শহীদ কাজল স্মৃতি পশ্চিম জোর্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- রোদের মধ্যে পাঠদান ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
দুই বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহীদ কাজল স্মৃতি পশ্চিম জোর্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। l প্রথম আলো |
বিদ্যালয়ের
সামনে একটু খোলা জায়গা। সেখানে কয়েকটি বেঞ্চ পেতে ক্লাস করছে
শিক্ষার্থীরা। প্রচণ্ড রোদে তাদের শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরছে। শিক্ষকের
মুখেও ক্লান্তির ছাপ।
এ চিত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহীদ কাজল স্মৃতি পশ্চিম জোর্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে। আর শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চলছে বারান্দায় পাঠদান।
বিদ্যালয় শিক্ষক সূত্রে জানা জানা যায়, ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠদানের জন্য ১৯৯৫ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২২০ জন শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক আছেন পাঁচজন। গ্রামের দুই কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো বিদ্যালয় নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম জানান, ২০১২ সালে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনের একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হতো।
এদিকে ২০০৫ সালে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি আধা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়। এর দুটি কক্ষে অন্য পাঁচটি শ্রেণির পাঠদান ও একটি কক্ষে দাপ্তরিক কাজ চলছিল। তিন মাস আগে ওই ভবনটির কিছু অংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছে গাছতলায়। বর্তমানে প্রথম পালায় পাঠদান করা হচ্ছে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। এ সময় প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস হয় দুটি কক্ষে। শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বারান্দায় চটের ওপর বসে ক্লাস করে। দ্বিতীয় পালায় ওই কক্ষগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়। আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঠ নেয় খোলা আকাশের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির সাদিয়া সুলতানা ও সুরভি খাতুন বলে, তারা চার ঘণ্টা এভাবেই ক্লাস করে। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে বাড়ি চলে যায়।
শিক্ষক পম্পা রানী বিশ্বাস জানান, প্রচণ্ড গরম ও রোদের মধ্যে ক্লাস নিতে তাঁদের কষ্ট হয়। আর চার ঘণ্টা পড়াশোনা করতে শিশুদের কষ্ট তো হবেই।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান, বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ২৪ মে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিদ্যালয়ে এ দশা তুলে ধরে দ্রুত তা নিরসনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, বরাদ্দ না থাকায় এখনই ভবন করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ চিত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহীদ কাজল স্মৃতি পশ্চিম জোর্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে। আর শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চলছে বারান্দায় পাঠদান।
বিদ্যালয় শিক্ষক সূত্রে জানা জানা যায়, ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠদানের জন্য ১৯৯৫ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২২০ জন শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক আছেন পাঁচজন। গ্রামের দুই কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো বিদ্যালয় নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম জানান, ২০১২ সালে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনের একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হতো।
এদিকে ২০০৫ সালে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি আধা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়। এর দুটি কক্ষে অন্য পাঁচটি শ্রেণির পাঠদান ও একটি কক্ষে দাপ্তরিক কাজ চলছিল। তিন মাস আগে ওই ভবনটির কিছু অংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছে গাছতলায়। বর্তমানে প্রথম পালায় পাঠদান করা হচ্ছে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। এ সময় প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস হয় দুটি কক্ষে। শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বারান্দায় চটের ওপর বসে ক্লাস করে। দ্বিতীয় পালায় ওই কক্ষগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়। আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঠ নেয় খোলা আকাশের নিচে।
পঞ্চম শ্রেণির সাদিয়া সুলতানা ও সুরভি খাতুন বলে, তারা চার ঘণ্টা এভাবেই ক্লাস করে। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে বাড়ি চলে যায়।
শিক্ষক পম্পা রানী বিশ্বাস জানান, প্রচণ্ড গরম ও রোদের মধ্যে ক্লাস নিতে তাঁদের কষ্ট হয়। আর চার ঘণ্টা পড়াশোনা করতে শিশুদের কষ্ট তো হবেই।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান, বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ২৪ মে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিদ্যালয়ে এ দশা তুলে ধরে দ্রুত তা নিরসনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, বরাদ্দ না থাকায় এখনই ভবন করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments