শফিক রেহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড
![]() |
শফিক রেহমান |
রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক শফিক রেহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তাঁকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। বিচারক মাজহারুল ইসলাম তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে রাজধানীর পল্টন থানায় করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনা মামলার তদন্ত করছে ডিবি। এতে শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মারুফ হোসেন জানান, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র মামলায় শফিক রেহমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা মামলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে এ ঘটনায় শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শফিক রেহমানকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার উপকমিশনার মারুফ জানান, শফিক রেহমান ২০১৩ সালে একবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তখনই জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন। আজ সকালে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলে কয়েকজন বাসায় ঢোকেন। শফিক রেহমান সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ভেবে তিনি (তালেয়া রেহমান) বাসার ভেতরে ছিলেন। পরে বাসার বাবুর্চি জানান, শফিক রেহমানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে নেওয়ার সময় তিনি (বাবুর্চি) বাধা দেন। এ সময় তাঁকে মারধর করে চুপ থাকতে বলা হয়। তালেয়া রেহমান বলেন, দারোয়ানের কাছে তিনি শোনেন, গাড়িতে করে শফিক রেহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা নিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে একজনের পোশাকের পেছনে ‘ডিবি’ লেখা ছিল। ডিএমপির ব্রিফিংয়ে মারুফ হোসেন সরদার দাবি করেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
No comments