পুরুষ অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে সৌদি নারীরা
নিকি
মিনাজ বললেন আর সৌদি আরব তা মেনে নিল বিষয়টা এত সহজ নয়। কিন্তু এবার
সত্যিই সৌদি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, শীঘ্রই দেশটির বিতর্কিত ‘পুরুষ
অভিভাবকত্ব আইন’ বাতিল করা হচ্ছে। ফলে এরপর থেকে দেশটির নারীরা চাইলেই
কোনো পুরুষ অভিবাবকের অনুমতি ছাড়াই দেশ ত্যাগ করতে পারবে। এছাড়া, বাইরে
চলাচল ও চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রেও আর পুরুষের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। নিকি
মিনাজ যেদিন নারী অধিকারের সমর্থনে সৌদি আরবের কনসার্ট বাতিল করলেন ওইদিনই
সৌদি কর্মকর্তাদের এমন পরিকল্পনার কথা প্রকাশিত হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের মধ্যেই এই আইন বাতিল করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশটির নারী ও পুরুষ চলাচল, দেশ ত্যাগ ও কর্মক্ষেত্রে সমান স্বাধীনতা পাবে। তবে এ স্বাধীনতা পেতে নারী-পুরুষ উভয়কেই ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী হতে হবে। দ্য ইকোনোমিস্ট লিখেছে, এমন একটি আইন দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উদারিকরণ প্রক্রিয়াও প্রশ্নের মুখে পরতে পারে।
তবে এটিও সত্যি যে গত ৫ বছর আগে এই পরিবর্তনের কথা চিন্তাও করা যেত না।
গত বছরের জুনে সৌদি আরব নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান ঘোষণা দেন, সৌদি নারীরা এখন থেকে পুরুষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারবেন। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে এই আইন বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। ক্রাউন প্রিন্স সালমান তখন প্রকাশ্যে সৌদি নারীদের আবায়া পরার বিষয়েও আইন শিথিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে এতকিছুর পরেও নারীদের মুক্তি কঠিন ছিল সৌদি আরবে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন। এই আইনের ফলে সুযোগ থাকা সত্বেও নারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারত না। সৌদি নারীদের ১৬ শতাংশ জানিয়েছে, তার কোনো না কোনো পুরুষ আত্মীয়ের বাধার কারণেই তারা গাড়ি চালাতে পারছে না।
নারীদের পুরুষের অধিনস্ততা থেকে মুক্তি দিলে এটি সৌদি আরবে আরো বড় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। দেশটির শহরগুলো কিছুটা উদার হলেও এর বাইরের অঞ্চলগুলো কট্টর রক্ষণশীলতার চাদরে ঢাকা। ফলে এই আইন বাতিল করলে সেসব অঞ্চলের নারীরা মুক্তির আশায় দেশ ত্যাগ করতে শুরু করবে। ফলে কয়েকদিন আগের আলোচিত তরুণী রাহাফ মোহাম্মদের মত আরো অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবে। রাহাফকে তার পরিবার ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালালেও সে ওই যাত্রায় বেঁচে যায়। তাকে পরবর্তীতে কানাডা সরকার আশ্রয় দেয় যা অন্য সৌদি নারীদেরকেও দেশ ত্যাগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করে দ্য ইকোনোমিস্ট।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এখনো দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সফল হননি। দেশটির বেকারত্বের হার এখন যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। এছাড়া, বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি সৌদি আরবের ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করেছেন কিন্তু তাও কিছু ক্ষেত্রে অসম। ক্রাউন প্রিন্সের আচরণেও রয়েছে কিছুটা বৈপরীত্য। তিনি কিছু সমাজ সংস্কারককে জেলও দিয়েছেন। আবার নিজেও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি সৌদি আরবে আমদানি করছেন। তিনি মনে করেন সৌদি আরবে যদি আন্তর্জাতিক তারকারা কনসার্ট করতে আসেন তাহলে সৌদি জনগণ বিনোদনের জন্য বিদেশে যাবে না। তাই অর্থনৈতিক দিককে সামনে রেখে তিনি সৌদিতে সিনেমা হল নির্মাণ করছেন, নিয়মিত বিদেশি তারকাদের এনে কনসার্ট আয়োজন করছেন এবং একইসঙ্গে নারীদের অধিকতর স্বাধীনতা নিশ্চিতে সচেষ্ট হচ্ছেন। সৌদি তরুণরাও এই তার এই সংস্কার উপভোগ করছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের মধ্যেই এই আইন বাতিল করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশটির নারী ও পুরুষ চলাচল, দেশ ত্যাগ ও কর্মক্ষেত্রে সমান স্বাধীনতা পাবে। তবে এ স্বাধীনতা পেতে নারী-পুরুষ উভয়কেই ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী হতে হবে। দ্য ইকোনোমিস্ট লিখেছে, এমন একটি আইন দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উদারিকরণ প্রক্রিয়াও প্রশ্নের মুখে পরতে পারে।
তবে এটিও সত্যি যে গত ৫ বছর আগে এই পরিবর্তনের কথা চিন্তাও করা যেত না।
গত বছরের জুনে সৌদি আরব নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান ঘোষণা দেন, সৌদি নারীরা এখন থেকে পুরুষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারবেন। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে এই আইন বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। ক্রাউন প্রিন্স সালমান তখন প্রকাশ্যে সৌদি নারীদের আবায়া পরার বিষয়েও আইন শিথিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে এতকিছুর পরেও নারীদের মুক্তি কঠিন ছিল সৌদি আরবে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন। এই আইনের ফলে সুযোগ থাকা সত্বেও নারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারত না। সৌদি নারীদের ১৬ শতাংশ জানিয়েছে, তার কোনো না কোনো পুরুষ আত্মীয়ের বাধার কারণেই তারা গাড়ি চালাতে পারছে না।
নারীদের পুরুষের অধিনস্ততা থেকে মুক্তি দিলে এটি সৌদি আরবে আরো বড় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। দেশটির শহরগুলো কিছুটা উদার হলেও এর বাইরের অঞ্চলগুলো কট্টর রক্ষণশীলতার চাদরে ঢাকা। ফলে এই আইন বাতিল করলে সেসব অঞ্চলের নারীরা মুক্তির আশায় দেশ ত্যাগ করতে শুরু করবে। ফলে কয়েকদিন আগের আলোচিত তরুণী রাহাফ মোহাম্মদের মত আরো অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবে। রাহাফকে তার পরিবার ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালালেও সে ওই যাত্রায় বেঁচে যায়। তাকে পরবর্তীতে কানাডা সরকার আশ্রয় দেয় যা অন্য সৌদি নারীদেরকেও দেশ ত্যাগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করে দ্য ইকোনোমিস্ট।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এখনো দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সফল হননি। দেশটির বেকারত্বের হার এখন যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। এছাড়া, বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি সৌদি আরবের ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করেছেন কিন্তু তাও কিছু ক্ষেত্রে অসম। ক্রাউন প্রিন্সের আচরণেও রয়েছে কিছুটা বৈপরীত্য। তিনি কিছু সমাজ সংস্কারককে জেলও দিয়েছেন। আবার নিজেও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি সৌদি আরবে আমদানি করছেন। তিনি মনে করেন সৌদি আরবে যদি আন্তর্জাতিক তারকারা কনসার্ট করতে আসেন তাহলে সৌদি জনগণ বিনোদনের জন্য বিদেশে যাবে না। তাই অর্থনৈতিক দিককে সামনে রেখে তিনি সৌদিতে সিনেমা হল নির্মাণ করছেন, নিয়মিত বিদেশি তারকাদের এনে কনসার্ট আয়োজন করছেন এবং একইসঙ্গে নারীদের অধিকতর স্বাধীনতা নিশ্চিতে সচেষ্ট হচ্ছেন। সৌদি তরুণরাও এই তার এই সংস্কার উপভোগ করছেন।
No comments