ফখরুল কারাগারে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
গাড়ি
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে
কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন
নামঞ্জুর করলেও প্রয়োজনে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ
করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম
ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। পরে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে মির্জা আলমগীরকে ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে নেয়া হয়। ৪ঠা জানুয়ারি রাতে গাড়ি ভাঙচুর ও
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে মামলায়
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার
করে পুলিশ। গতকাল বিকালে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের জন্য দশদিনের
রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক
(এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদিকে মির্জা আলমগীরের পক্ষে জামিনের আবেদন করে
তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। শুনানিতে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, মির্জা
আলমগীর একজন সম্মানিত ব্যক্তি। এ মামলার সঙ্গে তার কোন যোগসূত্র নেই। তাকে
জামিন দিলে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না। এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
মহাসচিব অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ব্যাকপেইনসহ বিভিন্ন সমস্যায়
ভুগছেন। এ মিথ্যা মামলায় রিমান্ড দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। অন্যদিকে,
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু বলেন, মির্জা আলমগীরকে রিমান্ড দিলে
মামলার সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। তাই তাকে দশ দিনের রিমান্ড দেয়ার আবেদন
জানাই। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ৫ই জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে পেশাজীবীদের একটি আলোচনা সভায়
অংশ নিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যান মির্জা আলমগীর। তিনি বক্তব্য দিয়ে বের
হওয়ার মুহূর্তে প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থিত দু’দল সাংবাদিকের
মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় লাঠিসোটা হাতে প্রেস ক্লাবে ঢুকে পড়ে
প্রজন্ম লীগের কর্মীরা। আত্মরক্ষার্থে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদকের কক্ষে আশ্রয় নেন মির্জা আলমগীর। তিনি প্রেস ক্লাবে আশ্রয় নিলে
সেখান থেকে বের করে দিতে মিছিল করে সরকারপন্থি সাংবাদিকরা। এদিকে বিকাল
সোয়া ৫টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া
হয়। কারাগারে পাঠানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেখানে যান তার স্ত্রী রাহাত আরা
বেগম। তাদের মধ্যে ৭ মিনিট কথা হয়। তবে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তারের পর
মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন রাহাত আরা। কিন্তু
সেখানে রাজনীতিক স্বামীর দেখা পাননি তিনি। ওদিকে কারা কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে ২৬ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে।
No comments