ট্রাম্পের কাশ্মীর প্রস্তাব
ওয়াশিংটনে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকে বেশ কিছু
অর্জন হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। কিন্তু যে বিষয়টা
সবচেয়ে মনোযোগ কেড়েছে, সেটা হলো কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান ও ভারতের
মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন নেতা।
প্রধানমন্ত্রী খানের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মি ট্রাম্প বলেন, “আমি যদি সাহায্য করতে পারি, তাহলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আনন্দের সাথে কাজ করবো আমি”। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের সবচেয়ে বিস্ফোরক অংশ সম্ভবত এটা, যেখানে তিনি বলেছেন যে আসলে দুই সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই তাকে এই মধ্যস্থতার কথা বলেছেন।
ভারতের নেতাকে উদ্ধৃত করে মি ট্রাম্প বলেন, “তিনি আসলে বলেছেন আমি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবো কি না?”
ভারতের প্রতিক্রিয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। নয়াদিল্লীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইট করে বলেছে যে, “প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কোন অনুরোধ করেননি” এবং তারা ভারতের যে সাধারণ নীতি সেটার পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন যে, পাকিস্তানের সাথে সকল ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান হতে হবে। অন্যদিকে ইমরান খানের মন্তব্য অনেকখানি গ্রহণযোগ্য। তিনি বলেছেন যে, কাশ্মীরে শান্তি আনার জন্য আমেরিকান নেতা যদি সাহায্য করেন, তাহলে উপমহাদেশের “এক বিলিয়ন মানুষের প্রার্থনা’ থাকবে তার জন্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির স্টাইল সম্পর্কে আগাম ধারণা করাটা মুশকিল। কিছু ক্ষেত্রে (ইরান) তিনি বেপরোয়া নীতি গ্রহণ করেছে, অন্যখানে (উত্তর কোরিয়া) তিনি চরম নমনীয় হয়ে এক দশকের পুরনো বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করছেন। যদিও তিনি সতর্কতা বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রীতিনীতিকে বাতাসে ছুড়ে ফেলতে পারেন, এবং বৈশ্বিক ইস্যুগুলোকে ব্যক্তিগত বিবেচনা থেকে দেখতে পারে, কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য তার এই কৌশলটাই যেন দরকার ছিল।
তার দাবির সত্যমিথ্যার বিষয়ে বলতে হবে যে, মি ট্রাম্প এবং মি মোদিই কেবল ব্যাখ্যা করতে পারবেন তাদের কথোপকথনের মূল বিষয় কি ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে মি ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খুবই চমৎকার একটা প্রস্তাবনা, কারণ দ্বিপাক্ষিক কৌশল এখন পর্যন্ত কেবল ব্যর্থই হয়েছে। ইসলামাবাদ ও দিল্লী যদিও ২০০১ সালের আগ্রা সম্মেলনে সমাধানের অনেক কাছে চলে এসেছিল, তবে এর পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আর তেমন কোন আশা দেখা যায়নি।
শেষ বিবেচনায় পাকিস্তান, ভারত আর কাশ্মীরীদেরকেই সাত দশকের এই বিবাদ মীমাংসার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে বন্ধুপ্রতীম কোন পরাশক্তির দিক থেকে সামান্য ‘চাপ’ থাকলে সেটা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে একটা পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, বিশেষ করে মি মোদির অধীনে ভারতের অনড় আচরণের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জায়গায় খুব সামান্যই আশা অবশিষ্ট আছে, কারণ দিল্লী অব্যাহতভাবে ‘সন্ত্রাসবাদের’ বুলি আওড়ে যাচ্ছে, এবং পাকিস্তানের সংলাপের প্রস্তাবে সততার সাথে কোন সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ বা অন্য কোন বৈশ্বিক পক্ষ – যারাই হোক না কেন, একটা বহুপাক্ষিক ফ্রেমওয়ার্ক হয়তো কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারবে। দিল্লী হয়তো দেশের ভেতরে নিজের ‘শক্তিশালী’ ইমেজ তৈরি করতে যাচ্ছে, কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র সমাধান অর্থপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমেই আসতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী খানের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মি ট্রাম্প বলেন, “আমি যদি সাহায্য করতে পারি, তাহলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আনন্দের সাথে কাজ করবো আমি”। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের সবচেয়ে বিস্ফোরক অংশ সম্ভবত এটা, যেখানে তিনি বলেছেন যে আসলে দুই সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই তাকে এই মধ্যস্থতার কথা বলেছেন।
ভারতের নেতাকে উদ্ধৃত করে মি ট্রাম্প বলেন, “তিনি আসলে বলেছেন আমি মধ্যস্থতাকারী হতে পারবো কি না?”
ভারতের প্রতিক্রিয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। নয়াদিল্লীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইট করে বলেছে যে, “প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কোন অনুরোধ করেননি” এবং তারা ভারতের যে সাধারণ নীতি সেটার পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন যে, পাকিস্তানের সাথে সকল ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান হতে হবে। অন্যদিকে ইমরান খানের মন্তব্য অনেকখানি গ্রহণযোগ্য। তিনি বলেছেন যে, কাশ্মীরে শান্তি আনার জন্য আমেরিকান নেতা যদি সাহায্য করেন, তাহলে উপমহাদেশের “এক বিলিয়ন মানুষের প্রার্থনা’ থাকবে তার জন্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির স্টাইল সম্পর্কে আগাম ধারণা করাটা মুশকিল। কিছু ক্ষেত্রে (ইরান) তিনি বেপরোয়া নীতি গ্রহণ করেছে, অন্যখানে (উত্তর কোরিয়া) তিনি চরম নমনীয় হয়ে এক দশকের পুরনো বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করছেন। যদিও তিনি সতর্কতা বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রীতিনীতিকে বাতাসে ছুড়ে ফেলতে পারেন, এবং বৈশ্বিক ইস্যুগুলোকে ব্যক্তিগত বিবেচনা থেকে দেখতে পারে, কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য তার এই কৌশলটাই যেন দরকার ছিল।
তার দাবির সত্যমিথ্যার বিষয়ে বলতে হবে যে, মি ট্রাম্প এবং মি মোদিই কেবল ব্যাখ্যা করতে পারবেন তাদের কথোপকথনের মূল বিষয় কি ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে মি ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খুবই চমৎকার একটা প্রস্তাবনা, কারণ দ্বিপাক্ষিক কৌশল এখন পর্যন্ত কেবল ব্যর্থই হয়েছে। ইসলামাবাদ ও দিল্লী যদিও ২০০১ সালের আগ্রা সম্মেলনে সমাধানের অনেক কাছে চলে এসেছিল, তবে এর পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আর তেমন কোন আশা দেখা যায়নি।
শেষ বিবেচনায় পাকিস্তান, ভারত আর কাশ্মীরীদেরকেই সাত দশকের এই বিবাদ মীমাংসার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে বন্ধুপ্রতীম কোন পরাশক্তির দিক থেকে সামান্য ‘চাপ’ থাকলে সেটা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে একটা পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, বিশেষ করে মি মোদির অধীনে ভারতের অনড় আচরণের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জায়গায় খুব সামান্যই আশা অবশিষ্ট আছে, কারণ দিল্লী অব্যাহতভাবে ‘সন্ত্রাসবাদের’ বুলি আওড়ে যাচ্ছে, এবং পাকিস্তানের সংলাপের প্রস্তাবে সততার সাথে কোন সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ বা অন্য কোন বৈশ্বিক পক্ষ – যারাই হোক না কেন, একটা বহুপাক্ষিক ফ্রেমওয়ার্ক হয়তো কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারবে। দিল্লী হয়তো দেশের ভেতরে নিজের ‘শক্তিশালী’ ইমেজ তৈরি করতে যাচ্ছে, কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র সমাধান অর্থপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমেই আসতে পারে।
No comments