বাতিল হওয়ার আগেই বদলে ফেলেছি
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে মুক্তি পেল দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবি শঙ্খচিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল আই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের ফাঁকে প্রথমআলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গৌতম ঘোষ ছবি করলেই আপনাকে নিচ্ছেন কেন?
মনের মানুষ-এর পর আমি তাঁর আরও একটি ছবিতে কাজ করব বলে ঘ্যানঘ্যান করেছি। তিনি বেশ বিরতি দিয়ে ছবি করেন। পাঁচ বছর পরে এসে শঙ্খচিল-এ আমাকে নিলেন। অথচ শুরুতে আমি তাঁর মনের মানুষ-এর চরিত্রটি করতে সাহসই পাইনি।
‘শঙ্খচিল’-এর প্রতিক্রিয়া কেমন?
গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের জন্য কলকাতায় ছবিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনী করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন আধা ঘণ্টার বেশি থাকতে পারবেন না। বেশিক্ষণ বসে থাকতে কষ্ট হয় তাঁর। কিন্তু তিনি ছবি শেষ না করে ওঠেননি। যাঁরা ছবি দেখেছেন, অনেকেই জানতে চেয়েছেন, রূপসা চরিত্রের শিশুটি আমার কেউ হয় কি না। বলেছি, হ্যাঁ, আমার মেয়ে।
প্রেক্ষাগৃহ কমছে। ছবির ভবিষ্যৎ কী হবে?
তাতে কি! পর্দা তো বাড়ছে। স্মার্টফোন, ইউটিউব, ওয়েব স্ট্রিমিং আরও কত ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সব ক্ষেত্রের জন্য কাজ হচ্ছে এবং দর্শক সেগুলো গ্রহণ করছেন।
কিন্তু ছবি থেকে আয় করতে না পারলে ছবি বানিয়ে লাভ কী?
ভালো ছবি এখনো সম্মান ও টাকা দুটিই আনে। শঙ্খচিল সম্মান এনেছে। আমার বিশ্বাস, এটা ব্যবসাও করবে।
‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘মনের মানুষ’-এ আপনি এক ‘অন্য’ প্রসেনজিৎ? কীভাবে বদলালেন নিজেকে?
একই ঘরানার প্রায় ৩০০ ছবি করেছি। তাই দর্শকের কাছে বাতিল হওয়ার আগেই নিজেকে বদলে ফেলেছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চনরা যেটা অনেক বয়সে এসে করেছেন, আমি একটু আগেই করেছি। ‘আমার’ ছবি বললে আমি ওই মনের মানুষ, বাইশে শ্রাবণ, শঙ্খচিল–এর কথাই বলব।
সাক্ষাৎকার: রাসেল মাহ্মুদ
No comments