খর্বকায় শিশুর সাফল্য অর্জনে কিছু কৌশল by বিয়র্ন লোমবোর্গ
উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার কী হওয়া উচিত, তা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে গবেষণা করছে কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টার। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত উন্নয়নের ওপরও জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। বাংলাদেশের জন্য ভিশন ২০২১ অর্জনে এই গবেষণাভিত্তিক কিছু নিবন্ধ প্রকাশ করছে প্রথম আলো। আজ প্রকাশ করা হলো অষ্টম নিবন্ধটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মেয়ে এবং ৯৭ শতাংশ ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালিকাভুক্ত আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষায় অসাধারণ অগ্রগতির কারণ হলো এ দেশটি প্রাথমিক শিক্ষা-সংক্রান্ত দুটি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে। এগুলো হচ্ছে সর্বজনীন তালিকাভুক্তি এবং ছেলে-মেয়ে সমতা। যা-ই হোক, শিক্ষাব্যবস্থার অন্যান্য অংশ তেমন একটা ভালো অবস্থায় নেই। শিক্ষার নিম্ন মান এবং প্রাথমিক পর্যায়ের পরে স্কুলে ভর্তির নিম্ন হারের বিষয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। এবং শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে যে ব্যাপারটি, সেটি কিছুটা ভিন্ন ধরনের। এটা হচ্ছে খর্বকায় শিশু। বয়সের তুলনায় শিশুর খাটো হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। এটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটা শিক্ষা ও উন্নয়নের গতি ব্যাহত করে।
বাংলাদেশকে ভিশন ২০২১ এবং অন্যান্য লক্ষ্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহায়তা করতে পারে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যেসব সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলো মোকাবিলার সবচেয়ে ভালো উপায় কী কী? বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এবং এই অঞ্চল ও সারা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতায় গঠিত প্রকল্প ‘বাংলাদেশ প্রায়োরিটিজ’ এই প্রশ্ন এবং অন্য আরও অনেক প্রশ্নের ওপর গবেষণা চালায়। এই চলমান কর্মসূচিটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম পন্থাগুলো পরীক্ষা করে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে ব্যয়কৃত প্রতি টাকায় কোন সমাধানগুলো সর্বোচ্চ কল্যাণ বয়ে আনবে, সেই প্রশ্নের জবাব দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অতনু রাব্বানি এক নতুন গবেষণায় বাংলাদেশের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন লাভজনক কৌশল উপস্থাপন করেছেন এবং এগুলোর মধ্যে একটি খুবই সম্ভাবনাময় যা খর্বাকৃতির শিশুদের মনোসামাজিক উদ্দীপনা দিয়ে সাহায্য করা, যাতে তারা তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে জয় করতে পারে।
বাংলাদেশে ৬০ লাখ শিশু খর্বাকৃতির। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জন্মের পর প্রথম তিন বছরে যথাযথ পুষ্টি না পাওয়া বা ঘন ঘন সংক্রমণের কারণে শিশু খর্বকায় হতে পারে। এর প্রভাব অনেক সময় প্রায় সারা জীবন ধরে রয়ে যায়। এদের জ্ঞানের বিকাশ হয় দেরিতে, স্বাস্থ্য দুর্বল থাকে এবং বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য শৈশবে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে উন্নয়নের মানে হলো পরবর্তী জীবনে উচ্চতর বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন, উচ্চতর আয় এবং কম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা। এটা এমনকি ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। সৌভাগ্যবশত, একটি কৌশলের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে, যা খর্বাকৃতির শিশুদের তাদের জীবনের প্রথম অংশের বাধাগুলো সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের সমবয়সীদের মতো স্বাস্থ্যবান ও উৎপাদনশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্লেষণটি জ্যামাইকাতে ১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া একটি ২০ বছরের গবেষণা যাচাই করে দেখেছে। গবেষণার শুরুর দিকে ৯-২৪ মাস বয়সী খর্বাকৃতির শিশুরা অন্যান্য স্বাভাবিক উচ্চতার শিশুদের তুলনায় শিক্ষা ও উৎপাদনশীলতা—উভয় ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছিল। ওই কর্মসূচি চলার সময়ে, শিক্ষাবিষয়ক সমাজকর্মীরা প্রতি সপ্তাহে খর্বকায় শিশুদের দেখতে যেতেন। তাঁরা এসব শিশুর জ্ঞানের বিকাশ, ভাষাগত এবং মনোসামাজিক দক্ষতার উন্নয়নের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করতেন। সমাজকর্মীদের এই পরিদর্শন দুই বছর ধরে চলে এবং তাঁরা ওই শিশুদের মায়েদেরও শিখিয়েছিলেন যে কীভাবে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে একই ধরনের উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম করতে পারেন। এভাবে কর্মীদের প্রচেষ্টার ফল তাঁদের চলে যাওয়ার পরেও ছিল।
জ্যামাইকার দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার ফলাফল বিশ্বাস করাটা একটু কঠিনই বটে। মনোসামাজিক কার্যক্রম খর্বকায় হওয়ার সব ক্ষতিকর প্রভাবকে কাটিয়ে দিয়েছে। ২০ বছর পর দেখা গেছে, এই কার্যক্রমে যেসব শিশু অংশ নিয়েছিল, তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক-উচ্চতার শিশুদের দূরত্ব পুরোপুরি ঘুচে গেছে; যা তাদের সমান মজুরি এবং উপার্জনের মাত্রা দ্বারা হাতে-কলমে দেখিয়ে দিয়েছে। আর যেসব খর্বকায় শিশু এই কার্যক্রমে অংশ নেয়নি, তারা যারা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং স্বাভাবিক উচ্চতার শিশুদের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম আয় করছে।
বাংলাদেশে এ রকম যদি একটি শিশুর জন্য একজন সমাজকর্মী সপ্তাহে এক ঘণ্টা ব্যয় করেন, তাহলে বার্ষিক ব্যয় হবে ১২ হাজার ৪৫০ টাকা। তবে এ থেকে যে সুফল পাওয়া যাবে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে তাদের কর্মজীবনে প্রায় ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাবে; যার মূল্য ১৫ লাখ টাকারও বেশি। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য মনোসামাজিক উদ্দীপনা কর্মসূচিতে ব্যয় করা প্রতিটি টাকা ১৮ টাকার সুফল বয়ে আনবে।
‘উদ্দীপনা’ কর্মসূচি থেকে প্রাপ্ত সুফল সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তবে গবেষণা করে পাওয়া অন্যান্য কৌশলও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘স্ট্রিমিং’ বা শিক্ষাসংক্রান্ত অর্জনের মাত্রা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আবার দলীয়ভাবে নিয়োগ করা। এই কৌশল একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অর্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকর হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ব্যয়িত প্রতি টাকা ১২ টাকার সামাজিক কল্যাণ সাধন করবে।
আপনার কী মনে হয়? স্কুলের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রাক্-শৈশবকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ, বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য শ্রেষ্ঠ পন্থা? এর আগে আমরা দেখেছি কীভাবে অভিবাসনের সুযোগ সুফল বয়ে আনতে পারে। আপনি যদি দায়িত্বে থাকতেন এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধন করতে চাইতেন, তাহলে বিনিয়োগের জন্য আপনি কোন ক্ষেত্রটি বাছাই করতেন? <https://copenhagen. fbapp. io/education>-এ আপনার বক্তব্য শোনা যাক। ব্যয়িত প্রতি টাকায় বাংলাদেশ কীভাবে সর্বোচ্চ উন্নতি করতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
ড. বিয়ন লোমবোর্গ: কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট। টাইম ম্যাগাজিনের মূল্যায়নে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির একজন।
বাংলাদেশকে ভিশন ২০২১ এবং অন্যান্য লক্ষ্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহায়তা করতে পারে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যেসব সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলো মোকাবিলার সবচেয়ে ভালো উপায় কী কী? বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এবং এই অঞ্চল ও সারা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতায় গঠিত প্রকল্প ‘বাংলাদেশ প্রায়োরিটিজ’ এই প্রশ্ন এবং অন্য আরও অনেক প্রশ্নের ওপর গবেষণা চালায়। এই চলমান কর্মসূচিটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম পন্থাগুলো পরীক্ষা করে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে ব্যয়কৃত প্রতি টাকায় কোন সমাধানগুলো সর্বোচ্চ কল্যাণ বয়ে আনবে, সেই প্রশ্নের জবাব দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অতনু রাব্বানি এক নতুন গবেষণায় বাংলাদেশের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন লাভজনক কৌশল উপস্থাপন করেছেন এবং এগুলোর মধ্যে একটি খুবই সম্ভাবনাময় যা খর্বাকৃতির শিশুদের মনোসামাজিক উদ্দীপনা দিয়ে সাহায্য করা, যাতে তারা তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে জয় করতে পারে।
বাংলাদেশে ৬০ লাখ শিশু খর্বাকৃতির। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জন্মের পর প্রথম তিন বছরে যথাযথ পুষ্টি না পাওয়া বা ঘন ঘন সংক্রমণের কারণে শিশু খর্বকায় হতে পারে। এর প্রভাব অনেক সময় প্রায় সারা জীবন ধরে রয়ে যায়। এদের জ্ঞানের বিকাশ হয় দেরিতে, স্বাস্থ্য দুর্বল থাকে এবং বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য শৈশবে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে উন্নয়নের মানে হলো পরবর্তী জীবনে উচ্চতর বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন, উচ্চতর আয় এবং কম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা। এটা এমনকি ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। সৌভাগ্যবশত, একটি কৌশলের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে, যা খর্বাকৃতির শিশুদের তাদের জীবনের প্রথম অংশের বাধাগুলো সম্পূর্ণরূপে অতিক্রম করতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের সমবয়সীদের মতো স্বাস্থ্যবান ও উৎপাদনশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্লেষণটি জ্যামাইকাতে ১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া একটি ২০ বছরের গবেষণা যাচাই করে দেখেছে। গবেষণার শুরুর দিকে ৯-২৪ মাস বয়সী খর্বাকৃতির শিশুরা অন্যান্য স্বাভাবিক উচ্চতার শিশুদের তুলনায় শিক্ষা ও উৎপাদনশীলতা—উভয় ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছিল। ওই কর্মসূচি চলার সময়ে, শিক্ষাবিষয়ক সমাজকর্মীরা প্রতি সপ্তাহে খর্বকায় শিশুদের দেখতে যেতেন। তাঁরা এসব শিশুর জ্ঞানের বিকাশ, ভাষাগত এবং মনোসামাজিক দক্ষতার উন্নয়নের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করতেন। সমাজকর্মীদের এই পরিদর্শন দুই বছর ধরে চলে এবং তাঁরা ওই শিশুদের মায়েদেরও শিখিয়েছিলেন যে কীভাবে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে একই ধরনের উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম করতে পারেন। এভাবে কর্মীদের প্রচেষ্টার ফল তাঁদের চলে যাওয়ার পরেও ছিল।
জ্যামাইকার দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার ফলাফল বিশ্বাস করাটা একটু কঠিনই বটে। মনোসামাজিক কার্যক্রম খর্বকায় হওয়ার সব ক্ষতিকর প্রভাবকে কাটিয়ে দিয়েছে। ২০ বছর পর দেখা গেছে, এই কার্যক্রমে যেসব শিশু অংশ নিয়েছিল, তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক-উচ্চতার শিশুদের দূরত্ব পুরোপুরি ঘুচে গেছে; যা তাদের সমান মজুরি এবং উপার্জনের মাত্রা দ্বারা হাতে-কলমে দেখিয়ে দিয়েছে। আর যেসব খর্বকায় শিশু এই কার্যক্রমে অংশ নেয়নি, তারা যারা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং স্বাভাবিক উচ্চতার শিশুদের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম আয় করছে।
বাংলাদেশে এ রকম যদি একটি শিশুর জন্য একজন সমাজকর্মী সপ্তাহে এক ঘণ্টা ব্যয় করেন, তাহলে বার্ষিক ব্যয় হবে ১২ হাজার ৪৫০ টাকা। তবে এ থেকে যে সুফল পাওয়া যাবে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে তাদের কর্মজীবনে প্রায় ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাবে; যার মূল্য ১৫ লাখ টাকারও বেশি। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য মনোসামাজিক উদ্দীপনা কর্মসূচিতে ব্যয় করা প্রতিটি টাকা ১৮ টাকার সুফল বয়ে আনবে।
‘উদ্দীপনা’ কর্মসূচি থেকে প্রাপ্ত সুফল সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তবে গবেষণা করে পাওয়া অন্যান্য কৌশলও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘স্ট্রিমিং’ বা শিক্ষাসংক্রান্ত অর্জনের মাত্রা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আবার দলীয়ভাবে নিয়োগ করা। এই কৌশল একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অর্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকর হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ব্যয়িত প্রতি টাকা ১২ টাকার সামাজিক কল্যাণ সাধন করবে।
আপনার কী মনে হয়? স্কুলের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রাক্-শৈশবকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ, বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য শ্রেষ্ঠ পন্থা? এর আগে আমরা দেখেছি কীভাবে অভিবাসনের সুযোগ সুফল বয়ে আনতে পারে। আপনি যদি দায়িত্বে থাকতেন এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধন করতে চাইতেন, তাহলে বিনিয়োগের জন্য আপনি কোন ক্ষেত্রটি বাছাই করতেন? <https://copenhagen. fbapp. io/education>-এ আপনার বক্তব্য শোনা যাক। ব্যয়িত প্রতি টাকায় বাংলাদেশ কীভাবে সর্বোচ্চ উন্নতি করতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
ড. বিয়ন লোমবোর্গ: কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট। টাইম ম্যাগাজিনের মূল্যায়নে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির একজন।
No comments