যে নির্যাতনের সীমা নেই
মাজিদ খান। ছবি: রয়টার্স |
যৌন
নির্যাতন তো ছিলই, ছিল অন্য ধরনের নিপীড়নও। নগ্ন করে খুঁটির সঙ্গে ঘণ্টার
পর ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হতো। পুরষাঙ্গে ঢালা হতো বরফ গলা পানি। দু-দুবার নগ্ন
করে ভিডিও করা হয়েছে। চলত নির্ঘুম রাখার নিপীড়ন। দেওয়া হতো পোকার কামড়।
এভাবে দিনের পর দিন চলেছে নির্যাতন।
কিউবার কুখ্যাত মার্কিন বন্দীশিবির গুয়ানতানামো বে-তে এই অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি মাজিদ খানের (৩৫)। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই নাগরিককে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের অধীনে গুয়ানতানামোতে দফায় দফায় অবমাননাকর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘জিজ্ঞাসাবাদের উন্নত কৌশলের’ মুখোমুখি হতে হয় মাজিদকে। সন্দেহভাজন শীর্ষ পর্যায়ের আল কায়েদা বন্দীদের মধ্যে মাজিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টিই গণমাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন মতে, মাজিদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁকে কবে কোথায় কী অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ ব্যাপারে সিআইএ সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয় এবং অভিযোগে উল্লেখ করা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যেও অসঙ্গতি রয়েছে।
মাজিদের আইনজী্বীর দাবি, মাজিদের পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গে বরফ শীতল পানি ঢালা বা নগ্ন করে শরীরের গোপন অঙ্গে আঘাত করার মতো নির্যাতনের ঘটনা গুয়ানতানামো বে নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। মাজিদের নির্যাতনের সম্পর্কে রয়টার্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ হয়েছে।
আইনজীবীকে মাজিদ সাত বছর ধরে তাঁর ওপর চালানো দুঃসহ যন্ত্রণার বর্ণনা দেন। এর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীর মন্তব্য যোগ করে সিনেট সেই প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়। আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনার পর সরকার গত মাসে তা প্রকাশ করে।
গত ডিসেম্বরে সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিগুলো সিনেটের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এর আগে বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল বা পদ্ধতির বিষয়টি প্রকাশ করা নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বন্দীদের আইনজীবীরাও এটি প্রকাশ করতে পারতেন না।
রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাজিদ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসের সরঞ্জাম সরবরাহ, হত্যা ও চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তী সময়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৯ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে যেদিন থেকে আটক করা হয়, সেদিন থেকে তাঁর সাজা হিসেব করা হয়।
সিআইএ কর্মকর্তার দাবি, ইন্দোনেশিয়ায় আল-কায়েদা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি ৫০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ জাকার্তার ম্যারিয়ট হোটেল চত্বরে ট্রাকবোমা হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ওই বোমা হামলায় ১১ জন প্রাণ হারান, আহত হন আরও ৮০ জন। এ ছাড়া মজিদ ৯ / ১১ হামলার অন্যতম সহযোগী খালিদ শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে পানি সরবরাহ কেন্দ্র, গ্যাস স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আল কায়েদার ‘নীরব চর’ হিসেবে কাজ করছিলেন। এসবের সঙ্গে মাজিদ জড়িত ছিলেন বলে সিআইএ দাবি করছে।
সিনেটের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সিআইএর ‘কালো তালিকাভুক্ত’ স্থান থেকে মাজিদকে আটক করা হয়। কিন্তু কোত্থেকে মাজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা খোলাসা করেননি আইনজীবী।
আইনজীবীর কাছে নির্যাতনের কথা এভাবে তুলে ধরেন মাজিদ, যখন সিআইএর নির্যাতনকেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে আসা হয়, সেখানে যেন নির্যাতনের মহোৎসব চলছিল। নগ্ন করে যখন খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হতো। অসহ্য ব্যথা-যন্ত্রণা ছিল সেই নির্যাতনে। বরফ শীতল পানির মধ্যে মাথা চোবানো হতো। সেই নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মাজিদ বলেন, ‘খুব করে চেয়েছিলাম, আমাকে যেন তারা মেরে ফেলে।’
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, ‘ছেলে, আমি তোমাকে একটু আদর করতে যাচ্ছি। এমন জায়গায় তোমাকে পাঠাব, যা কোনো দিন তুমি কল্পনাও করনি।’
মাজিদের ভাষ্য, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা কর্মকর্তাদের মুখে মদের গন্ধ পাওয়া যেত। তাঁরা হাতুড়ি, বেসবলের ব্যাট, লাঠি আর চামড়ার বেল্ট দিয়ে পেটানোর অনবরত হুমকি দিত।
তবে সিআইএর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা এ বিষয়টি অস্বীকার করেন। গত পাঁচ বছর ধরে সিআইএর ৬৩ লাখ গোপণ নথি পর্যালোচনা করেন ডেমোক্র্যাটদের কর্মীরা। সেখানে মাজিদের ওপর নির্যাতনের কথা ফুটে ওঠে। রিপাবলিকানদের দাবি, ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
এক বছর আগে যখন এ বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়, তখন মজিদ তাঁর আইনজীবীদের কাছে দাবি করেন, জোর করে তাঁর পায়ুপথ দিয়ে খাবার-পানি প্রবিষ্ট করানো হতো। সিনেটের প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
সিআইএর কর্মকর্তাদের দাবি, মাজিদ অনশন করে তাঁর নাকের মধ্যে দিয়ে প্রবিষ্ট খাবারের নল বের করে ফেলে। এতে তাঁর পায়ু পথ দিয়ে খাবার প্রবিষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজিদ সহযোগিতা করতেন এবং খাবারের নলও বের করেননি।
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, পায়ুপথ দিয়ে প্রবিষ্ট খাবারের চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় কোনো মূল্য নেই। আইনজীবীরা এটিকে এক ধরনের ধর্ষণ বলে অভিহিত করেন।
মাজিদের দেওয়ার ভাষ্যর বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ২০০৩ সালে তাঁকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে করে, প্রহরীরা তাঁকে নগ্ন করে তিন দিন ধরে কড়িকাঠে ঝুলিয়ে রাখে। মাঝে মাঝে পানি দিত, কিন্তু খাবার দিত না। একদিন বিকেলে তাঁকে নামানো হয়। এরপর হাতকড়া-বেড়ি পড়ায়। মাথাটি একটি কাপড়ে মুড়িয়ে বরফ শীতল পানির মধ্যে চোবানো হয়। এতে দম বন্ধ হয়ে মরার জোগাড় হতো তাঁর। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বার বার এ কৌশল প্রয়োগ করত তারা। এসব নির্যাতনের এক পর্যায়ে মাজিদ বাস্তব জগৎ থেকে হারিয়ে যেতেন। জেগে জেগেই দেখতেন দুঃস্বপ্ন। এভাবে আরও অনেক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন মাজিদ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিআইএর কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, মাজিদ যা বলেছেন, সবই মিথ্যা।
কিউবার কুখ্যাত মার্কিন বন্দীশিবির গুয়ানতানামো বে-তে এই অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি মাজিদ খানের (৩৫)। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই নাগরিককে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের অধীনে গুয়ানতানামোতে দফায় দফায় অবমাননাকর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘জিজ্ঞাসাবাদের উন্নত কৌশলের’ মুখোমুখি হতে হয় মাজিদকে। সন্দেহভাজন শীর্ষ পর্যায়ের আল কায়েদা বন্দীদের মধ্যে মাজিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টিই গণমাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন মতে, মাজিদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁকে কবে কোথায় কী অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ ব্যাপারে সিআইএ সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয় এবং অভিযোগে উল্লেখ করা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যেও অসঙ্গতি রয়েছে।
মাজিদের আইনজী্বীর দাবি, মাজিদের পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গে বরফ শীতল পানি ঢালা বা নগ্ন করে শরীরের গোপন অঙ্গে আঘাত করার মতো নির্যাতনের ঘটনা গুয়ানতানামো বে নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। মাজিদের নির্যাতনের সম্পর্কে রয়টার্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ হয়েছে।
আইনজীবীকে মাজিদ সাত বছর ধরে তাঁর ওপর চালানো দুঃসহ যন্ত্রণার বর্ণনা দেন। এর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীর মন্তব্য যোগ করে সিনেট সেই প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়। আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনার পর সরকার গত মাসে তা প্রকাশ করে।
গত ডিসেম্বরে সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিগুলো সিনেটের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এর আগে বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল বা পদ্ধতির বিষয়টি প্রকাশ করা নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বন্দীদের আইনজীবীরাও এটি প্রকাশ করতে পারতেন না।
রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাজিদ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসের সরঞ্জাম সরবরাহ, হত্যা ও চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তী সময়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৯ বছরের কারাদণ্ড হয়। তাঁকে যেদিন থেকে আটক করা হয়, সেদিন থেকে তাঁর সাজা হিসেব করা হয়।
সিআইএ কর্মকর্তার দাবি, ইন্দোনেশিয়ায় আল-কায়েদা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি ৫০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ জাকার্তার ম্যারিয়ট হোটেল চত্বরে ট্রাকবোমা হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ওই বোমা হামলায় ১১ জন প্রাণ হারান, আহত হন আরও ৮০ জন। এ ছাড়া মজিদ ৯ / ১১ হামলার অন্যতম সহযোগী খালিদ শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে পানি সরবরাহ কেন্দ্র, গ্যাস স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আল কায়েদার ‘নীরব চর’ হিসেবে কাজ করছিলেন। এসবের সঙ্গে মাজিদ জড়িত ছিলেন বলে সিআইএ দাবি করছে।
সিনেটের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সিআইএর ‘কালো তালিকাভুক্ত’ স্থান থেকে মাজিদকে আটক করা হয়। কিন্তু কোত্থেকে মাজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা খোলাসা করেননি আইনজীবী।
আইনজীবীর কাছে নির্যাতনের কথা এভাবে তুলে ধরেন মাজিদ, যখন সিআইএর নির্যাতনকেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে আসা হয়, সেখানে যেন নির্যাতনের মহোৎসব চলছিল। নগ্ন করে যখন খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হতো। অসহ্য ব্যথা-যন্ত্রণা ছিল সেই নির্যাতনে। বরফ শীতল পানির মধ্যে মাথা চোবানো হতো। সেই নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মাজিদ বলেন, ‘খুব করে চেয়েছিলাম, আমাকে যেন তারা মেরে ফেলে।’
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, ‘ছেলে, আমি তোমাকে একটু আদর করতে যাচ্ছি। এমন জায়গায় তোমাকে পাঠাব, যা কোনো দিন তুমি কল্পনাও করনি।’
মাজিদের ভাষ্য, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা কর্মকর্তাদের মুখে মদের গন্ধ পাওয়া যেত। তাঁরা হাতুড়ি, বেসবলের ব্যাট, লাঠি আর চামড়ার বেল্ট দিয়ে পেটানোর অনবরত হুমকি দিত।
তবে সিআইএর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা এ বিষয়টি অস্বীকার করেন। গত পাঁচ বছর ধরে সিআইএর ৬৩ লাখ গোপণ নথি পর্যালোচনা করেন ডেমোক্র্যাটদের কর্মীরা। সেখানে মাজিদের ওপর নির্যাতনের কথা ফুটে ওঠে। রিপাবলিকানদের দাবি, ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
এক বছর আগে যখন এ বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়, তখন মজিদ তাঁর আইনজীবীদের কাছে দাবি করেন, জোর করে তাঁর পায়ুপথ দিয়ে খাবার-পানি প্রবিষ্ট করানো হতো। সিনেটের প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
সিআইএর কর্মকর্তাদের দাবি, মাজিদ অনশন করে তাঁর নাকের মধ্যে দিয়ে প্রবিষ্ট খাবারের নল বের করে ফেলে। এতে তাঁর পায়ু পথ দিয়ে খাবার প্রবিষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজিদ সহযোগিতা করতেন এবং খাবারের নলও বের করেননি।
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, পায়ুপথ দিয়ে প্রবিষ্ট খাবারের চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় কোনো মূল্য নেই। আইনজীবীরা এটিকে এক ধরনের ধর্ষণ বলে অভিহিত করেন।
মাজিদের দেওয়ার ভাষ্যর বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ২০০৩ সালে তাঁকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে করে, প্রহরীরা তাঁকে নগ্ন করে তিন দিন ধরে কড়িকাঠে ঝুলিয়ে রাখে। মাঝে মাঝে পানি দিত, কিন্তু খাবার দিত না। একদিন বিকেলে তাঁকে নামানো হয়। এরপর হাতকড়া-বেড়ি পড়ায়। মাথাটি একটি কাপড়ে মুড়িয়ে বরফ শীতল পানির মধ্যে চোবানো হয়। এতে দম বন্ধ হয়ে মরার জোগাড় হতো তাঁর। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বার বার এ কৌশল প্রয়োগ করত তারা। এসব নির্যাতনের এক পর্যায়ে মাজিদ বাস্তব জগৎ থেকে হারিয়ে যেতেন। জেগে জেগেই দেখতেন দুঃস্বপ্ন। এভাবে আরও অনেক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন মাজিদ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিআইএর কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, মাজিদ যা বলেছেন, সবই মিথ্যা।
No comments