অর্থ উদ্ধারে টাস্কফোর্স গঠন
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। গত মঙ্গলবারের তারিখ দিয়ে গতকাল বুধবার এ টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সাত সদস্যের এ আন্ত সংস্থা টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা হবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএফআইইউ থেকে একজন করে প্রতিনিধি। টাস্কফোর্সের কর্মপরিধির মধ্যে ছয়টি বিষয় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চুরি যাওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য দেশগুলোর আইনগত অবস্থা পর্যালোচনা; যেসব দেশে চুরি যাওয়া অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং পারস্পরিক আইনগত সহায়তা নেওয়া; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা; চুরি যাওয়া বা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা এবং প্রয়োজনে এসব সংস্থার সহায়তা নেওয়া; রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সময়ে সময়ে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা বা পরামর্শ পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া এবং সব সদস্যের সম্মতিতে এক বা একাধিক সদস্য টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা। গত ২৭ মার্চ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রয়োজনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়। এরপরেই টাস্কফোর্স গঠন করা হলো গতকাল।গত ৫ ফেব্রুয়ারি (৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। ফিলিপাইনের ইনকোয়ারার নামক পত্রিকা এ ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৫ মার্চ পদত্যাগ করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে।
No comments