৫০ সড়কে জলাবদ্ধতা

জলাবদ্ধতা
সড়ক ডুবে আছে পয়োনিষ্কাশন লাইনের ময়লা পানিতে। কোথাও জমেছে হাঁটুপানি। কোথাও আবার বড় বড় গর্ত। রাজধানীর শ্যামপুর, মাতুয়াইল ও দনিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি সড়কের এই বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন হয়ে আছে এসব সড়ক। অথচ দেখার কেউ নেই। এসব সড়কের জলাবদ্ধতা দূর করার ব্যাপারে এই তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উল্টো দনিয়া ইউনিয়নের কোথাও কোনো জলাবদ্ধতা ও সড়ক ভাঙাচোরা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। গত সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে এক হাঁটুরও বেশি পানি ও বড় বড় গর্ত থাকায় পশ্চিম মোহাম্মদনগর, পূর্ব কদমতলী, শ্যামপুর ঢাল, মুন্সিবাগ, কদমতলী, মেরাজনগর, মাদ্রাসা রোড, খানকা শরিফ রোড এলাকার প্রায় ১৫টি সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের দুপাশের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। প্রায় ৪০টি দোকানের ভেতরে ঢুকেছে পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লাইন ভেঙে যাওয়া ও সড়ক থেকে পয়োনিষ্কাশনের লাইন উঁচু হওয়ায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় সব সড়কই খানাখন্দে ভরা। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল ও দুর্গন্ধে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ পেটের পীড়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতি কারও কাছেই কাম্য হতে পারে না। এই তিনটি ইউনিয়ন কোনো সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। কিন্তু ডিএসসিসিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব এলাকার সড়কের জলাবদ্ধতা দূর হবে না—এমনটা ভাবা অন্যায়। এ ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্ষার মৌসুম এলে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে যেতে পারেন না। আর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও অনন্তকাল ঝুলে থাকতে পারে না। আশা করি সংশ্লিষ্ট সবার বোধোদয় ঘটবে।

No comments

Powered by Blogger.