ইজতেমার সুযোগ নিতে পারে ২০ দল, উদ্বেগে সরকার
ইজতেমা
নিয়ে উদ্বেগে সরকার। এই উদ্বেগের পেছনে দুই কারণ। এক. ইজতেমার মুসল্লিরা
তাদের অসুবিধার জন্য শুধু বিরোধী দলকেই দুষবে না, সরকারকেও দুষবে; যেহেতু
সরকারের দায়িত্বটা বেশি। দুই. সরকার আশঙ্কা করছে, ইজতেমা সামনে রেখে
বিএনপির লাখ লাখ লোক টঙ্গীতে অবস্থান নিতে পারেন। অনেকে ধারণা করেছিল,
ইজতেমার জন্য বিএনপি সম্ভবত অবরোধ শিথিল করবে এবং ইজতেমার পর আবার চলবে
অবরোধ। কিন্তু আগেই বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল ইজতেমা চলাকালে অবরোধ বহাল
থাকবে। জানা যায়, খালেদা জিয়া দলের নেতাদের বলেছেন, ইজতেমাও হবে, অবরোধও
চলবে।
আরো জানা যায়, প্রথম পর্বের ইজতেমার পরদিন সোমবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেবে বিএনপি। এর জন্য তারা পুলিশের কাছে অনুমতি চাইবে না। কারণ দলটির নেতারা ধরেই নিয়েছেন, পুলিশের অনুমতি চেয়ে সমাবেশ করার সুযোগ আর নেই। সরকার তা কখনোই করতে দেবে না। তাই সুবিধামতো রাজধানীর যেকোনো জায়গায় সমাবেশ হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের সমাবেশের উদ্যোগ রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে তুলবে। বিরোধী দল চাইছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদটি যত ওপরে ওঠানো যায়।
সোমবারের জনসমাবেশের পরিকল্পনার পেছনে অন্তত দুটি কারণ রয়েছে। এক. এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হবে, তা চলমান অবরোধ কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার জন্য সহায়ক হবে বলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। দ্বিতীয়ত, ইজতেমায় আসায় বিএনপির নেতাকর্মীদের এই সমাবেশে যোগ দেয়া সহজ হবে। আর যদি তাদের টঙ্গী থেকে ঢাকা আসতে বাধা দেয়া হয়, তাহলেও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হবে। সেটিও বিরোধী দলের পক্ষে যাবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, যত সংঘর্ষ, যত উত্তেজনা, সবকিছুর ফল তাদের অনুকূলে যাবে। সংকটে পড়বে সরকার।
সরকারও এসব বিষয় নিয়ে ভাবছে বলে জানা গেছে। তবে তা মোকাবিলায় সরকার উভয় সংকটে। টঙ্গী আসতে বাধা দিলে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে। আর আসতে দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌঁছে যাবেন রাজধানীর উপকণ্ঠে। এই বিষয়টি মোকাবেলা সরকারের জন্য একেবারেই অসম্ভব।
দ্বিতীয়ত, বিরোধী দল রাজধানীতে যে কর্মসূচির ছক এঁকেছে, সেই ছক ভাঙতে গেলে উত্তেজনা-সহিংসতার জন্ম হওয়া স্বাভাবিক। সেই বিবেচনা মাথায় রেখে সরকারকে ছক ভাঙতে হবে। সেটি কতটুকু সম্ভব হবে তা কেবল সময়ই বলতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারা আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। তারা মনে করছে, রাজধানীতে আন্দোলন না হলেও সমস্যা নেই। ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। এতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সরকারের মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
অবরোধের প্রভাবে ইতিমধ্যে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই শীতকালে যেখানে শাক-সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে ঢাকায়, সেখানে এখন কোনো সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে নয়। বর্ষাকালেও রাজধানীর সবজির দাম এত চড়া থাকে না।
বিএনপি আরো মনে করে, এই অবরোধ কর্মসূচি যত দিন ধরে রাখা যাবে, ততই মফস্বল এলাকার পরিবেশ আরো বেশি করে নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকবে। এতে কর্মীরা উৎসাহিত হবেন, তারা আরো সক্রিয়ভাবে মাঠে নামবেন।
আরো জানা যায়, প্রথম পর্বের ইজতেমার পরদিন সোমবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেবে বিএনপি। এর জন্য তারা পুলিশের কাছে অনুমতি চাইবে না। কারণ দলটির নেতারা ধরেই নিয়েছেন, পুলিশের অনুমতি চেয়ে সমাবেশ করার সুযোগ আর নেই। সরকার তা কখনোই করতে দেবে না। তাই সুবিধামতো রাজধানীর যেকোনো জায়গায় সমাবেশ হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের সমাবেশের উদ্যোগ রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে তুলবে। বিরোধী দল চাইছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদটি যত ওপরে ওঠানো যায়।
সোমবারের জনসমাবেশের পরিকল্পনার পেছনে অন্তত দুটি কারণ রয়েছে। এক. এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হবে, তা চলমান অবরোধ কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার জন্য সহায়ক হবে বলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। দ্বিতীয়ত, ইজতেমায় আসায় বিএনপির নেতাকর্মীদের এই সমাবেশে যোগ দেয়া সহজ হবে। আর যদি তাদের টঙ্গী থেকে ঢাকা আসতে বাধা দেয়া হয়, তাহলেও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হবে। সেটিও বিরোধী দলের পক্ষে যাবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, যত সংঘর্ষ, যত উত্তেজনা, সবকিছুর ফল তাদের অনুকূলে যাবে। সংকটে পড়বে সরকার।
সরকারও এসব বিষয় নিয়ে ভাবছে বলে জানা গেছে। তবে তা মোকাবিলায় সরকার উভয় সংকটে। টঙ্গী আসতে বাধা দিলে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে। আর আসতে দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌঁছে যাবেন রাজধানীর উপকণ্ঠে। এই বিষয়টি মোকাবেলা সরকারের জন্য একেবারেই অসম্ভব।
দ্বিতীয়ত, বিরোধী দল রাজধানীতে যে কর্মসূচির ছক এঁকেছে, সেই ছক ভাঙতে গেলে উত্তেজনা-সহিংসতার জন্ম হওয়া স্বাভাবিক। সেই বিবেচনা মাথায় রেখে সরকারকে ছক ভাঙতে হবে। সেটি কতটুকু সম্ভব হবে তা কেবল সময়ই বলতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারা আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। তারা মনে করছে, রাজধানীতে আন্দোলন না হলেও সমস্যা নেই। ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। এতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সরকারের মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
অবরোধের প্রভাবে ইতিমধ্যে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই শীতকালে যেখানে শাক-সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে ঢাকায়, সেখানে এখন কোনো সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে নয়। বর্ষাকালেও রাজধানীর সবজির দাম এত চড়া থাকে না।
বিএনপি আরো মনে করে, এই অবরোধ কর্মসূচি যত দিন ধরে রাখা যাবে, ততই মফস্বল এলাকার পরিবেশ আরো বেশি করে নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকবে। এতে কর্মীরা উৎসাহিত হবেন, তারা আরো সক্রিয়ভাবে মাঠে নামবেন।
No comments