খালি পড়ে আছে কোটি টাকার বাস টার্মিনাল by আবদুর রাজ্জাক
পৌর
মেয়র ও সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিবের দ্বন্দ্বে উদ্বোধনের পরও
চালু হয়নি পটিয়া পৌরসভার বাস টার্মিনাল। বাস-মিনিবাসহ কোনো যানবাহন
আসা-যাওয়া করে না এখান থেকে। ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বাস
টার্মিনাল এখন খালি পড়ে আছে। গত ১৩ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করেন স্থানীয়
সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবেশপথে চার-পাঁচটি কুকুর শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। টার্মিনালটি জনমানবশূন্য। যানবাহন না আসায় দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার কক্ষ তালাবদ্ধ। আশপাশে কোনো দোকানপাটও গড়ে ওঠেনি। চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটের বাসচালক সফিউল আলম বলেন, নতুন টার্মিনালটি মূল জংশন থেকে অনেক দূরত্বে। সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গাড়ি রাখার জায়গা কম। এ ছাড়া পর্যাপ্ত আলো ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য চালকদের এ ব্যাপারে আগ্রহও নেই।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া শহর এলাকাকে যানজটমুক্ত করা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর থেকে বর্তমান স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে কচুয়াই ইউনিয়নের চক্রশালা এলাকায় মহাসড়কের পাশে ৪৬ দশমিক ৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। এদিকে এর আগেই একই বছর ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি সমাবেশ থেকে এটির ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জায়গা ভরাট করে সেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে শহর অবকাঠোমা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যামে টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে।
পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ও পটিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরোধিতার কারণে বাসচালকেরা টার্মিনালে যাচ্ছেন না। অথচ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে টার্মিনালের জায়গা অধিগ্রহণের কাগজপত্র হস্তান্তরের সময় তিনি নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালটির ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছেন, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে তিনি সেটার বিরোধিতা করছেন।
চালকদের দাবি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, টার্মিনালে ৬০টি গাড়ি রাখা যাবে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারণ হবে। ইতিমধ্যে সেখানে একটি নলকূপও স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজন নিরাপত্তাকর্মী।
জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পটিয়ায় ভালো কিছু হোক তা আমি চাই। তবে পৌর বাস টার্মিনালটি যাঁরা ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। তা ছাড়া পৌরসভা এলাকায় বাস টার্মিনাল না করে সেটা গ্রামের মধ্যে নিয়ে গেছেন, যেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের আড্ডা।’
টার্মিনাল ব্যবহার করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা টার্মিনালে যাব না, সে কথা বলছি না। এ ব্যাপারে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বৈঠক চাই আমরা।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবেশপথে চার-পাঁচটি কুকুর শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। টার্মিনালটি জনমানবশূন্য। যানবাহন না আসায় দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার কক্ষ তালাবদ্ধ। আশপাশে কোনো দোকানপাটও গড়ে ওঠেনি। চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটের বাসচালক সফিউল আলম বলেন, নতুন টার্মিনালটি মূল জংশন থেকে অনেক দূরত্বে। সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। গাড়ি রাখার জায়গা কম। এ ছাড়া পর্যাপ্ত আলো ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য চালকদের এ ব্যাপারে আগ্রহও নেই।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া শহর এলাকাকে যানজটমুক্ত করা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর থেকে বর্তমান স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে কচুয়াই ইউনিয়নের চক্রশালা এলাকায় মহাসড়কের পাশে ৪৬ দশমিক ৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। এদিকে এর আগেই একই বছর ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি সমাবেশ থেকে এটির ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জায়গা ভরাট করে সেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে শহর অবকাঠোমা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যামে টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে।
পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ও পটিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরোধিতার কারণে বাসচালকেরা টার্মিনালে যাচ্ছেন না। অথচ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে টার্মিনালের জায়গা অধিগ্রহণের কাগজপত্র হস্তান্তরের সময় তিনি নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালটির ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছেন, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে তিনি সেটার বিরোধিতা করছেন।
চালকদের দাবি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, টার্মিনালে ৬০টি গাড়ি রাখা যাবে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারণ হবে। ইতিমধ্যে সেখানে একটি নলকূপও স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজন নিরাপত্তাকর্মী।
জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পটিয়ায় ভালো কিছু হোক তা আমি চাই। তবে পৌর বাস টার্মিনালটি যাঁরা ব্যবহার করবেন, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল। তা ছাড়া পৌরসভা এলাকায় বাস টার্মিনাল না করে সেটা গ্রামের মধ্যে নিয়ে গেছেন, যেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের আড্ডা।’
টার্মিনাল ব্যবহার করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা টার্মিনালে যাব না, সে কথা বলছি না। এ ব্যাপারে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বৈঠক চাই আমরা।’
No comments