ঢামেকের নার্স খুন, মিরপুরে বস্তাবন্দি নারীর লাশ
সোমা
আক্তার ওরফে তাজিন (২৬)। দুমাস আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নি নার্স ছিলেন। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
ইন্টার্নি নার্স হিসেবে যোগদান করেন। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
তার ইন্টার্নি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনই হাসপাতালের মর্গে তার
লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে তার
স্বামী আমিনুল ইসলাম তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমিনুলকে আটক
করেছে পুলিশ। অপরদিকে পল্লবী এলাকায় বাসার সামনে থেকে একটি প্লাস্টিকের
বস্তার ভেতর থেকে মিতু আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
সূত্র জানায়, মিরপুর থানাধীন কল্যাণপুরের ১১ নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্বামী আমিনুলের সঙ্গে থাকতো তাজিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাজিনকে তার স্বামী অচেতন অবস্থায় গ্রীন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাজিনের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে ওই হাসপাতালের লোকজন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাজিন মিরপুর নার্র্সিং ইনস্টিটিউট থেকে উত্তীর্ণ হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল তার ছিল ইন্টার্নির শেষ দিন। তিনি আরও জানান, প্রায় ১ বছর এক মাস আগে আমিনুল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে পরিণয়। আমিনুল পল্লী উন্নয়ন বিভাগে চাকরি করতো। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। পারিবারিকভাবে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। বিয়েতে কোন যৌতুকের শর্ত ছিল না। বিয়েতে তাজিনকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ফার্নিচার দেয়া হয়। তারপরও আমিনুল যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করতো। তাজিন আমাদের বিষয়টি প্রায়ই বলতো। যৌতুকের টাকা না পেয়ে আমিনুল তার ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি তার শাস্তি দাবি করেন। তাজিনের পিতার নাম তমিজ উদ্দীন। গ্রমের বাড়ি ঢাকা জেলার আশুলিয়ার গোতিনপুর এলাকায়। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কমকর্তা এসআই মো. শাহজাহান জানান, নিহতের গলায় কালচে দাগ ছিল। পিঠেও আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, তাজিনের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপরদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় পল্লবী থানাধীন সি ব্লকের প্যারিস রোডের ১০৬ নম্বর বাড়ির সামনে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে গন্ধ বেরোতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। পল্লবী থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর নাম মিতু আক্তার। যে বাড়ির সামনে থেকে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়িতে স্বামী সবুজের সঙ্গে থাকতো মিতু। তার লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে তার স্বামীর সুবজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মিতুকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটি গুম করার জন্য প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে বাসার সামনে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মিরপুর থানাধীন কল্যাণপুরের ১১ নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্বামী আমিনুলের সঙ্গে থাকতো তাজিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাজিনকে তার স্বামী অচেতন অবস্থায় গ্রীন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাজিনের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে ওই হাসপাতালের লোকজন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাজিন মিরপুর নার্র্সিং ইনস্টিটিউট থেকে উত্তীর্ণ হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল তার ছিল ইন্টার্নির শেষ দিন। তিনি আরও জানান, প্রায় ১ বছর এক মাস আগে আমিনুল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে পরিণয়। আমিনুল পল্লী উন্নয়ন বিভাগে চাকরি করতো। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। পারিবারিকভাবে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। বিয়েতে কোন যৌতুকের শর্ত ছিল না। বিয়েতে তাজিনকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ফার্নিচার দেয়া হয়। তারপরও আমিনুল যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করতো। তাজিন আমাদের বিষয়টি প্রায়ই বলতো। যৌতুকের টাকা না পেয়ে আমিনুল তার ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি তার শাস্তি দাবি করেন। তাজিনের পিতার নাম তমিজ উদ্দীন। গ্রমের বাড়ি ঢাকা জেলার আশুলিয়ার গোতিনপুর এলাকায়। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কমকর্তা এসআই মো. শাহজাহান জানান, নিহতের গলায় কালচে দাগ ছিল। পিঠেও আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, তাজিনের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপরদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় পল্লবী থানাধীন সি ব্লকের প্যারিস রোডের ১০৬ নম্বর বাড়ির সামনে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে গন্ধ বেরোতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। পল্লবী থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর নাম মিতু আক্তার। যে বাড়ির সামনে থেকে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়িতে স্বামী সবুজের সঙ্গে থাকতো মিতু। তার লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে তার স্বামীর সুবজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মিতুকে তার স্বামী শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটি গুম করার জন্য প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে বাসার সামনে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
No comments