গাজাবাসীর হজের স্বপ্নপূরণ
দীর্ঘ
দিন ধরে গাজা অবরুদ্ধ। হজ পালনের জন্য নানান ঝোক্কি তাদের পোহাতে হয়। সেই
ঝোক্কি সামাল দিয়ে হজের স্বপ্নপূর্ণ করতে বহু সময় লেগে যায় তাদের। কিন্তু
এবার তাদের দিকে তাকিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিনি সরকার। বিমানে মাধ্যম
হজ করিয়ে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে এই সরকার। তার জন্য মিসর ও
সৌদি আরবেরও সহযোগিতা পেয়েছে তারা।
ওমর মুহাম্মদ রাবোউন, ১০ বছরের ধরে হজে যাওয়ার জন্য উগ্রিব হয়ে ছিলেন।কিন্তু এবছর ওমর ও তার স্ত্রী আমিরার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি, ফিলিস্তিনি সরকারের আওতাধীন ইসলামিক ওয়াকাফ মন্ত্রণালয়ের লটারিতে তাদের নাম হজে যাওয়ার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। খবরটি শোনা মাত্রই তাদের আনন্দের অন্ত নেই।
৬৯ বছরের ওমর, একজন জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সংস্থা ইউআরডব্লিউএ-এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি জানিয়েছেন,কাবা ও মদিনায় যাওয়ার জন্য তিনি আর প্রতীক্ষা করতে পাচ্ছেন না।তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে যাওয়া সুযোগ পাওয়া জন্য অপেক্ষা করেছি, অবশেষে এক মুসলিম হিসেবে ইসলাম নির্দেশিত হজ করার সুযোগ পাচ্ছি।'
সম্প্রতি, ওমরের মতো বহু ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের নিরাপদে হজ পালন করানোর জন্য কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সঙ্গে প্যালেসটাইন এয়ারওয়েজ-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীরা অতি সহজেই কায়রো বিমানবন্দর থেকে মদিনায় পৌঁছে যাবেন। কিন্তু, ওমর কোনো দিন বিমানে সফর করেননি। তবু, এই সফর নিয়ে তিনি একটুও চিন্তিত নন। তার কথায়, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং আমি জানি আমাদের জীবন আল্লাহর হাতেই রয়েছে।' তবে, চার পুত্র ও পাঁচ কন্যার জননী আমিরা বলেছেন, আমি কোনো দিন বিমানে যাত্রা করিনি। তাই, সত্যি কথা বলে কী আমি একটু বিষয় নিয়ে ভয় পাচ্ছি।'
ইতিমধ্যে ওমর ও আমিরা তাদের টিকিট এবং ভাউচার পেয়ে গেছেন।হানিফ ট্র্যাভেল এজেন্সি তাদের হজযাত্রার সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই পর্যটন সংস্থার মালিক মুহাম্মদ আবদেল বারি জানিয়েছেন, এ বছর থেকে হজযাত্রীদের মক্কা ও মদিনা পৌঁছাতে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে না। অতি সহজে কম সময়ের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। আমরা মিসর ও সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলছি। তার ফলে হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। কেবল মাত্র প্রথম চেক পোস্টেই তাদের চেকিং-এর সামনে পড়তে হবে। তারপর তারা কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সিনাইয়ের অন্য চেকপয়েন্টগুলোকে সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন।
ফিলিস্তিনি বিমান সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা রামাদান বারঘৌটি বলেন, ফিলিস্তিনি কোম্পানি হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য মিসরের বিমান সংস্থা ইজিপটএয়ার-এর কাছ থেকে আধুনিক বিমান ভাড়া করেছে। এই বিমানগুলো মাধ্যমে যাত্রীরা নিরাপদ ভাবে হজে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। এছাড়া থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে প্রতি হজযাত্রীর ৩,৯৪২ ডলার খরচ হবে।
উল্লেখ্য ২৫ জুলাই থেকে গাজার নাগরিকদের হজ শুরু হয়েছে। তারা ১৮ আগস্ট ফিরবেন। ফিলিস্তিনি পর্যটনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবছর গাজা থেকে প্রায় ৩০০০ গাজাবাসী হজযাত্রা করছেন। তাদের জন্য আরবে থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
>>>সূত্র : কলম
ওমর মুহাম্মদ রাবোউন, ১০ বছরের ধরে হজে যাওয়ার জন্য উগ্রিব হয়ে ছিলেন।কিন্তু এবছর ওমর ও তার স্ত্রী আমিরার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি, ফিলিস্তিনি সরকারের আওতাধীন ইসলামিক ওয়াকাফ মন্ত্রণালয়ের লটারিতে তাদের নাম হজে যাওয়ার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। খবরটি শোনা মাত্রই তাদের আনন্দের অন্ত নেই।
৬৯ বছরের ওমর, একজন জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সংস্থা ইউআরডব্লিউএ-এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি জানিয়েছেন,কাবা ও মদিনায় যাওয়ার জন্য তিনি আর প্রতীক্ষা করতে পাচ্ছেন না।তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে যাওয়া সুযোগ পাওয়া জন্য অপেক্ষা করেছি, অবশেষে এক মুসলিম হিসেবে ইসলাম নির্দেশিত হজ করার সুযোগ পাচ্ছি।'
সম্প্রতি, ওমরের মতো বহু ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের নিরাপদে হজ পালন করানোর জন্য কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সঙ্গে প্যালেসটাইন এয়ারওয়েজ-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীরা অতি সহজেই কায়রো বিমানবন্দর থেকে মদিনায় পৌঁছে যাবেন। কিন্তু, ওমর কোনো দিন বিমানে সফর করেননি। তবু, এই সফর নিয়ে তিনি একটুও চিন্তিত নন। তার কথায়, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং আমি জানি আমাদের জীবন আল্লাহর হাতেই রয়েছে।' তবে, চার পুত্র ও পাঁচ কন্যার জননী আমিরা বলেছেন, আমি কোনো দিন বিমানে যাত্রা করিনি। তাই, সত্যি কথা বলে কী আমি একটু বিষয় নিয়ে ভয় পাচ্ছি।'
ইতিমধ্যে ওমর ও আমিরা তাদের টিকিট এবং ভাউচার পেয়ে গেছেন।হানিফ ট্র্যাভেল এজেন্সি তাদের হজযাত্রার সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই পর্যটন সংস্থার মালিক মুহাম্মদ আবদেল বারি জানিয়েছেন, এ বছর থেকে হজযাত্রীদের মক্কা ও মদিনা পৌঁছাতে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে না। অতি সহজে কম সময়ের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। আমরা মিসর ও সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলছি। তার ফলে হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। কেবল মাত্র প্রথম চেক পোস্টেই তাদের চেকিং-এর সামনে পড়তে হবে। তারপর তারা কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সিনাইয়ের অন্য চেকপয়েন্টগুলোকে সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন।
ফিলিস্তিনি বিমান সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা রামাদান বারঘৌটি বলেন, ফিলিস্তিনি কোম্পানি হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য মিসরের বিমান সংস্থা ইজিপটএয়ার-এর কাছ থেকে আধুনিক বিমান ভাড়া করেছে। এই বিমানগুলো মাধ্যমে যাত্রীরা নিরাপদ ভাবে হজে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। এছাড়া থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে প্রতি হজযাত্রীর ৩,৯৪২ ডলার খরচ হবে।
উল্লেখ্য ২৫ জুলাই থেকে গাজার নাগরিকদের হজ শুরু হয়েছে। তারা ১৮ আগস্ট ফিরবেন। ফিলিস্তিনি পর্যটনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবছর গাজা থেকে প্রায় ৩০০০ গাজাবাসী হজযাত্রা করছেন। তাদের জন্য আরবে থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
>>>সূত্র : কলম
No comments