চীনেরও আছে একই অস্ত্র, ভারতকে ভালো সুরক্ষা দেবে না এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র by অভিনন্দন মিশ্র
আন্তর্জাতিক
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, রাশিয়ার এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল
সিস্টেমটি কতটা কার্যকর হবে, সেটি নিয়ে এখনও ভাবনার অবকাশ আছে। বিশেষ করে
চীন ও পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের সম্ভাব্য হুমকিকে বিবেচনায় নিয়ে এই
চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার জন্য চুক্তি করেছে
ভারত এবং এটা সুবিধা অসুবিধা নিয়ে দেশের ভেতরে এখন বিতর্ক চলছে।
দীর্ঘমেয়াদি কি উপকার পাওয়া যাবে এটা থেকে, সেই আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসছে
এটা কিনলে কি হারাতে হবে, সেটিও। রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনলে
যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে। তাছাড়া এটা
ভারতের দীর্ঘমেয়াদি ভূরাজনেতিক ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও পাল্টে
দেবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এস-৪০০ ভারতের জন্য কতটা কার্যকরী হবে,
সেটাকে অনেক বাড়িয়ে বলা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্বের প্রাচীনতম থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক লন্ডন-ভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ফেলো জাস্টিন ব্রোঙ্ক বলেছেন যে, এস-৪০০ সিস্টেমটা ‘প্রতারণাও’ হতে পারে। তিনি বলেন যে, ভারতের এটা মাথায় রাখা উচিত যে, চীনও এই সিস্টেম ব্যবহার করছে।
সানডে গার্ডিয়ানকে ব্রোঙ্ক বলেন: “ভারতের বিরুদ্ধে অন্যতম সামরিক হুমকি চীন, কিন্তু তারাও এস-৪০০ কিনেছে। এর অর্থ হলো পিপলস লিবারেশান আর্মি এয়ার ফোর্স (পিএলএএএফ) এস-৪০০ সিস্টেমকে খুব ভালোভাবে বুঝেছে এবং এটার বিরুদ্ধে গভীরভাবে প্রশিক্ষিত হবে তারা। এর অর্থ হলো এটা দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য গ্রহণযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে পারবে না”।
তবে তিনি বলেন যে, এই সিস্টেমের কার্যকারিতার বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। “এটাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এই দিক থেকে যে, এসএএম সিস্টেমের মতোই এস-৪০০ কেও একই সাথে বহু মিসাইল নিক্ষেপ করে বিভ্রান্ত করে দেয়া যায়। ইলেক্ট্রনিক হামলা চালিয়ে এটাকে বিভ্রান্ত করা যায় এবং এর সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করা যায়”।
রাশিয়ার এস-৪০০ সিস্টেম প্রথম কেনে চীন। ২০১৪ সালে তারা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে চারটি থেকে ছয়টি এস-৪০০ কেনার অর্ডার দেয়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এটার সবশেষ সিস্টেমটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডিজআর্মামেন্ট, আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশান প্রগ্রামের সিনিয়র গবেষক পিটার টোপাইচকানোভ বলেন, ভারতের দিকে পাকিস্তান যে সব মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে, তার সবগুলোর ক্ষেত্রে এস-৪০০ প্রতিরোধ গড়তে পারবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, “নীতিগতভাবে ভারত যে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আমদানি করতে যাচ্ছে, সেটার কার্যকারিতা যাচাই করাটা কঠিন, কারণ এর প্রযুক্তিগত তথ্যগুলো গোপনীয়। এস-৪০০ এর রফতানিযোগ্য একাধিক ভার্সন থাকতে পারে। এই তথ্যগুলো সাধারণত প্রকাশ্যে পাওয়া যায় না”।
ভারত আশা করছে যে, তারা এই এস-৪০০ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়ে যাবে। তবে, ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক গত সপ্তাহে এস-৪০০ সিস্টেমের চালান গ্রহণ করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিমান বিক্রি বাতিল করাসহ সব ধরনের জঙ্গি বিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দিয়েছে। এখান থেকে ধারণা পাওয়া যেতে পারে যে ভারত এস-৪০০ এর চালান পেতে শুরু করলে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনকি তুরস্কের পুরো সিস্টেম গ্রহণ করা পর্যন্তও অপেক্ষা করেননি বা সেটা মোতায়েন করারও অপেক্ষা করেননি। তার আগেই তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এস-৪০০ এর বিকল্প হিসেবে ভারতকে মার্কিন টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্স ক্যাপাবিলিটি (প্যাক-৩) সিস্টেম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্বের প্রাচীনতম থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক লন্ডন-ভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ফেলো জাস্টিন ব্রোঙ্ক বলেছেন যে, এস-৪০০ সিস্টেমটা ‘প্রতারণাও’ হতে পারে। তিনি বলেন যে, ভারতের এটা মাথায় রাখা উচিত যে, চীনও এই সিস্টেম ব্যবহার করছে।
সানডে গার্ডিয়ানকে ব্রোঙ্ক বলেন: “ভারতের বিরুদ্ধে অন্যতম সামরিক হুমকি চীন, কিন্তু তারাও এস-৪০০ কিনেছে। এর অর্থ হলো পিপলস লিবারেশান আর্মি এয়ার ফোর্স (পিএলএএএফ) এস-৪০০ সিস্টেমকে খুব ভালোভাবে বুঝেছে এবং এটার বিরুদ্ধে গভীরভাবে প্রশিক্ষিত হবে তারা। এর অর্থ হলো এটা দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য গ্রহণযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে পারবে না”।
তবে তিনি বলেন যে, এই সিস্টেমের কার্যকারিতার বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। “এটাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এই দিক থেকে যে, এসএএম সিস্টেমের মতোই এস-৪০০ কেও একই সাথে বহু মিসাইল নিক্ষেপ করে বিভ্রান্ত করে দেয়া যায়। ইলেক্ট্রনিক হামলা চালিয়ে এটাকে বিভ্রান্ত করা যায় এবং এর সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করা যায়”।
রাশিয়ার এস-৪০০ সিস্টেম প্রথম কেনে চীন। ২০১৪ সালে তারা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে চারটি থেকে ছয়টি এস-৪০০ কেনার অর্ডার দেয়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এটার সবশেষ সিস্টেমটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডিজআর্মামেন্ট, আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশান প্রগ্রামের সিনিয়র গবেষক পিটার টোপাইচকানোভ বলেন, ভারতের দিকে পাকিস্তান যে সব মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে, তার সবগুলোর ক্ষেত্রে এস-৪০০ প্রতিরোধ গড়তে পারবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, “নীতিগতভাবে ভারত যে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আমদানি করতে যাচ্ছে, সেটার কার্যকারিতা যাচাই করাটা কঠিন, কারণ এর প্রযুক্তিগত তথ্যগুলো গোপনীয়। এস-৪০০ এর রফতানিযোগ্য একাধিক ভার্সন থাকতে পারে। এই তথ্যগুলো সাধারণত প্রকাশ্যে পাওয়া যায় না”।
ভারত আশা করছে যে, তারা এই এস-৪০০ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়ে যাবে। তবে, ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক গত সপ্তাহে এস-৪০০ সিস্টেমের চালান গ্রহণ করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিমান বিক্রি বাতিল করাসহ সব ধরনের জঙ্গি বিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দিয়েছে। এখান থেকে ধারণা পাওয়া যেতে পারে যে ভারত এস-৪০০ এর চালান পেতে শুরু করলে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনকি তুরস্কের পুরো সিস্টেম গ্রহণ করা পর্যন্তও অপেক্ষা করেননি বা সেটা মোতায়েন করারও অপেক্ষা করেননি। তার আগেই তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এস-৪০০ এর বিকল্প হিসেবে ভারতকে মার্কিন টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্স ক্যাপাবিলিটি (প্যাক-৩) সিস্টেম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।
No comments