
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোজিনা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দক্ষিণ দৌলতপুর
গ্রামের বাসিন্দা। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ২০০২ সালে পাশের গ্রাম
চান্দেরআড়ার এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
রোজিনা খাতুন বলেন, শ্বশুরবাড়ির সামাজিক রীতি ও স্থানীয় লোকজনের গোঁড়ামির কারণে বিয়ের পর লেখাপড়ার আগ্রহ থাকলেও পারেননি। বিবাহিত মেয়েদের লেখাপড়া ও ভোট দেওয়ার প্রথা ছিল না এখানে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও ওই সময় প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি। বিয়ের পরে এক ছেলেসন্তান হয়। তাকে ভর্তি করা হয় পাশের সাফিক্স প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। মাঝেমধ্যে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। এতে করে নিজের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা স্বামীকে জানান। তবে স্বামীও তাঁর পড়ালেখার পক্ষে মত দেন।
তিনি আরও জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ নিয়ে রোজিনা খাতুন ভর্তির জন্য গত বছর চান্দেরআড়া উচ্চবিদ্যালয়ে যান। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদে তাঁর জন্মতারিখ লেখা ছিল ১৫ অক্টোবর ১৯৮৬। বয়সের কারণে প্রথমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করতে চায়নি। একপর্যায়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। আবারও শুরু করেন লেখাপড়া। সকালে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে নিজে চান্দেরআড়া উচ্চবিদ্যালয়ে চলে আসতেন। এবার তিনি নবম শ্রেণি ও ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। রোজিনা খাতুন জানান, পরিবারের সহযোগিতা পেলে তিনি আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। স্বামী এনামুল হক জানান, স্ত্রীর সাফল্যে তিনি খুশি। নিজে দিনমজুরি করে স্ত্রী-সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাবেন।
রোজিনা খাতুন বলেন, শ্বশুরবাড়ির সামাজিক রীতি ও স্থানীয় লোকজনের গোঁড়ামির কারণে বিয়ের পর লেখাপড়ার আগ্রহ থাকলেও পারেননি। বিবাহিত মেয়েদের লেখাপড়া ও ভোট দেওয়ার প্রথা ছিল না এখানে। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও ওই সময় প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি। বিয়ের পরে এক ছেলেসন্তান হয়। তাকে ভর্তি করা হয় পাশের সাফিক্স প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। মাঝেমধ্যে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। এতে করে নিজের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা স্বামীকে জানান। তবে স্বামীও তাঁর পড়ালেখার পক্ষে মত দেন।
তিনি আরও জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ নিয়ে রোজিনা খাতুন ভর্তির জন্য গত বছর চান্দেরআড়া উচ্চবিদ্যালয়ে যান। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদে তাঁর জন্মতারিখ লেখা ছিল ১৫ অক্টোবর ১৯৮৬। বয়সের কারণে প্রথমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করতে চায়নি। একপর্যায়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। আবারও শুরু করেন লেখাপড়া। সকালে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে নিজে চান্দেরআড়া উচ্চবিদ্যালয়ে চলে আসতেন। এবার তিনি নবম শ্রেণি ও ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। রোজিনা খাতুন জানান, পরিবারের সহযোগিতা পেলে তিনি আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। স্বামী এনামুল হক জানান, স্ত্রীর সাফল্যে তিনি খুশি। নিজে দিনমজুরি করে স্ত্রী-সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাবেন।
No comments