ভারতে অপচয়, প্রকৃতির বারিসুধা সংরক্ষণে মরিয়া ভুটান
থিম্পুতে
থাকা পরিচিত যেটা জানাল, তাতে বুঝলাম প্রবল বৃষ্টিতে কোনওভাবেই জল নষ্ট
করার কথা ভাবাই যায় না ভুটানে৷ বিরাট ভারতের গায়ে লেপটে থাকা খুদে
রাষ্ট্রটি দেখছে প্রতিবেশীর নিদারুণ জলকষ্ট৷ পানীয় জল কমে যাওয়ায়
তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ তারও থেকে আরও চিন্তার এবার পশ্চিমবঙ্গেও
সেই আশঙ্কা বাড়তে চলেছে৷ অতএব আগে থেকেই সতর্ক বজ্র ড্রাগনের দেশ৷
এই অতি বৃষ্টিতেও কী রকম অবস্থা দেশটির জল সংরক্ষণের ? কিছু ছবি হাতে এসেছে৷ তাতে যা দেখলাম সেটা চমকে দেওয়ার মতো বিষয়৷ পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির জল ঢালু জমি বা বাড়ির ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ার সময় অভিনব উপায়ে সেই জল ধরে রাখছেন আম ভুটানিরা৷ সেই জল বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে পরিশোধন করে ব্যবহার উপযোগী করা হবে৷ এই জল পানীয় হিসেবেও কাজে লাগবে বলেই জানা গেল৷ মূলত পাহাড়ি এলাকায় এভাবে জল ধরে রাখার পদ্ধতি৷ তবে বৃষ্টি যেখানে বেশি সেখানে কেন এত জল ধরার চিন্তা ? ভুটানিদের কাছে উত্তর স্পষ্ট-প্রকৃতির আশীর্বাদ, কোনওভাবেই নষ্ট করা ঠিক নয়৷
এই মাসে অতি বৃষ্টির কবলে ভুটান৷ দেশটির দক্ষিণ অংশের চুখা জেলায় প্রবল গতিতে বইছে আমো চু (চু মানে নদী)৷ ভুটানি সীমান্তের ফুন্টশোলিং পেরিয়ে গেলেই পড়বে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ শহর৷ আমো চু এপারে তোর্সা নাম নিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাংলায়৷ ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির দাপটে স্বাভাবিক কারণেই এই এলাকাও সিক্ত৷ ঘন সবুজে ভরে থাকা ভারত-ভুটান সীমান্ত অঞ্চলে জলাভাব নেই৷ উপরের দিকে ঘন মেঘের আবরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির অবিরাম বারিসুধা৷
সামাজিক বন সৃজনের যে বিরাট ভূমিকা পালন করে চলেছে ড্রাগনভূমি ভুটান তাতে বিশ্ব পাচ্ছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন৷ গ্লোবাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স বা সুখ সূচকে দুনিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে চমকে দিয়েছে ভুটান৷ এর পিছনে রয়েছে ভুটানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ওয়াংচুক রাজপরিবার৷ ১৯৫২ সাল থেকেই বনভূমিকে রক্ষায় প্রভূত পদক্ষেপ নিতে শুরু করে ছোট্ট দেশটি৷ একাদিক্রমে সিংহাসনে বসেছেন এই ওয়াংচুক পরিবারের সদস্যরা৷ প্রথমে রাজা জিগমে ওয়াংচুক পরে পরবর্তী প্রজন্ম জিগমে দোরজি ও তাঁর পুত্র জিগমে সিংগে এখন জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক- রাজছত্র মাথায় উঠেছে তাঁদের৷ কিন্তু প্রকৃতি বাঁচানোর নীতি থেকে কেউ সরে আসেননি৷ তাঁরা মনে করেন প্রকৃতিকে রক্ষা করো সুখ তোমার কাছে এমনিতেই ধরা দেবে৷
সেই সুখ সূচকে বলীয়ান ভুটান প্রবল সবুজায়ণ ও বণ্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করে ১৯৭০ দশক থেকে৷ দেশটির বন সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় এত জোর দেওয়ার ফল আসতে থাকে দ্রুত৷ পরিশুদ্ধ বাতাসের পাশাপাশি প্রকৃতির আশীর্বাদ বৃষ্টি থেকেও বঞ্চিত হয়নি বজ্র ড্রাগনভূমি৷ ভুটানের অন্যতম সংবাদপত্র কুয়েনসেল ও জাতীয় সংবাদ সংস্থা বিবিএস-এর বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে বৃষ্টি আরও বাড়বে কয়েকদিনে৷ বিভিন্ন এলাকায় ধস নামবে নতুন করে৷ এতে থিম্পুর সঙ্গে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ করে পারো, পুনাখা, সামদ্রুপজোংখারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার কাজ চললেও তাতে ঘাটতে থাকছে৷ তবে জল ধরে রাখায় সাধারণ ভুটানিদের কোনও ঘাটতি নেই৷ সেটা মাথায় রেখেই বৃষ্টি সংরক্ষণে নেমে পড়েছেন ভুটানিরা৷
নিচে ভারত ছটফট করছে একবুক তৃষ্ণায়৷ একাধিক রাজ্যের মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে৷ এই ভয়ঙ্কর ছবির সামনে সবুজ প্রকৃতির শক্তি নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে ভুটান৷
এই অতি বৃষ্টিতেও কী রকম অবস্থা দেশটির জল সংরক্ষণের ? কিছু ছবি হাতে এসেছে৷ তাতে যা দেখলাম সেটা চমকে দেওয়ার মতো বিষয়৷ পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির জল ঢালু জমি বা বাড়ির ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ার সময় অভিনব উপায়ে সেই জল ধরে রাখছেন আম ভুটানিরা৷ সেই জল বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে পরিশোধন করে ব্যবহার উপযোগী করা হবে৷ এই জল পানীয় হিসেবেও কাজে লাগবে বলেই জানা গেল৷ মূলত পাহাড়ি এলাকায় এভাবে জল ধরে রাখার পদ্ধতি৷ তবে বৃষ্টি যেখানে বেশি সেখানে কেন এত জল ধরার চিন্তা ? ভুটানিদের কাছে উত্তর স্পষ্ট-প্রকৃতির আশীর্বাদ, কোনওভাবেই নষ্ট করা ঠিক নয়৷
এই মাসে অতি বৃষ্টির কবলে ভুটান৷ দেশটির দক্ষিণ অংশের চুখা জেলায় প্রবল গতিতে বইছে আমো চু (চু মানে নদী)৷ ভুটানি সীমান্তের ফুন্টশোলিং পেরিয়ে গেলেই পড়বে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ শহর৷ আমো চু এপারে তোর্সা নাম নিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বাংলায়৷ ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির দাপটে স্বাভাবিক কারণেই এই এলাকাও সিক্ত৷ ঘন সবুজে ভরে থাকা ভারত-ভুটান সীমান্ত অঞ্চলে জলাভাব নেই৷ উপরের দিকে ঘন মেঘের আবরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির অবিরাম বারিসুধা৷
সামাজিক বন সৃজনের যে বিরাট ভূমিকা পালন করে চলেছে ড্রাগনভূমি ভুটান তাতে বিশ্ব পাচ্ছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন৷ গ্লোবাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স বা সুখ সূচকে দুনিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে চমকে দিয়েছে ভুটান৷ এর পিছনে রয়েছে ভুটানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ওয়াংচুক রাজপরিবার৷ ১৯৫২ সাল থেকেই বনভূমিকে রক্ষায় প্রভূত পদক্ষেপ নিতে শুরু করে ছোট্ট দেশটি৷ একাদিক্রমে সিংহাসনে বসেছেন এই ওয়াংচুক পরিবারের সদস্যরা৷ প্রথমে রাজা জিগমে ওয়াংচুক পরে পরবর্তী প্রজন্ম জিগমে দোরজি ও তাঁর পুত্র জিগমে সিংগে এখন জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক- রাজছত্র মাথায় উঠেছে তাঁদের৷ কিন্তু প্রকৃতি বাঁচানোর নীতি থেকে কেউ সরে আসেননি৷ তাঁরা মনে করেন প্রকৃতিকে রক্ষা করো সুখ তোমার কাছে এমনিতেই ধরা দেবে৷
সেই সুখ সূচকে বলীয়ান ভুটান প্রবল সবুজায়ণ ও বণ্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করে ১৯৭০ দশক থেকে৷ দেশটির বন সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় এত জোর দেওয়ার ফল আসতে থাকে দ্রুত৷ পরিশুদ্ধ বাতাসের পাশাপাশি প্রকৃতির আশীর্বাদ বৃষ্টি থেকেও বঞ্চিত হয়নি বজ্র ড্রাগনভূমি৷ ভুটানের অন্যতম সংবাদপত্র কুয়েনসেল ও জাতীয় সংবাদ সংস্থা বিবিএস-এর বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে বৃষ্টি আরও বাড়বে কয়েকদিনে৷ বিভিন্ন এলাকায় ধস নামবে নতুন করে৷ এতে থিম্পুর সঙ্গে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ করে পারো, পুনাখা, সামদ্রুপজোংখারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার কাজ চললেও তাতে ঘাটতে থাকছে৷ তবে জল ধরে রাখায় সাধারণ ভুটানিদের কোনও ঘাটতি নেই৷ সেটা মাথায় রেখেই বৃষ্টি সংরক্ষণে নেমে পড়েছেন ভুটানিরা৷
নিচে ভারত ছটফট করছে একবুক তৃষ্ণায়৷ একাধিক রাজ্যের মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে৷ এই ভয়ঙ্কর ছবির সামনে সবুজ প্রকৃতির শক্তি নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে ভুটান৷
No comments