হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীতে ঠাসা
হাসপাতালগুলো
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীতে পরিপূর্ণ। মেডিসিন অনুষদের চিকিৎসকদের
চেম্বারে লম্বা লাইন। ডেঙ্গু সন্দেহে আসছেন জ্বর হলেই। সবাই ডেঙ্গু ভাইরাসে
আক্রান্ত নন। সন্দেহবশত আসছেন তারা। কারণ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে শরীরের
অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসার আওতায় আসতে চান। এমন রোগীতে ভর্তি
এখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ও দেশের অন্যান্য
অঞ্চলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৬৮৭ জন। এদের
সবাইকে নিশ্চিত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১ আগস্ট ছিল সর্বোচ্চ
এক হাজার ৭১২ জন। আগস্টের দুই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৩৯৯
জন। জুলাই মাসের ৩১ দিনে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ১৭ হাজার ১৮৩ জন।
এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এর আগে এক মাসে তো নয়ই, সারা বছরও এত বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি। মূলত ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে অবহেলার কারণেই সবার ধারণা এডিস মশা বেড়েছে ব্যাপক হারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা: সানিয়া তাহমিনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশের বৃষ্টির অবস্থা থেকে গত মার্চ মাসেই সিটি করপোরেশনকে সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল মার্চ মাসের মধ্যেই যেন ব্যাপক ভিত্তিতে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হয়। অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, বর্ষার শুরুতেই মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এতটা সমস্যা হতো না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে যারা আসছে ডেঙ্গু সন্দেহে তাদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বেশির ভাগই আসছে আতঙ্কে। তিনি জানান, এই আতঙ্কটা এক দিক থেকে খারাপ না। আগেভাগেই মানুষ চলে আসছেন চিকিৎসা নিতে। কিন্তু তারা এভাবে সরকারি হাসপাতালে ভিড় না করে একটু পরীক্ষা করে ডেঙ্গু নিশ্চিত হয়ে এলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সুবিধা হতো। তাহলে সরকারি হাসপাতালের চাপ কমে যেত। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সামর্থ্যরে বাইরে কয়েক গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আতঙ্কিত হয়ে নয়, নিশ্চিত হয়ে এখানে আসা উচিত। এখানে কাউকেই ফেরানো হয় না। এ দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে দুই শতাধিক সিট ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। এখানেও একই অবস্থা। ডেঙ্গু সন্দেহে যারা আসছেন এর বেশির ভাগই সাধারণ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত।
গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। মিটফোর্ডে ৩৫ জন, শিশু হাসপাতালে ৩৩ জন, হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ৩১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ১১৮ জন, বারডেমে ১৭ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ জন, পুলিশ হাসপাতালে ১৯ জন, মুগদা হাসপাতালে ৬৪ জন, বিজিবি হাসপাতালে পাঁচজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫৬ জন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৯২ জন অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে ৩৭০ জন। অবশিষ্ট ৬৬১ জন রাজধানী ঢাকার বাইরের আট বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উপরে উল্লিখিত সবাই ডেঙ্গু সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত। এর বাইরে তিনজন রয়েছে ডেঙ্গু হেমোরেজিকে আক্রান্ত। বেসরকারি হাসপাতালের ৩৮৭ জনের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১, ইবনে সিনা হাসপাতালে ১৯, স্কয়ার হাসপাতালে ১১, শমরিতায় ২১, ল্যাবএইডে ৪, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৮, গ্রিন লাইফে ২৬, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছে।
এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এর আগে এক মাসে তো নয়ই, সারা বছরও এত বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি। মূলত ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে অবহেলার কারণেই সবার ধারণা এডিস মশা বেড়েছে ব্যাপক হারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা: সানিয়া তাহমিনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশের বৃষ্টির অবস্থা থেকে গত মার্চ মাসেই সিটি করপোরেশনকে সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল মার্চ মাসের মধ্যেই যেন ব্যাপক ভিত্তিতে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হয়। অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, বর্ষার শুরুতেই মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এতটা সমস্যা হতো না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে যারা আসছে ডেঙ্গু সন্দেহে তাদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বেশির ভাগই আসছে আতঙ্কে। তিনি জানান, এই আতঙ্কটা এক দিক থেকে খারাপ না। আগেভাগেই মানুষ চলে আসছেন চিকিৎসা নিতে। কিন্তু তারা এভাবে সরকারি হাসপাতালে ভিড় না করে একটু পরীক্ষা করে ডেঙ্গু নিশ্চিত হয়ে এলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সুবিধা হতো। তাহলে সরকারি হাসপাতালের চাপ কমে যেত। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সামর্থ্যরে বাইরে কয়েক গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আতঙ্কিত হয়ে নয়, নিশ্চিত হয়ে এখানে আসা উচিত। এখানে কাউকেই ফেরানো হয় না। এ দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে দুই শতাধিক সিট ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। এখানেও একই অবস্থা। ডেঙ্গু সন্দেহে যারা আসছেন এর বেশির ভাগই সাধারণ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত।
গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। মিটফোর্ডে ৩৫ জন, শিশু হাসপাতালে ৩৩ জন, হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ৩১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ১১৮ জন, বারডেমে ১৭ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ জন, পুলিশ হাসপাতালে ১৯ জন, মুগদা হাসপাতালে ৬৪ জন, বিজিবি হাসপাতালে পাঁচজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫৬ জন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৯২ জন অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে ৩৭০ জন। অবশিষ্ট ৬৬১ জন রাজধানী ঢাকার বাইরের আট বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উপরে উল্লিখিত সবাই ডেঙ্গু সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত। এর বাইরে তিনজন রয়েছে ডেঙ্গু হেমোরেজিকে আক্রান্ত। বেসরকারি হাসপাতালের ৩৮৭ জনের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১, ইবনে সিনা হাসপাতালে ১৯, স্কয়ার হাসপাতালে ১১, শমরিতায় ২১, ল্যাবএইডে ৪, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২৮, গ্রিন লাইফে ২৬, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছে।
No comments