‘বেদনাহীন আত্মহত্যা’ উৎসাহিত করার অভিযোগ তসলিমার বিরুদ্ধে
শান্তিতে
বা বেদনাহীন আত্মহত্যার উপায় বলে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ভারতের ক্যাফে কফি ডে
প্রতিষ্ঠাতা ভি সিদ্ধার্থ সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড়
চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা রকম কথা। তবে তসলিমা নাসরিনের একটি
টুইটকে কেন্দ্র করে বেশ জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মুম্বই
মিরর। এতে তসলিমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে
তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে নেত্রবতী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে
আত্মহত্যা করেছেন সিদ্ধার্থ (৬০)।
তিনি নিখোঁজ এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট করেন তার গাড়িচালক। এরপর থেকেই ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অবশেষে বুধবার সকালে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। তার মৃত্যুতে সারা ভারতে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে তসলিমা নাসরিন একটি টুইট পোস্ট করেন। তাতে তিনি বেদনাহীন আত্মহত্যার উপায় বলে দেন। কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চান কীভাবে এ উপায়ে বেদনাহীন আত্মহত্যা করতে পারেন সেই পথ বাতলে দেন তিনি। প্রথম টুইটে তিনি ভি জি সিদ্ধার্থের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে লিখেছেন ‘কেন আপনি ফাঁস দিয়ে ঝুলবেন, পানিতে ডুবে মারা যাবেন, কেন কব্জি কাটবেন, কেন সুউচ্চ ভবন বা সেতু থেকে লাফিয়ে পড়বেন, কেন কীটনাশক পান করবেন, কেন বিষ পান করবেন, কেন সামনে থেকে ধেয়ে আসা একটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়বেন? প্রাণঘাতী মরফিনের ডোজ ব্যবহার করুন এবং শান্তিতে মারা যান।’ এ নিয়ে চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। কেউ একজন তার নিজের জীবন বের করে দেয়ার জন্য যে অনেক পথের কথা বলা হয়েছে তা শেয়ার করা যায় না বা উৎসাহিত করা যায় না- এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় রিটুইটে। এর জবাবে তসলিমা আরো একটি টুইট করেন। তিনি লিখেছেন ‘প্রতিদিন মানুষ আত্মহত্যা করছে। মাত্র দুই দিন আগে ক্যাফে কফি ডে’র মালিক একটি ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। কি বেদনাময় মৃত্যু!’
এরপরে তিনি আরো টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, তিনি লোকজনকে মরতে উৎসাহিত করছেন না। তিনি লিখেছেন ‘যেসব মানুষ আত্মহত্যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অথবা যারা আত্মহত্যা করবেনই তাদেরকে আমি বলছি শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা করতে। এটি একটি ইতিবাচক টুইট।’
তবে তার এসব টুইটের কড়া সমালোচনা করছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। তাদের একজন দীপিকা ভারদওয়াজ। তিনি লিখেছেন, আপনি আত্মহত্যার পথ বলে দিচ্ছেন। কীর্তি সিং লিখেছেন, যেকোনো উপায়েই হোক মৃত্যু বেদনাময়। যিনি মারা যাচ্ছেন তার শরীরে না হলেও, তাকে যারা ঘিরে থাকেন তাদের কাছে এটা বেদনার। এমন পরামর্শকে সমর্থন করা যায় না। অন্যদিকে জয়এনআর নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই ধারা বন্ধ করুন। ‘স্টুপিড’ দ্বিতীয় টুইট দিয়ে প্রথম টুইটকে জাস্টিফাই করা যায় না। তসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে রিদ্ধি সিং নামে একজন লিখেছেন, যারা আত্মহত্যা করতে চান তিনি তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন- কেন তারা উন্নততর উপায় অবলম্বন করেন না। ওকে!! এই নারী কে??? সিরিয়াসলি!!
বাংলাদেশি এই লেখিকাকে উদ্দেশ্য করে তেহসিন পুনাওয়ালা টুইট করেছেন, সততার সঙ্গে বলছি। আমার খুব খারাপ লাগছে। তার (তসলিমা) যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সহায়তা প্রয়োজন। টুইটারে অপটিমিসটিক পেসিমিজম নামে একজন লিখেছেন, দয়া করে তার ওইসব পোস্টের বিষয়ে রিপোর্ট করুন। তিনি আত্মহত্যা করার বিষয়ে উৎসাহিত করছেন। অনেক আবেগপ্রবণ বাচ্চা ও মানুষ আছেন। তাদের কাছে এর মাধ্যমে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দয়া করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। এমনতরো অসংখ্য টুইট-রিটুইটে সয়লাব হয়ে গেছে তসলিমা নাসরিনের টুইটার।
তিনি নিখোঁজ এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট করেন তার গাড়িচালক। এরপর থেকেই ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অবশেষে বুধবার সকালে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। তার মৃত্যুতে সারা ভারতে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে তসলিমা নাসরিন একটি টুইট পোস্ট করেন। তাতে তিনি বেদনাহীন আত্মহত্যার উপায় বলে দেন। কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চান কীভাবে এ উপায়ে বেদনাহীন আত্মহত্যা করতে পারেন সেই পথ বাতলে দেন তিনি। প্রথম টুইটে তিনি ভি জি সিদ্ধার্থের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে লিখেছেন ‘কেন আপনি ফাঁস দিয়ে ঝুলবেন, পানিতে ডুবে মারা যাবেন, কেন কব্জি কাটবেন, কেন সুউচ্চ ভবন বা সেতু থেকে লাফিয়ে পড়বেন, কেন কীটনাশক পান করবেন, কেন বিষ পান করবেন, কেন সামনে থেকে ধেয়ে আসা একটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়বেন? প্রাণঘাতী মরফিনের ডোজ ব্যবহার করুন এবং শান্তিতে মারা যান।’ এ নিয়ে চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। কেউ একজন তার নিজের জীবন বের করে দেয়ার জন্য যে অনেক পথের কথা বলা হয়েছে তা শেয়ার করা যায় না বা উৎসাহিত করা যায় না- এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় রিটুইটে। এর জবাবে তসলিমা আরো একটি টুইট করেন। তিনি লিখেছেন ‘প্রতিদিন মানুষ আত্মহত্যা করছে। মাত্র দুই দিন আগে ক্যাফে কফি ডে’র মালিক একটি ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। কি বেদনাময় মৃত্যু!’
এরপরে তিনি আরো টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, তিনি লোকজনকে মরতে উৎসাহিত করছেন না। তিনি লিখেছেন ‘যেসব মানুষ আত্মহত্যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অথবা যারা আত্মহত্যা করবেনই তাদেরকে আমি বলছি শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা করতে। এটি একটি ইতিবাচক টুইট।’
তবে তার এসব টুইটের কড়া সমালোচনা করছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। তাদের একজন দীপিকা ভারদওয়াজ। তিনি লিখেছেন, আপনি আত্মহত্যার পথ বলে দিচ্ছেন। কীর্তি সিং লিখেছেন, যেকোনো উপায়েই হোক মৃত্যু বেদনাময়। যিনি মারা যাচ্ছেন তার শরীরে না হলেও, তাকে যারা ঘিরে থাকেন তাদের কাছে এটা বেদনার। এমন পরামর্শকে সমর্থন করা যায় না। অন্যদিকে জয়এনআর নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই ধারা বন্ধ করুন। ‘স্টুপিড’ দ্বিতীয় টুইট দিয়ে প্রথম টুইটকে জাস্টিফাই করা যায় না। তসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে রিদ্ধি সিং নামে একজন লিখেছেন, যারা আত্মহত্যা করতে চান তিনি তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন- কেন তারা উন্নততর উপায় অবলম্বন করেন না। ওকে!! এই নারী কে??? সিরিয়াসলি!!
বাংলাদেশি এই লেখিকাকে উদ্দেশ্য করে তেহসিন পুনাওয়ালা টুইট করেছেন, সততার সঙ্গে বলছি। আমার খুব খারাপ লাগছে। তার (তসলিমা) যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সহায়তা প্রয়োজন। টুইটারে অপটিমিসটিক পেসিমিজম নামে একজন লিখেছেন, দয়া করে তার ওইসব পোস্টের বিষয়ে রিপোর্ট করুন। তিনি আত্মহত্যা করার বিষয়ে উৎসাহিত করছেন। অনেক আবেগপ্রবণ বাচ্চা ও মানুষ আছেন। তাদের কাছে এর মাধ্যমে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দয়া করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। এমনতরো অসংখ্য টুইট-রিটুইটে সয়লাব হয়ে গেছে তসলিমা নাসরিনের টুইটার।
No comments