কাশ্মীর সীমান্তের ১০ হাজার মানুষ বাড়িছাড়া
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে গেছে। লড়াইয়ে সোমবার থেকে পাকিস্তানে পাঁচজন এবং ভারতে একজন প্রাণ হারিয়েছে। খবর রয়টার্স, এএফপি ও এনডিটিভির। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্ররিবতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেশ কয়েকটি অবস্থান লক্ষ্য করে গত সোমবার রাত থেকে গুলি ছুড়ছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে গত সোমবার বলা হয়, পূর্বাঞ্চলীয় শিয়ালকোট শহরের কাছাকাছি বিএসএফের গোলার আঘাতে পাকিস্তানের এক কিশোর এবং এক নারীসহ চার বেসামরিক নাগরিক এবং এক সেনা নিহত হয়েছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কাশ্মীর সীমান্তের প্রায় ২০০ কিলোমিটারজুড়ে গোলাগুলি চলছে। আশপাশের কয়েকটি এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ভেতরে চক্র, শেরপুর ও লোনডি ইত্যাদি এলাকায় পাকিস্তানি গোলা আঘাত হেনেছে। সামবা ও হীরানগর এলাকায় গত সোমবার পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের হামলায় আহত বিএসএফের এক জওয়ান পরে মারা যান।
শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যাম কুমার রয়টার্সকে বলেন, যুদ্ধের মতো অবস্থা চলছে। পাকিস্তানি সেনারা দূরপাল্লার অস্ত্র ছুড়ছে। এই প্রথম এ ধরনের তীব্র গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। বিএসএফের একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তের কয়েকটি অংশে গতকাল মঙ্গলবারও দুই পক্ষের মধ্যে গুলি ও মর্টারের গোলা বিনিময় হয়েছে। গোলাগুলি চলছেই এবং তারা পাকিস্তানি হামলার জবাব দিচ্ছেন। এ অভিযোগের ব্যাপারে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। জম্মু অঞ্চলের বিভাগীয় কমিশনার শান্তমানু বলেন, সোমবার রাতে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর প্রায় ছয় হাজার বেসামরিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যায়। আর গত সপ্তাহে লড়াই শুরু হওয়ার পর চার হাজার মানুষ ঘর ছাড়ে। ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর সীমান্তে গত অক্টোবর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের অন্তত ১০ সেনা গত সপ্তাহে নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি অধিকতর আলোচনার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments