ম্যাচ না দেখলেই মিস্!
লিভারপুল তখন ২-০ গোলে পিছিয়ে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুহুর্মুহু আক্রমণে যেকোনো সময় তা ৩-০ হয়ে যাবেই বলে মনে হচ্ছিল। হঠাৎ টিভি পর্দায় একটি ব্যানার দেখাল। এক লিভারপুল সমর্থকের হাতের ওই ব্যানারে লেখা, ‘মহান কিছু করতে চাইলে একটু পাগলামি থাকতে হয়।’ কী অবিশ্বাস্য, ম্যাচের বাকি সময়টুকু যা হলো তার পুরোটা তো পাগলামিই। পাড় ‘অল রেড’ সমর্থক ছাড়া কাল লিভারপুলের জয়, কে ভাবতে পেরেছিল?
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ফাইনালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লিভারপুলের নাম। ২০০৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০ পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখে সেদিন সমতা ফিরিয়ে পরে ম্যাচটিই জিতে নিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটি। কাল প্রত্যাবর্তনের নতুন এক গল্প লিখল লিভারপুল, আরও দুর্দান্তভাবে। একই রাতে অন্য ম্যাচেও ছড়াল রোমাঞ্চ। ইউরোপা লিগ বলে যদি কাল টিভি খুলে বসে না থাকেন, দু্ই দুটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেখানে পেনাল্টি শ্যুট আউটের রোমাঞ্চে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে সেভিয়া চলে গেছে সেমিফাইনালে। অন্য ম্যাচে ৪–৩ গোলের নাটকীয় জয় দিয়ে সেমিফাইনালে গেছে অল রেডরা। টিকে থাকার জন্য শেষ ২৫ মিনিটে তিনটি গোল করতেই হতো। লিভারপুল তিনটা গোলই করেছে। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, গল্প করতে পারবেন অনেক দিন। ইয়ুর্গেন ক্লপও এটাই বলেছিলেন শিষ্যদের। বলেছিলেন, এমন কিছু করো, যেন নাতিপুতিদের গল্প করতে পারো, ওই ম্যাচটায় আমিও ছিলাম। আর তাতেই ম্যাচটি যেন রূপকথার বইয়ের পাতা থেকে ছিঁড়ে আনা চিত্রনাট্য হয়ে গেল। যে চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেছিলেন একজন কিন্তু শেষ দিকে এসে তাঁর হাত থেকে কলম কেড়ে নিল অন্য কেউ। কাল বারবার ফিরে আসছিল ২০০৫ সালের স্মৃতি। ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ ক্লপও ‘গোপন কথা’ ফাঁস করে দিলেন, ‘ছেলেদের বললাম, আমি তখন ছিলাম না। কিন্তু লিভারপুলের বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকে শিরোপা জিতে এসেছে। হয়তো সেটি আবার করা অসম্ভব কিন্তু চেষ্টা তো করতেই পারি। যখন প্রথম গোলটি হলো সবাই বুঝতে পারল কিছু একটা ঘটেছে। সেটি শোনা যাচ্ছিল, অনুভব করা যাচ্ছিল, তার গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল।’ সত্যিই তো, অরিগির ওই গোলের সঙ্গে সঙ্গে যেন জেগে উঠল অ্যানফিল্ড। আবারও সুর বেজে উঠল, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক এলোন’। সে জন্যই তো একটু পরে মার্কো রয়েসের গোলে ৩-১ ব্যবধান হয়ে যাওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্য হতোদ্যম হয়নি লিভারপুল। কুতিনহোর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সেই শট, কিংবা ইউরোপা লিগে দুই ডিফেন্ডার সাখো ও লভরেনের গোলও তাই কেন যেন অবিশ্বাস্য মনে হয় না! যোগ করা সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও স্টারিজের বল বাড়িয়ে দেওয়া, মিলনারে সেই ক্রস কিংবা লভরেনের হেড-এ যেন হতোই! কাল যে ছিল এক জাদুকরী রাত, মাঠে ফিরে এসেছিল ২০০৫! কুতিনহো-মিলনারে ভর করেছিলেন স্টিভেন জেরার্ড-জাবি আলোনসোরা। ইউরোপার জাদুর রাত শুধু অ্যানফিল্ডে আটকে ছিল না। সেটি যে কাল ছিল সেভিয়ার মাঠেও। বিলবাওয়ের মাঠে ২-১ গোলের জয় নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থাতেই খেলতে নেমেছিল বর্তমান ইউরোপার শিরোপাধারী দলটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে আরিজ আদুরিজের গোলে এগিয়ে যায় বিলবাও। কিন্তু ৩ মিনিট পরেই গামেইরোর গোলে সমতায় ফেরে সেভিয়া। সেমির দৌড়ে এবার এগিয়ে গেল সেভিয়া। কাল যে ছিল রোমাঞ্চের রাত, ৮০ মিনিটে রাউল গার্সিয়ার গোল, স্কোর লাইন ২-১ (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩)! অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে পেনাল্টি শুট আউট। সেখানেও নাটক, দুই দলের ১০ শটের মাঝে মাত্র একটি বলই জালে পৌঁছাল না। সেটিও কার? ম্যাচ সেরা বেনাতেরটাই! পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ভিলেন বনে গেলেন এই মিডফিল্ডার। রোমাঞ্চকর রাতের স্বাদই পেল বিলবাও, জাদুর ছোঁয়াটা পেল সেভিয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ফাইনালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লিভারপুলের নাম। ২০০৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০ পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখে সেদিন সমতা ফিরিয়ে পরে ম্যাচটিই জিতে নিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটি। কাল প্রত্যাবর্তনের নতুন এক গল্প লিখল লিভারপুল, আরও দুর্দান্তভাবে। একই রাতে অন্য ম্যাচেও ছড়াল রোমাঞ্চ। ইউরোপা লিগ বলে যদি কাল টিভি খুলে বসে না থাকেন, দু্ই দুটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেখানে পেনাল্টি শ্যুট আউটের রোমাঞ্চে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে সেভিয়া চলে গেছে সেমিফাইনালে। অন্য ম্যাচে ৪–৩ গোলের নাটকীয় জয় দিয়ে সেমিফাইনালে গেছে অল রেডরা। টিকে থাকার জন্য শেষ ২৫ মিনিটে তিনটি গোল করতেই হতো। লিভারপুল তিনটা গোলই করেছে। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, গল্প করতে পারবেন অনেক দিন। ইয়ুর্গেন ক্লপও এটাই বলেছিলেন শিষ্যদের। বলেছিলেন, এমন কিছু করো, যেন নাতিপুতিদের গল্প করতে পারো, ওই ম্যাচটায় আমিও ছিলাম। আর তাতেই ম্যাচটি যেন রূপকথার বইয়ের পাতা থেকে ছিঁড়ে আনা চিত্রনাট্য হয়ে গেল। যে চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেছিলেন একজন কিন্তু শেষ দিকে এসে তাঁর হাত থেকে কলম কেড়ে নিল অন্য কেউ। কাল বারবার ফিরে আসছিল ২০০৫ সালের স্মৃতি। ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ ক্লপও ‘গোপন কথা’ ফাঁস করে দিলেন, ‘ছেলেদের বললাম, আমি তখন ছিলাম না। কিন্তু লিভারপুলের বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকে শিরোপা জিতে এসেছে। হয়তো সেটি আবার করা অসম্ভব কিন্তু চেষ্টা তো করতেই পারি। যখন প্রথম গোলটি হলো সবাই বুঝতে পারল কিছু একটা ঘটেছে। সেটি শোনা যাচ্ছিল, অনুভব করা যাচ্ছিল, তার গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল।’ সত্যিই তো, অরিগির ওই গোলের সঙ্গে সঙ্গে যেন জেগে উঠল অ্যানফিল্ড। আবারও সুর বেজে উঠল, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক এলোন’। সে জন্যই তো একটু পরে মার্কো রয়েসের গোলে ৩-১ ব্যবধান হয়ে যাওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্য হতোদ্যম হয়নি লিভারপুল। কুতিনহোর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সেই শট, কিংবা ইউরোপা লিগে দুই ডিফেন্ডার সাখো ও লভরেনের গোলও তাই কেন যেন অবিশ্বাস্য মনে হয় না! যোগ করা সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও স্টারিজের বল বাড়িয়ে দেওয়া, মিলনারে সেই ক্রস কিংবা লভরেনের হেড-এ যেন হতোই! কাল যে ছিল এক জাদুকরী রাত, মাঠে ফিরে এসেছিল ২০০৫! কুতিনহো-মিলনারে ভর করেছিলেন স্টিভেন জেরার্ড-জাবি আলোনসোরা। ইউরোপার জাদুর রাত শুধু অ্যানফিল্ডে আটকে ছিল না। সেটি যে কাল ছিল সেভিয়ার মাঠেও। বিলবাওয়ের মাঠে ২-১ গোলের জয় নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থাতেই খেলতে নেমেছিল বর্তমান ইউরোপার শিরোপাধারী দলটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে আরিজ আদুরিজের গোলে এগিয়ে যায় বিলবাও। কিন্তু ৩ মিনিট পরেই গামেইরোর গোলে সমতায় ফেরে সেভিয়া। সেমির দৌড়ে এবার এগিয়ে গেল সেভিয়া। কাল যে ছিল রোমাঞ্চের রাত, ৮০ মিনিটে রাউল গার্সিয়ার গোল, স্কোর লাইন ২-১ (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩)! অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে পেনাল্টি শুট আউট। সেখানেও নাটক, দুই দলের ১০ শটের মাঝে মাত্র একটি বলই জালে পৌঁছাল না। সেটিও কার? ম্যাচ সেরা বেনাতেরটাই! পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ভিলেন বনে গেলেন এই মিডফিল্ডার। রোমাঞ্চকর রাতের স্বাদই পেল বিলবাও, জাদুর ছোঁয়াটা পেল সেভিয়া।
No comments