সন্ত্রাসী অর্থায়ন দমন করতে এফএটিএফ সেল গঠন করেছে পাকিস্তান by মুবারক জেব খান
মুদ্রা
পাচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থাগুলো যেন
কার্যকর ও সময় মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যে পাকিস্তানের
ফেডারেল বোর্ড অব রেভেনিউ (এফবিআর) একটি ফিনান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্ক ফোর্স
(এফএটিএফ) সেল গঠন করেছে।
এই সেল এফবিআরের কাছ থেকে এফএটিএফ সংশ্লিষ্ট কাজের তথ্য, ফিল্ড ফরমেশন, ডাইরেক্টরেট ও মিটিংয়ের রেকর্ড তলব করতে পারবে। এফএটিএফ ইস্যুগুলোর কাস্টমস কমপ্লাইয়েন্স সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকাণ্ডের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে এই এফএটিএফ সেল।
ইসলামাবাদের ডাইরেক্টর জেনারেল অব ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশনের অধিনে ন্যাস্ত করা হয়েছে এফএটিএফ সেল।
সরকারের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়, কাস্টমস কর্মকর্তা ওয়াহিদ মারওয়াতকে এই সেলের প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আন্ত:সীমান্ত মুদ্রা গমনাগমন বিষয়ক পরিদফতরের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করবেন। এফএটিএফের একটি বড় সুপারিশ ছিলো আন্ত:সীমান্ত মুদ্রা চলাচল বিষয়ক পরিদফতর গঠন করা। এই প্রতিষ্ঠান মূলত জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রা চোরকারবারীদের প্রফাইল তৈরি করার দায়িত্বে থাকবে।
আরেক কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসিফকে এফএটিএফের অতিরিক্ত পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওয়াজিদ জামানকে উপ পরিচালক, জহর আহমেদ মুঘালকে সুপারইনটেনডেন্ট ও সাজিদ মেহবুবকে ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তান কাস্টমসের প্রতি এফএটিএফের একটি বড় সুপারিশ ছিলো মুদ্রা পাচার কার্যকরভাবে রোধ করা। এটা বিশেষ করে দেশের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথগুলোতে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়নের একটি বড় উৎস। অর্থের চলাচলের উপর নজর রাখতে একটি সিস্টেম গড়ে তুলতে বলা হয়।
এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানিয়েছেন গত পাঁচ বছরে মুদ্রা পাচার মামলায় ১৪৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার কা হয় বিদায়ী অর্থবছরে।
মুদ্রাপাচারের সঙ্গে জড়িতরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে কাস্টমস বিভাগ। পাচার করা অর্থ শেষ পর্যন্ত কোথায় খরচ করা হয়েছে সেটাও দেখা হবে। আটককৃত ব্যক্তিরা অর্থ পাচারের মাধ্যমে যে টাকা কামাই করেছে তা নিষিদ্ধ সত্ত্বা বা ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করা হবে।
সন্ত্রাসী অর্থায়নের কোন সংযোগ পাওয়া গেলে সেই তথ্য কাস্টমস বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানানো হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাকিস্তান কাস্টমস প্রায় ৪৮৫ মিলিয়ন রুপি মূল্যের মুদ্রা আটক করেছে। এর আগের বছর আটক করা হয় ১৫৭ মিলিয়ন রুপি। এতে দেখা যায় যে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে মুদ্রা পাচার বিরোধী অভিযান প্রত্যাশিত ফল দিতে শুরু করেছে।
গত পাঁচ বছরে মোট ১১৮টি ঘটনায় ৯১১ মিলিয়ন রুপি জব্দ করা হয়। আটক ১৪৪ ব্যক্তির মধ্যে ৬৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় আদালত ১৮.১ মিলিয়ন রুপি জরিমানা করে।
মুদ্রা পাচার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য পাকিস্তান কাস্টমস এ পর্যন্ত বিদেশী সরকার/কাস্টমসের সঙ্গে ২২টি সহযোগিতামূলক এমওইউ/চুক্তি সই করেছে।
এসব চুক্তির আওতায় মুদ্রা আটকের ঘটনায় পারস্পরিক আইনগত সহায়তার জন্য বিদেশী প্রতিপক্ষকে এর সংযোগ চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে।
প্রয়োগের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, দেশের ২৪টি বিমান বন্দরে মুদ্রা ঘোষণা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বিদেশে যাওয়া ও আসা প্রত্যেককে স্বেচ্ছায় সঙ্গে থাকা মুদ্রার ঘোষণা দিতে হবে।
এই সেল এফবিআরের কাছ থেকে এফএটিএফ সংশ্লিষ্ট কাজের তথ্য, ফিল্ড ফরমেশন, ডাইরেক্টরেট ও মিটিংয়ের রেকর্ড তলব করতে পারবে। এফএটিএফ ইস্যুগুলোর কাস্টমস কমপ্লাইয়েন্স সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকাণ্ডের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে এই এফএটিএফ সেল।
ইসলামাবাদের ডাইরেক্টর জেনারেল অব ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশনের অধিনে ন্যাস্ত করা হয়েছে এফএটিএফ সেল।
সরকারের এক নোটিফিকেশনে বলা হয়, কাস্টমস কর্মকর্তা ওয়াহিদ মারওয়াতকে এই সেলের প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আন্ত:সীমান্ত মুদ্রা গমনাগমন বিষয়ক পরিদফতরের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করবেন। এফএটিএফের একটি বড় সুপারিশ ছিলো আন্ত:সীমান্ত মুদ্রা চলাচল বিষয়ক পরিদফতর গঠন করা। এই প্রতিষ্ঠান মূলত জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রা চোরকারবারীদের প্রফাইল তৈরি করার দায়িত্বে থাকবে।
আরেক কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসিফকে এফএটিএফের অতিরিক্ত পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওয়াজিদ জামানকে উপ পরিচালক, জহর আহমেদ মুঘালকে সুপারইনটেনডেন্ট ও সাজিদ মেহবুবকে ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তান কাস্টমসের প্রতি এফএটিএফের একটি বড় সুপারিশ ছিলো মুদ্রা পাচার কার্যকরভাবে রোধ করা। এটা বিশেষ করে দেশের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথগুলোতে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়নের একটি বড় উৎস। অর্থের চলাচলের উপর নজর রাখতে একটি সিস্টেম গড়ে তুলতে বলা হয়।
এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানিয়েছেন গত পাঁচ বছরে মুদ্রা পাচার মামলায় ১৪৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার কা হয় বিদায়ী অর্থবছরে।
মুদ্রাপাচারের সঙ্গে জড়িতরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে কাস্টমস বিভাগ। পাচার করা অর্থ শেষ পর্যন্ত কোথায় খরচ করা হয়েছে সেটাও দেখা হবে। আটককৃত ব্যক্তিরা অর্থ পাচারের মাধ্যমে যে টাকা কামাই করেছে তা নিষিদ্ধ সত্ত্বা বা ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করা হবে।
সন্ত্রাসী অর্থায়নের কোন সংযোগ পাওয়া গেলে সেই তথ্য কাস্টমস বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানানো হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাকিস্তান কাস্টমস প্রায় ৪৮৫ মিলিয়ন রুপি মূল্যের মুদ্রা আটক করেছে। এর আগের বছর আটক করা হয় ১৫৭ মিলিয়ন রুপি। এতে দেখা যায় যে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে মুদ্রা পাচার বিরোধী অভিযান প্রত্যাশিত ফল দিতে শুরু করেছে।
গত পাঁচ বছরে মোট ১১৮টি ঘটনায় ৯১১ মিলিয়ন রুপি জব্দ করা হয়। আটক ১৪৪ ব্যক্তির মধ্যে ৬৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় আদালত ১৮.১ মিলিয়ন রুপি জরিমানা করে।
মুদ্রা পাচার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য পাকিস্তান কাস্টমস এ পর্যন্ত বিদেশী সরকার/কাস্টমসের সঙ্গে ২২টি সহযোগিতামূলক এমওইউ/চুক্তি সই করেছে।
এসব চুক্তির আওতায় মুদ্রা আটকের ঘটনায় পারস্পরিক আইনগত সহায়তার জন্য বিদেশী প্রতিপক্ষকে এর সংযোগ চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে।
প্রয়োগের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, দেশের ২৪টি বিমান বন্দরে মুদ্রা ঘোষণা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বিদেশে যাওয়া ও আসা প্রত্যেককে স্বেচ্ছায় সঙ্গে থাকা মুদ্রার ঘোষণা দিতে হবে।
No comments