ইতালিতে এত গোল করতে পারতেন না মেসি-রোনালদো?
এ নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই যে তাঁরা দুজন নিজেদের সময়ের বাকি সবার চেয়ে আলাদা এবং অনেক এগিয়ে। এটাও বোধ হয় প্রশ্নাতীত যে সমকালীন শ্রেষ্ঠত্বের গণ্ডি ছাড়িয়ে লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবস্থান এখন সর্বকালের সেরাদের দলে। গোল করাকে যাঁরা ছেলেখেলা বানিয়ে রেখেছেন, আট বছর ধরে ব্যালন ডি’অরটাকে বানিয়ে রেখেছেন শুধুই নিজেদের সম্পত্তি, তাঁদের নিয়ে এর চেয়ে কম কিছু বলা যায় নাকি! কিন্তু এই যে মেসি-রোনালদো এত এত গোল করছেন, এটা কি শুধুই তাঁরা লা লিগায় খেলেন বলে? অন্য সব লিগেও কি তাঁরা একইভাবে গোল করতে পারতেন? সমান সফল হতেন বিশ্বের যেকোনো লিগে?
খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইন্টার মিলানের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মিরান্ডা। তাঁর মতে, অন্য অনেক লিগেই রোনালদো-মেসি একই রকম সফল হতেন। তবে সিরি ‘আ’-তে খেললে তাঁরা দুজন এত গোল পেতেন বলে মনে হয় না। ইন্টার মিলানে যোগ দেওয়ার আগে টানা চার মৌসুম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলেছেন মিরান্ডা। লা লিগা ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে অনেক বারই মেসি-রোনালদোর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সামলাতে হয়েছে দুজনকেই। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার ব্যাকের উপলব্ধি, ‘ওরা দুজনেই অসাধারণ খেলোয়াড়। যেকোনো লিগেই ওরা দুজন অনেক গোল করত।’ তবে এরপরই মিরান্ডা যোগ করেছেন, ‘তবে স্পেনে ওরা যে হারে গোল করে, ইতালিতে সেটা পারত না। কারণ, এখানে দলগুলো কৌশলগতভাবে অনেক সুসংগঠিত।’ ইতালিয়ান রক্ষণ বরাবরই স্ট্রাইকারদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার নাম। মিরান্ডার কথাটা তাই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে, মেসি-রোনালদোর এমন গোলবন্যা বইয়ে দেওয়ার কারণ শুধু স্পেনে খেলা নয়; তাঁদের দুজনের নিরন্তর একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তাড়নাও এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে রোনালদো ছয় মৌসুম খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এর মধ্যে শুধু এক মৌসুমেই (২০০৭-০৮) ৩০টির বেশি গোল। অথচ রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমটি বাদ দিলে পরের টানা পাঁচ মৌসুমেই ৫০টির বেশি গোল করেছেন। এবারও সেই পথেই আছেন। ৪২ ম্যাচে ৪৬ গোল হয়ে গেছে। ৫০ পেরোনো নিয়ে তাই কোনো প্রশ্নই নেই। মেসি অবশ্য লা লিগা ছাড়া অন্য কোনো লিগে খেলেননি। কিন্তু ২০০৯-১০ মৌসুমে রোনালদো রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত মেসিও মৌসুমে ৩০ গোলের বেশি করেছেন মাত্র একবার। অথচ রোনালদো আসার পর তাঁরও চারবার মৌসুমে ৫০-এর বেশি গোল! এবার অবশ্য তাঁর নিজের বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডে একটু ম্লানই বলতে হবে। ৪২ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সেলোনা বিদায় নেওয়ায় ‘৫০’ ছোঁয়া একটু কঠিনই। তবে সুয়ারেজ-নেইমারের উপস্থিতির পরও ম্যাচপ্রতি প্রায় একটি করে গোল যথেষ্টই বিস্ময়কর। দুজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়তো নিয়ত নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় রোনালদো-মেসিকে। ফোরফোরটু।
খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইন্টার মিলানের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মিরান্ডা। তাঁর মতে, অন্য অনেক লিগেই রোনালদো-মেসি একই রকম সফল হতেন। তবে সিরি ‘আ’-তে খেললে তাঁরা দুজন এত গোল পেতেন বলে মনে হয় না। ইন্টার মিলানে যোগ দেওয়ার আগে টানা চার মৌসুম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলেছেন মিরান্ডা। লা লিগা ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে অনেক বারই মেসি-রোনালদোর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সামলাতে হয়েছে দুজনকেই। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার ব্যাকের উপলব্ধি, ‘ওরা দুজনেই অসাধারণ খেলোয়াড়। যেকোনো লিগেই ওরা দুজন অনেক গোল করত।’ তবে এরপরই মিরান্ডা যোগ করেছেন, ‘তবে স্পেনে ওরা যে হারে গোল করে, ইতালিতে সেটা পারত না। কারণ, এখানে দলগুলো কৌশলগতভাবে অনেক সুসংগঠিত।’ ইতালিয়ান রক্ষণ বরাবরই স্ট্রাইকারদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার নাম। মিরান্ডার কথাটা তাই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে, মেসি-রোনালদোর এমন গোলবন্যা বইয়ে দেওয়ার কারণ শুধু স্পেনে খেলা নয়; তাঁদের দুজনের নিরন্তর একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তাড়নাও এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে রোনালদো ছয় মৌসুম খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এর মধ্যে শুধু এক মৌসুমেই (২০০৭-০৮) ৩০টির বেশি গোল। অথচ রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমটি বাদ দিলে পরের টানা পাঁচ মৌসুমেই ৫০টির বেশি গোল করেছেন। এবারও সেই পথেই আছেন। ৪২ ম্যাচে ৪৬ গোল হয়ে গেছে। ৫০ পেরোনো নিয়ে তাই কোনো প্রশ্নই নেই। মেসি অবশ্য লা লিগা ছাড়া অন্য কোনো লিগে খেলেননি। কিন্তু ২০০৯-১০ মৌসুমে রোনালদো রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত মেসিও মৌসুমে ৩০ গোলের বেশি করেছেন মাত্র একবার। অথচ রোনালদো আসার পর তাঁরও চারবার মৌসুমে ৫০-এর বেশি গোল! এবার অবশ্য তাঁর নিজের বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডে একটু ম্লানই বলতে হবে। ৪২ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সেলোনা বিদায় নেওয়ায় ‘৫০’ ছোঁয়া একটু কঠিনই। তবে সুয়ারেজ-নেইমারের উপস্থিতির পরও ম্যাচপ্রতি প্রায় একটি করে গোল যথেষ্টই বিস্ময়কর। দুজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়তো নিয়ত নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় রোনালদো-মেসিকে। ফোরফোরটু।
No comments