হার্শার ‘বোধ-বুদ্ধি’ নিয়ে প্রশ্ন কাম্বলির
ইদানীং সময়টা খুব বেশি ভালো যাচ্ছে না হার্শা ভোগলের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ধারাভাষ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে নতুন করে বিনোদ কাম্বলির কথার ‘খোঁচা’ শুনতে হতে হলো তাঁকে। কাম্বলিকে নিয়ে হার্শা অনেক আগে একটি কলাম লিখেছিলেন। ওই কলামের সমালোচনা করতে গিয়ে যে তাঁর ‘বোধ-বুদ্ধি’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিনোদ কাম্বলি! কাম্বলির সমালোচনা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ক্রিকেটের ধারাভাষ্য বক্সে পরিচিত মুখ হার্শা কিছুটা চাপে আছেন। ৫৪ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার এবার কেন আইপিএলের ধারাভাষ্যে নেই, এর কারণ এখনো অজানা। কেউ বলছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের সময় মাশরাফিদের প্রশংসা বেশি করার মূল্যই দিতে হলো তাঁকে। কারও চোখে এটি বিশ্বকাপেরই অন্য ম্যাচের এক ঘটনার প্রভাব। নাগপুরে ভারতের ম্যাচ চলার সময় হার্শা ভেন্যুর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ঘটনাটি পরে জানানো হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরকে, যিনি নাগপুর ক্রিকেটেরও প্রধান। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই হার্শার ধারাভাষ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বোর্ড। তবে কারণ যা-ই হোক, হার্শার সময়টা যে প্রত্যাশা মতো যাচ্ছে না, সেটি ধরে নেওয়াই যায়। আর এই সময়টিকেই কিনা তাঁর অনেক আগের লেখা নিয়ে সমালোচনা করার জন্য বেছে নিলেন কাম্বলি! ভারতীয় ক্রিকেটে কাম্বলির দুটি পরিচয় আছে। প্রথমত-তিনি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের বিখ্যাত জুটি গড়েছিলেন। দ্বিতীয়ত-প্রকৃতি প্রদত্ত অনেক প্রতিভা থাকার পরও যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের এক আক্ষেপের নাম। তিন বছর আগে কাম্বলি যখন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন, সে সময়ে তাঁর শারীরিক সুস্থতা কামনা করে একটি কলাম লেখেন হার্শা। সেখানে একই সঙ্গে কাম্বলির প্রতিভা-সাফল্যের বিপরীতমুখী গ্রাফেরও উন্নতি চাওয়ার কথা লিখেছিলেন হার্শা। কিন্তু লেখাটি পড়ার পর কাম্বলির খুব একটা ভালো লাগেনি। এত দিন পর এসে তাই কাম্বলি টুইটারে বেশ সমালোচনা করেছেন হার্শার। লেখাটি ‘শেয়ার’ করেছিলেন কাম্বলি, যা দেখে ভক্তরা তাঁর অনুভূতি জানতে চেয়েছিলেন। উত্তর দিতে গিয়েই কাম্বলি লিখেছেন, ‘যখন হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলাম, তখন এমন কলাম তিনি লিখলেন! আসলে তাঁর কোনো বোধ-বুদ্ধিই নেই!’
No comments