ঘরে ফেরার সময়ও কেঁদেছেন ইনিয়েস্তা
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেছে বার্সেলোনা। সেদিন যে মুহূর্তে বার্সেলোনার সর্বনাশ নিশ্চিত হলো, ওই ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। আবার একটু পরেই নতুন করে বার্সেলোনার স্বপ্ন বাঁচিয়ে তোলার আশা জাগানোর মুহূর্তেও ছিলেন তিনি। তিনিই পেনাল্টি দিয়েছেন, তাঁর কারণেই পেনাল্টি না হোক, খুবই বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল বার্সা। কিন্তু হতাশা আর আশার দোলাচলে হতাশাটাই থাকল বাকি। শেষ পর্যন্ত ইনিয়েস্তা হয়ে গেলেন ট্রাজিক-নায়ক! ম্যাচের শেষে তাই নিজের আবেগকে আর আটকে রাখতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে সবার আগে টিম বাসে উঠে পড়লেন। তাঁকে অনুসরণ করে স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল কুয়াত্রোর ক্যামেরাও চলে গেল সেখানে। তখনই ক্যামেরার চোখে পড়ল সেই দৃশ্য—অবাধ্য চোখের জলকে বাঁধ মানাতে পারছেন না মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো। হাত দিয়ে বারবার চোখ মুছে নিচ্ছেন। হয়তো একটু আগের হতাশামাখা সেই মুহূর্ত ভোলার চেষ্টা করছিলেন প্রাণপণে। কোয়ার্টার ফাইনালে নিষ্প্রাণ বার্সেলোনা দলে ব্যতিক্রম হয়েছিলেন এই ইনিয়েস্তাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দ্বিতীয় গোলে নাম জড়িয়ে গেল তাঁর। ফেলিপে লুইসের খ্যাপাটে দৌড় আটকাতেই পারছিলেন না কোনো বার্সা ডিফেন্ডার। লুইসের ক্রস আটকাতে বাধ্য হয়েই বক্সে হাত বাড়িয়ে বল থামালেন ইনিয়েস্তা। দলকে বাঁচাতে নিজের সুনামও জলাঞ্জলি দিতে এতটুকু কার্পণ্য করলেন না। যদিও ওই যাত্রা প্রায় নিশ্চিত গোলটা হ্যান্ডবল করে ঠেকিয়ে দিলেও পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-০ গোলে এগিয়ে গেল অ্যাটলেটিকো। একটু পরেই প্রায়শ্চিত্ত প্রায় করেই ফেলেছিলেন। অ্যাটলেটিকোর ডি-বক্সে তাঁর ক্রসে হাত লাগান গ্যাবি। রেফারি ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত দেন, অথচ ঘটনাটি ঘটেছিল বক্সের মধ্যে। সে অনুযায়ী পেনাল্টি পাওয়ার কথা ছিল বার্সার। সে ক্ষেত্রে গোল করে অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে পারত ম্যাচ। দিনটি তো বার্সার দিন ছিল না, ছিল না ইনিয়েস্তার দিনও।
এ দিনটি যে এসেছিল ইনিয়েস্তাকে কাঁদাতেই!
এ দিনটি যে এসেছিল ইনিয়েস্তাকে কাঁদাতেই!
No comments