বারবার অস্থিরতা বারবার লোকসান! ফুলের ভরা মৌসুমে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে by কৃষ্ণ চন্দ্র দাস
(সীতাকুণ্ডের মৌলভীপাড়ার বাগান থেকে ফুল তুলছেন চাষি ইমরান খান l প্রথম আলো) দেড়
দশক আগে ছোট পরিসরে ফুলের চাষ শুরু করে সীতাকুণ্ডের ইমরান খান এখন সফল
ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত বছর লোকসান দিয়েছিলেন। এ বছর ক্ষতি
কাটিয়ে উঠবেন এমন সংকল্প নিয়ে কাজ করেছেন। তবে মৌসুমের শুরুতে আবারও
রাজনৈতিক অস্থিরতায় হতাশ তিনি। গত সোমরার মৌলভীপাড়ায় ইমরানের বাগানে দেখা
যায়, সারি সারি লাল ও হলুদ রঙের গাঁদা ফুল ফুটেছে বাগানজুড়ে। ঘুরে ঘুরে
একটি-দুটি করে ফুল তুলে ঝুড়িতে রাখছিলেন ইমরান ও তাঁর বাগানের কর্মীরা।
বিকেলের মধ্যে শহরের বিভিন্ন পাইকারি দোকানে সরবরাহ করতে হবে। তবে অবরোধ
শুরু হওয়ায় ফুল ঠিকঠাক পৌঁছাবে কি না, এ নিয়ে আশঙ্কা আছে তাঁর। ইমরান
খান বলেন, ১৩ বছর ধরে তিনি ফুলের চাষ করছেন। কোনোবার লোকসান হয়নি তাঁর।
তবে গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বিক্রি না হওয়ায় খেতেই উৎপাদিত ফুল
নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি অন্তত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েন। এবার তিনি
সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মরিয়া। সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভীপাড়ার
বাসিন্দা ইমরান চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। ২০০০ সালে উচ্চমাধ্যধিক দ্বিতীয়
বর্ষে পড়ার সময় শখের বসে বাড়ির আঙিনায় টবে ফুলের চারা লাগান। পরীক্ষা
দিয়েই তিনি ঝঁুকে পড়েন ফুল চাষে। ২০০১ সালে নভেম্বর মাসে তিনি এলাকার ২০
শতক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ শুরু করেন। সেবার বীজ, চারাসহ তাঁর ৩০
হাজার টাকা খরচ হয়। লাভ হয় খরচের সমান। ধীরে ধীরে তিনি চাষের পরিধি বাড়িয়ে
তোলেন।
ইমরান খান বলেন, এবার তিনি এক দশমিক তিন একর জায়গাতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে তাঁর দুই লাখ টাকা। এ পর্যন্ত তিনি ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। কিন্তু ফুলের ভরা মৌসুমে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি অন্তত ৮০ শতক জমির ফুল গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে। ছত্রাকে আক্রান্ত ওই গাছগুলো কেটে ফেলে দিয়ে ওই জমিতে নতুন করে আবারও গাছ লাগাচ্ছেন। গতবারের ক্ষতি যে করেই হোক কাটিয়ে উঠতে হবে তাঁকে। ইমরান খান সীতাকুণ্ডে নার্সারি খুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম শহরের চেরাগি পাহাড়ের মোড়, লালখানবাজার, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহ করেন। প্রথম দিকে তিনি গাঁদা, গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের চাষ করলেও গাঁদা ফুলে লাভ বেশি। তা ছাড়া ফলনও দেয়। মৌসুমে বাজারে এক হাজার ফুল ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্য সময়ে তা বেড়ে দঁাড়ায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়। গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। অনেক সময় শহরে ফুল পৌঁছানোও সম্ভব হয়নি। এ বছর যেভাবে অবরোধ শুরু হয়েছে তাতে লাভ হবে কি না বুঝতে পারছেন না তিনি।
ইমরান খান বলেন, এবার তিনি এক দশমিক তিন একর জায়গাতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে তাঁর দুই লাখ টাকা। এ পর্যন্ত তিনি ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। কিন্তু ফুলের ভরা মৌসুমে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি অন্তত ৮০ শতক জমির ফুল গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয়েছে। ছত্রাকে আক্রান্ত ওই গাছগুলো কেটে ফেলে দিয়ে ওই জমিতে নতুন করে আবারও গাছ লাগাচ্ছেন। গতবারের ক্ষতি যে করেই হোক কাটিয়ে উঠতে হবে তাঁকে। ইমরান খান সীতাকুণ্ডে নার্সারি খুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম শহরের চেরাগি পাহাড়ের মোড়, লালখানবাজার, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহ করেন। প্রথম দিকে তিনি গাঁদা, গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের চাষ করলেও গাঁদা ফুলে লাভ বেশি। তা ছাড়া ফলনও দেয়। মৌসুমে বাজারে এক হাজার ফুল ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্য সময়ে তা বেড়ে দঁাড়ায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়। গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। অনেক সময় শহরে ফুল পৌঁছানোও সম্ভব হয়নি। এ বছর যেভাবে অবরোধ শুরু হয়েছে তাতে লাভ হবে কি না বুঝতে পারছেন না তিনি।
No comments