পারকী সৈকতে বিড়ম্বনা by মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন
((১) শহর
থেকে কম দূরত্বে হওয়ায় পারকী সৈকতে দর্শনার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কিন্তু এসেই নানা ভোগান্তিতে পড়েন তাঁরাl (২) সৈকতে মোটরসাইকেলের
উৎপাতে হাঁটাও দায় l প্রথম আলো) সাত
কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনশোভিত আনোয়ারার পারকী সৈকতে সমস্যার শেষ নেই।
সৈকতে যাওয়ার সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। সংকীর্ণ এই সড়কে পর্যটক বাড়লেই দেখা
দেয় যানজট। সড়কের এই দুর্ভোগ পেরিয়ে সৈকতে এলে ময়লা–আবর্জনার মুখোমুখি
হতে হয়। এ ছাড়া আছে বখাটেদের উৎপাত। সৈকত ব্যবস্থাপনায় কয়েক মাস আগে একটি
কমিটি গঠিত হলেও তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
সড়কে ভোগান্তি: সিইউএফএল থেকে পারকী সৈকত পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। ওই অংশ পার হতে সময় লাগে আধা ঘণ্টারও বেশি। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় এই সড়কে। এ সময় পারকী থেকে সিইউএফএল পর্যন্ত কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। পারকী বাজারের একটি ছোট সেতুর কারণে এমন যানজট হয় বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।
ঝাউবন উজাড়: পারকী সৈকতের মূল সৌন্দর্য ঝাউবন। কিন্তু গোড়ার বালু সরে গিয়ে গত কয়েক বছরে প্রায় ৫০০ ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। সৈকতের আশপাশ থেকে বালু তোলা ও ঢেউয়ের কারণে ঝাউগাছের গোড়ার বালু সরে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
বখাটেদের উৎপাত: পারকী সৈকতে বখাটেদের উৎপাত বাড়ছে দিন দিনই। স্থানীয় বখাটে তরুণেরা মোটরসাইকেল নিয়ে সৈকতে দলবেঁধে ঘোরাঘুরি করে। এতে পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারেন না। দুই বছর আগে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সৈকতে বেড়াতে আসা এক শিশু মারা গেলে কিছুদিন বন্ধ ছিল এ যন্ত্রণা। কিন্তু এ বছর আবারও শুরু হয়েছে বখাটেদের উৎপাত।
খাবার হোটেলের অভাব: পুরো পারকী সৈকতে শতাধিক খাবারের দোকান থাকলেও মানসম্মত রেস্তোরাঁ নেই। একটি রিসোর্ট থাকলেও সেখানে পর্যটকের চাপ বেশি। সৈকতের রেস্তোরাঁগুলো নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দাম রাখে বলে অভিযোগ আছে।
সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির বক্তব্য: চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদকে প্রধান করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়েছে চার মাস আগে। তবে এখানো এই কমিটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থাপন করা হয়নি ডাস্টবিন। সৈকতের পাশে গণেশৗচাগার থাকলেও থাকলেও সেটি মানসম্মত নয়। এ ব্যাপারে কথা হয় সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এম এ কাইয়ুম শাহের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা সৈকতকে পর্যটকবান্ধব করতে অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। শিগগিরই সেসব বাস্তবায়ন করা হবে।’
আনোয়ারা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, পারকী সৈকত সড়কের সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, অনুমোদনও পাওয়া গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। আনোয়ারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুফিদুল আলম বলেন, পারকী একটি সম্ভাবনাময় সৈকত। তাই সৈকতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সড়কে ভোগান্তি: সিইউএফএল থেকে পারকী সৈকত পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। ওই অংশ পার হতে সময় লাগে আধা ঘণ্টারও বেশি। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় এই সড়কে। এ সময় পারকী থেকে সিইউএফএল পর্যন্ত কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। পারকী বাজারের একটি ছোট সেতুর কারণে এমন যানজট হয় বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।
ঝাউবন উজাড়: পারকী সৈকতের মূল সৌন্দর্য ঝাউবন। কিন্তু গোড়ার বালু সরে গিয়ে গত কয়েক বছরে প্রায় ৫০০ ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। সৈকতের আশপাশ থেকে বালু তোলা ও ঢেউয়ের কারণে ঝাউগাছের গোড়ার বালু সরে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
বখাটেদের উৎপাত: পারকী সৈকতে বখাটেদের উৎপাত বাড়ছে দিন দিনই। স্থানীয় বখাটে তরুণেরা মোটরসাইকেল নিয়ে সৈকতে দলবেঁধে ঘোরাঘুরি করে। এতে পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারেন না। দুই বছর আগে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সৈকতে বেড়াতে আসা এক শিশু মারা গেলে কিছুদিন বন্ধ ছিল এ যন্ত্রণা। কিন্তু এ বছর আবারও শুরু হয়েছে বখাটেদের উৎপাত।
খাবার হোটেলের অভাব: পুরো পারকী সৈকতে শতাধিক খাবারের দোকান থাকলেও মানসম্মত রেস্তোরাঁ নেই। একটি রিসোর্ট থাকলেও সেখানে পর্যটকের চাপ বেশি। সৈকতের রেস্তোরাঁগুলো নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দাম রাখে বলে অভিযোগ আছে।
সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির বক্তব্য: চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদকে প্রধান করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়েছে চার মাস আগে। তবে এখানো এই কমিটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থাপন করা হয়নি ডাস্টবিন। সৈকতের পাশে গণেশৗচাগার থাকলেও থাকলেও সেটি মানসম্মত নয়। এ ব্যাপারে কথা হয় সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এম এ কাইয়ুম শাহের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা সৈকতকে পর্যটকবান্ধব করতে অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। শিগগিরই সেসব বাস্তবায়ন করা হবে।’
আনোয়ারা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, পারকী সৈকত সড়কের সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, অনুমোদনও পাওয়া গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। আনোয়ারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুফিদুল আলম বলেন, পারকী একটি সম্ভাবনাময় সৈকত। তাই সৈকতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments