জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত: জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়
২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি এ মন্তব্য করেন। সজীব ওয়াজেদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা ১৯৭১ সাল থেকে জানি যে জামায়াতে ইসলামী একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এখন আবারও এটি ইসলামিক স্টেটের তরফ থেকে সরাসরি প্রমাণ হলো। জামায়াতের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে আইএসে যোগ দিচ্ছে। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা সব জামায়াতের অথবা এর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সদস্য ছিল। এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত।’ এর আগে দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘এটা তাঁদের জন্য, যাঁরা মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা অনেক বড় কিছু মনে করছেন। বাস্তবতা হলো যে ২০১৫ সালে মার্কিন পুলিশ তাদের দেশে ৯৮৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়।  জয় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে নারী, শিশুসহ অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখাও সমর্থন করে। অবৈধ অভিবাসন হচ্ছে একটি দেওয়ানি লঙ্ঘন, এটি কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্যাতন অনুমোদন করেছে এবং অপহরণ ও নিপীড়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গোপন কারাগারে লোকজনকে আটক রেখেছে, যাকে তারা বলে ‘অসাধারণ পথ দর্শন’। এদের অধিকাংশ হলো সন্দেহভাজন জঙ্গি। কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই রয়েছে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরপরাধ নাগরিক, যাদের বছর খানেকের মধ্যে বা তারও বেশি সময় পর ছাড়া হয়। এই সময়ের মাঝে তাদের পরিবার জানতে পারে না যে তাদের অপহরণ করা হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ বেশির ভাগ ইউরোপিয়ান দেশগুলো এই “অসাধারণ পথ দর্শন” কার্যক্রমের সাহায্যকারী। এসব ঘটেছে পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সম্প্রতি তদন্ত শেষে ঘোষণা করেছে যে এই কাজগুলো ছিল অবৈধ। তারপরও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের লোকদের অপরাধমূলক কাজের তদন্তের বিষয়টি নাকচ করে এসেছে। কেউই কখনো এই বিষয়ে অভিযুক্ত হবেন না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের পুলিশ কম হত্যা করেছে এবং আমরা অপহরণ বা নির্যাতনকে কোনোভাবেই অনুমোদন করি না।’

No comments

Powered by Blogger.