প্রেম নিয়ে বিরোধ, চট্টগ্রামে পুকুরে পাওয়া গেল সায়েমের লাশ by মহিউদ্দীন জুয়েল
প্রেমের
সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল বখাটে জাবেদ। বিষয়টি জানতে পেরে তাতে বাধা দেয় তার
বন্ধু সায়েম। কারণ যে মেয়েকে নিয়ে এতো ঘটনা সে ছিল সায়েমের আত্মীয়।
মেয়েটিকে জাবেদের সঙ্গে প্রকাশ্যে মেলামেশা করতে নিষেধ করেছিল সায়েম।
বলেছিল তার স্বভাব-চরিত্র ভাল নয়। তুমি ঠকবে। কিন্তু প্রেমের ফাঁদে থাকা
সেই মেয়েটির জন্য শেষমেশ খুন হতে হলো সায়েমকে। কারণ বিষয়টি জানার পর
প্রেমের পথে কোন বাধা রাখতে চাননি অভিযুক্ত জাবেদ। কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে
নিয়ে তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে হত্যার অভিযোগ। চট্টগ্রামের
বোয়ালখালীর রায়খাল এলাকায় ঘটে যাওয়া এমনি ঘটনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এই ঘটনায় থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ জাবেদসহ ২ সহপাঠীকে
গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে প্রেম নিয়েই পুরো হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সায়েম ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র। সে গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছে একটি পুকুরে ভেসে থাকা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে সায়েম পশ্চিম গোমদন্ডীর মিয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। তার স্কুলের বন্ধু জাবেদ এক আত্মীয়ার সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এতে বাধা দিলে সায়েমের ওপর চড়াও হয় জাবেদ। ঘটনার আগের দিন সোমবার রাতে এক বন্ধুকে দিয়ে কৌশলে ফোন করা হয় সায়েমকে। এই সময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, বাড়ি থেকে বের হ। কিছু কথা আছে। ফোন পেয়ে দ্রুত আসছি বলে বের হয় সায়েম। এরপর সারারাত তার কোন খোঁজ না পেয়ে সকালে গ্রামের লোকজন পুকুরে তার লাশ দেখতে পায়। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের দুই ব্যক্তি পুকুরে গোসল করতে নেমে দেখে সায়েমের লাশ ডুবে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এই সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ধারালো ব্লেড দিয়ে বখাটেরা তার গলায় টান দেয়। এরপর একজন হাত চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়।
পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত সায়েমের পরিবার অভিযোগ করেন, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়েমের বন্ধু মোবারক হোসেন জাবেদকে। সে বোয়ালখালীর দক্ষিণ করলডেঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল নামের আরও একজনকে। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাঙালপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তারা উদ্ধার করেছে একটি রক্তমাখা গামছা। আসামিদের মধ্যে সোহেল একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাবেদের পরামর্শেই দুইজন মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তারের পরপরই তারা দুইজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত সোমবার সায়েমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে। সেখানে তারা হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সায়েমকে শ্বাসরোধ করে। পরে ওই পুকুরে নিহতের লাশ ফেলে দিয়ে বাড়িতে গিয়ে গোসল করে।
জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ওসি শামছুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে আমাদের সন্দেহ। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে লোকজন আমাদেরকে জানিয়েছে। আশা করছি আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। থানার এসআই মোস্তাক চৌধুরী জানান, প্রেমের ঘটনা নিয়ে জাবেদ আর সায়েমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার রাত ১২টায় সায়েমকে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায় বখাটেরা। এরপর সে আর সারারাত বাড়ি ফেরেনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সায়েম ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র। সে গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছে একটি পুকুরে ভেসে থাকা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে সায়েম পশ্চিম গোমদন্ডীর মিয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। তার স্কুলের বন্ধু জাবেদ এক আত্মীয়ার সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এতে বাধা দিলে সায়েমের ওপর চড়াও হয় জাবেদ। ঘটনার আগের দিন সোমবার রাতে এক বন্ধুকে দিয়ে কৌশলে ফোন করা হয় সায়েমকে। এই সময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, বাড়ি থেকে বের হ। কিছু কথা আছে। ফোন পেয়ে দ্রুত আসছি বলে বের হয় সায়েম। এরপর সারারাত তার কোন খোঁজ না পেয়ে সকালে গ্রামের লোকজন পুকুরে তার লাশ দেখতে পায়। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের দুই ব্যক্তি পুকুরে গোসল করতে নেমে দেখে সায়েমের লাশ ডুবে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এই সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ধারালো ব্লেড দিয়ে বখাটেরা তার গলায় টান দেয়। এরপর একজন হাত চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়।
পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত সায়েমের পরিবার অভিযোগ করেন, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়েমের বন্ধু মোবারক হোসেন জাবেদকে। সে বোয়ালখালীর দক্ষিণ করলডেঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল নামের আরও একজনকে। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাঙালপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তারা উদ্ধার করেছে একটি রক্তমাখা গামছা। আসামিদের মধ্যে সোহেল একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাবেদের পরামর্শেই দুইজন মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তারের পরপরই তারা দুইজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত সোমবার সায়েমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে। সেখানে তারা হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সায়েমকে শ্বাসরোধ করে। পরে ওই পুকুরে নিহতের লাশ ফেলে দিয়ে বাড়িতে গিয়ে গোসল করে।
জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ওসি শামছুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে আমাদের সন্দেহ। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে লোকজন আমাদেরকে জানিয়েছে। আশা করছি আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। থানার এসআই মোস্তাক চৌধুরী জানান, প্রেমের ঘটনা নিয়ে জাবেদ আর সায়েমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার রাত ১২টায় সায়েমকে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায় বখাটেরা। এরপর সে আর সারারাত বাড়ি ফেরেনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
No comments