অর্থ উঠিয়ে নেওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা আসে: মায়া
৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উঠিয়ে নেওয়ার পর অর্থ উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (রিজাল ব্যাংক) মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক মায়া স্যান্তোস দেগুইতো। সিনেটের পঞ্চম পর্যায়ের শুনানিতে তিনি এ দাবি করেন। মায়া সান্তোস দেগুইতো আরও জানান, অর্থ উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা আসার পর রিজাল ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ রাউল তান তাঁকে বলেছেন, এটা ব্যাংকের সমস্যা নয়। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। এ জন্য রিজাল ব্যাংকে চারটি ভুয়া হিসাব খুলে ওই অর্থ সেখানে রাখা হয়। পরে ওই সব হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। শুনানিতে মায়া সান্তোস দেগুইতো জানিয়েছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রিজাল ব্যাংকের সেটেলমেন্ট শাখার ই-মেইলে ওই ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ পান তিনি। একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম ওই ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করার অনুরোধ পাঠানো হয়। মায়া দাবি করেছেন, তিনি এই বার্তা পাওয়ার আগেই ওই অর্থ উঠিয়ে ফেলা হয়। মায়া জানান, তিনি (মায়া) ফোনে সহকর্মী ব্রিজিত্তি কাপিনাকে বিষয়টি জানিয়েছেন যে একটি সমস্যায় পড়েছেন। ওই হিসাবগুলোর অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ই-মেইল এসেছে। কিন্তু ওই হিসাবগুলো থেকে অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। কেননা ততক্ষণে ওই সব হিসাব থেকে অর্থ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি (মায়া) কাপিনাকে জানিয়েছেন, তিনি জানেন কোথায় এ অর্থ রয়েছে—এ তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু কাপিনা তাঁকে বলেছেন, ‘এটা আমাদের সমস্যা নয়।’ একপর্যায়ে কাপিনা তাঁর ফোনটি রিজাল ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ রাউল তানকে দেন। মায়া তখন বিষয়টি তানকে বলেন। তখন তান বলেছেন, ‘এটা আমাদের সমস্যা নয়, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের সমস্যা।’
No comments