মিডিয়ায় ‘সরকারি হস্তক্ষেপে’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্বেগ, ইটিভি চেয়ারম্যান কারাগারে, বিচারকের বাড়িতে আগুনঃ বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে মিডিয়া: মায়া
গণমাধ্যম
নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী সমিতি। আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক এ এম
মাহবুব উদ্দিন খোকন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি যে, গত কয়েকদিনে সরকার গণমাধ্যমের ওপর
নানা নিয়ন্ত্রনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকার ক্যাবল অপারেটরদের দিয়ে
কৌশলে একুশে টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। চ্যানেলটির চেয়ারম্যান
আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গভীর রাতে এমন একটি মামলায়
গ্রেপ্তার করা হয়েছে যে মামলায় তিনি আসামি ছিলেন না। বেসরকারি টেলিভিশন
চ্যানেলগুলোর ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এসব চ্যানেল যেন সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংক্রান্ত লাইভ সম্প্রচার না করে। একটি
বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় একটি টকশো অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অন্যান্য টকশোতেও জনপ্রিয় আলোচকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একজন
রাজনীতিবিদের বক্তব্য প্রচারের ওপর আদালত থেকে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
আমরা মনে করি এসব পদক্ষেপ সংবিধান প্রদত্ত বাক স্বাধীনতার অধিকার খর্ব
করছে। আমরা এসব পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা
পরিস্কারভাবে বলতে চাই, অতীতে গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে কারও শেষ রক্ষা
হয়নি। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারেরও হবে না।
একুশের টিভির চেয়ারম্যানের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এইসঙ্গে তাকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সূচনার আদালত। এর আগে গত ৬ই জানুয়ারি আবদুস সালামকে আটক করে পুলিশ।
তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রায় দেয়া বিচারকের বাড়িতে আগুন
তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রায় দেয়া বিচারকের বাড়িতে আগুন
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেয়া হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোরে সদর উপজেলার দলিয়া গ্রামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, আজ ভোরে বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের দলিয়া গ্রামের বাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ির কিছু অংশ পুড়ে যায়। তবে ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। কাজী রেজাউল হকসহ তার পরিবারের সদস্যরা সবাই ঢাকায় থাকেন। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, গতকাল তারেক রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার না করার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে মিডিয়া: মায়া
বিএনপিকে গণমাধ্যমগুলো বাঁচিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি গণমাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আপনারা বিএনপির সংবাদ দিয়েন না, আমাদেরওটাও দিয়েন না। দেখেন, জনগণ কোন দিকে যায়। এদের (বিএনপি) আর পাওয়া যাবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের অবরোধবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে মায়া এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খালেদার অবরোধ কর্মসূচির দামও নেই, প্রভাবও নাই। জনগণকে নাটকের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করবেন না। অবরোধ দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে আর কষ্ট দিবেন না।’ তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে না পারে, এ জন্যই খালেদা জিয়া অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত খালেদাকে করতেই হবে।’ অবরোধে যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, তারা তারেক রহমানের বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী দাবি করেন মায়া। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে মিডিয়া: মায়া
বিএনপিকে গণমাধ্যমগুলো বাঁচিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি গণমাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আপনারা বিএনপির সংবাদ দিয়েন না, আমাদেরওটাও দিয়েন না। দেখেন, জনগণ কোন দিকে যায়। এদের (বিএনপি) আর পাওয়া যাবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের অবরোধবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে মায়া এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খালেদার অবরোধ কর্মসূচির দামও নেই, প্রভাবও নাই। জনগণকে নাটকের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করবেন না। অবরোধ দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে আর কষ্ট দিবেন না।’ তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে না পারে, এ জন্যই খালেদা জিয়া অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত খালেদাকে করতেই হবে।’ অবরোধে যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, তারা তারেক রহমানের বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী দাবি করেন মায়া। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments